somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জলপদ্ম – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইয়ের নাম : জলপদ্ম
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : নভেম্বর ১৯৯২
প্রকাশক : সময় প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০১ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
ইলা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। দেখতে রূপসী বলে বিয়ে হয়েছে মোটামুটি ভালো একটি ছেলের সাথে। ছেলেটির নাম জামান। জামান খুবই কৃপন প্রকৃতির লোক। টাকা-পয়সা খরচ করে না বলে বেশ কিছু টাকা তার জমা আছে বুঝাযায়। টাকা পয়সা বা অন্য কোন ব্যাপারেই সে তার স্ত্রীর সাথে আলাপ করে না। চমৎকার একটা ফ্লাট ভাড়া করে থাকে তাঁরা।

ইলার বড় ভাই বাবু। বাবু তার বন্ধ নাসিমকে সাথে নিয়ে ছোট্ট একটা সাপলাইয়ের ব্যবসা করে কোন রকমে সংসার চালায়। কলেজ পড়ুয়া ছোট বোন রুবা আর মাকে নিয়ে ছোট সংসার চালাতেই তার কষ্ট হয়। বাবুদের বাড়িতে নাসিমের অবাদ যাতায়াত, কিন্তু বাবুর মা নাসিমকে ঠিক পছন্দ করেন না। এদিকে বাবু, ইলা আর তার ছোট বোন নাসিমকে খুবই পছন্দ করে। ইলার বিয়ের আগে ইলা নাসিমকে ভালোবেসে ফেলে। ইলার মা যখন ইলার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা শুরু করেন তখন ইলা এক রাতে তার মাকে বলে সে নাসিমকে বিয়ে করতে চায়।

ইলার মা নাসিমকে ডেকে বলে নাসিম যেন ইলাকে বুঝিয়ে বলে যে নাসিম ইলাকে ছোট বোনের মত দেখে। ইলার ভালোবাসার কথা না জেনেই নাসিম ইলাকে তার মার শেখানো বুলি শুনিয়ে দেয়। কিছু দিন পরেই ইলার বিয়ে হয়ে যায় জামানের সাথে।

এদিকে রগচটা কৃপন জামানের সাথে সময় কাটতে থাকে ইলার। যে বাড়িতে জামান ভাড়া থাকে তার পাশের বাড়ীতে একদিন ডাকাতি হয়। কিন্তু ইলা জানে ডাকাতি হয়নি। কারণ সে দেখেছে তিনটি ছেলে সেই বাড়িতে খালি হাতে ডুকেছে আর খালি হাতেই বেড়িছে। তিনটি ছেলের একজন ইলাদের বাড়ীওয়ালার ছেলে। সব দেখলেও ইলা কাউকে কিছু বলতে পারে না ভয়ে।

এরমধ্যে জামান একদিন ভুলে তার মানিব্যাগ ফেলে যায় বাড়ীতে। ইলা দেখে সেখানে আনেক টাকা, প্রায় ৫০ হাজারের উপরে। ইলা সেই টাকা জামানকে ফেরত না দিয়ে নিজে লুকিয়ে রেখে আস্তে আস্তে খরচ করতে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্তু জামান তা বুঝে ফেলে।

বাবু আর নাসিমের একটা অফিসের সাথে চুক্তি হয়। বড়লটে তারা মাল সাপলাই দেয়। কিন্তু বিল আদায় করতে পারে না। যিনি বিল আটকেছেন তার মেয়ের বাড়ীতে ৫০ হাজার টাকার উপহার পাঠালেই বিল পাওয়া যাবে। নাসিম মেয়ের বাসায় গিয়ে তার বাবার এই কান্ডের কথা বুঝিয়ে বলে। মেয়ে নাসিমকে কথা দেয় সে তার বাবাকে বলে তাদের বিল ছাড়িয়ে দিবে। কিন্তু কিছুদিন পরে বিল না পাওয়াতে নাসিম আবার মেয়ের বাড়ীতে যায়। তার আগেই মেয়ে তার বাবার সাথে আলাপ করেছে। বাবা বুঝিয়েছে তিনি অনেক কষ্টে নাসিমদের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। নাসিমরা বিলে গরমিল করেছে, খারাপ মাল দিয়েছে। উনি কোন ঘুস চাননি।

কিছুদিন পরে নাসিম আবার মেয়ের বাড়িতে গেলে এবার মেয়ে নাসিমকে দেখে রেগে যায়। মেয়ের শ্বশুরও তার সাথে যোগ দেয়। উপায় না দেখে নাসিম তাদের ভয় দেখায়। বলে তার সাথে দলবল আছে বাইরে দাঁড়ান। দুই দিনের মধ্যে বিলের টাকা পরিশোধ না করলে খারাপ হবে। এরপর নাসিম সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। অফিসে যেতেই পুলিস নাসিমকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম পিটনি দেয়।

নাসিমের কথা শুনে ইলা টাকাগুলি তার পরিচিত একজনের কাছে দিয়ে নাসিমকে ছুটানোর ব্যবস্থা করতে বলে। ইলা নাসিমকে দেখতে থানায় যায়। সেখানে গিয়েই সে নাসিমকে জানায় যে ইলা তিন মাসের অন্তঃসত্তা। নাসিমের সাথে দেখা করে বাসায় ফিরে ইলা জামানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। জামন জেনে গেছে তার ৫০ হাজার টাকা ইলার কাছে, কিন্তু জামান জানে না ইলা অন্তঃসত্তা। ইলা বিছনায় নীল চাদর বিছিয়ে লাল শাড়ী পরে জলপদ্ম সেজে বসে আছে জামানের জন্য।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×