আজ দুপুরে যাবো আবার নাগরিতে, শীত বিলাসে। গত ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর আমার আমাদের নাগরির আশ্রমে বন্ধুবান্ধবদের জন্য একটি আয়োজন করে থাকি। ফেসবুকে ইভেন্ট ক্রিয়েট করে সকলকে জানিয়ে দেয়া হয়। শেষ দিন সন্ধ্যায় মোটামুটি ৩০ থেকে ৪০ জন হাজির হয়ে যায়। শীত বিলাসের আয়োজনটা থাকে এমন-
ভূমিকা
শীতকাল গেলো বলে।
ঢাকাতে শীতের ছোঁয়া শেষের পথে। গ্রামে কিন্তু এখনো শীত আছে। শহরে বসে আমরা যে শীত থেকে বঞ্চিত হই গ্রামে সেই শীত ঝেকে বসে কুয়াশার চাদর বিছিয়ে।
ঢাকার শীত বিদায় নিলেও তোমাদের জন্য গ্রামের শীত উপভোগ করার বাৎসরিক আয়োজন প্রতি বছরের মতো এবছরও প্লান করা হয়েছে আশ্রমের পক্ষ থেকে।
গ্রামীণ শীত উপভোগ করার জন্য আমরা গত কয়েক বছর যাবত ঢাকার খুব কাছেই নাগরীতে ধানি জমির মাঝে আমাদের আশ্রমের জন্য নিজেদের কেনা জমিতে তাবু খাটিয়ে অন্ততো এক রাত থেকে আসি।
পুকুর সেচে মাছ ধরার আয়োজন করি।
এবছর চিত্রটা ভিন্ন হবে। থাকার জন্য তাবু লাগবে না। বাঁশ দিয়ে মাচাঘর তৈরি হয়ে গেছে। সেখানে অনায়াসে বেশ কয়েকজন রাত কাটিয়ে দেয়া যায়। আমরা এই শীতে বেশ কয়েকবার আশ্রমে রাত্রীযাপন ও শীত উপভোগ করেছি। শীতের এই বিদায় বেলায় বন্ধুদের জন্য আবারও ৯৯ টাকায় শীত বিলাসের এই আয়োজন।
======================================
কবে হবে?
শুরু : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বিকেল ৩ টা।
শেষ : ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, রাত ৯ টা।
======================================
আনুমানিকপ্লান
শীত বিলাসের ইভেন্টটিকে ২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথম ভাগ :
শুরু হবে ৩ তারিখ বিকেলে।
যারা গ্রামীন পরিবেশে রাতে শীত উপভোগ করতে চাও তারা নিজ দায়িত্বে শীতের জামা সহ আশ্রম প্রান্তরে পৌছে যাবে।
খানা খাজানা
৩ তারিখ সন্ধ্যায় গরুর দুধের কফি ও হালকা নাস্তা।
৩ তারিখ রাতের খাবারে থাকবে নিজেদের রান্না করা হাঁসের ঝাল মাংস ভুনা, পোলাউ।
৪ তারিখ সকালের নাস্তায় পরটা, ডিম ভাজি / সবজি এবং গরুর দুধের কফি।
৪ তারিখ দুপুরের খাবারে থাকবে সাদা ভাত, শোল মাছ দিয়ে লাউ, টাকি ও আরো কয়েক পদের ভর্তা। অথবা সবজী খিচুড়ি ও মুরগির মাংস।
খরচ জনপ্রতি : ৯৯৯ টাকা।
======================================
দ্বিতীয় ভাগ :
শুরু হবে ৪ তারিখ বিকেলে।
এই ভাগে যারা অংশ নিতে চায় তারা নিজ দায়িত্বে ৪ তারিখ বিকেলের মধ্যে শীতের জামা সহ আশ্রম প্রান্তরে পৌছে যাবে।
খানা খাজানা
জন প্রতি ১টি তেলাপিয়া মাছের বারবিকিউ
জন প্রতি ১পিস মুরগির বারবিকিউ / ঝাল ভুনা
২টি পরটা
কোমল পানিয়
গরুর দুধের কফি
খরচ জনপ্রতি : ৯৯ টাকা।
======================================
যাওয়া_আসা :
নিজ খরচায় পৌছতে হবে আশ্রম প্রান্তরে।
কিভাবে?
কুড়িল বিশ্বরোডের BRTC কাউন্টা > কাঞ্চন ব্রীজ > পানজোড়া বাইপস (মাটির ঘর রেস্টুরেন্ট) / উলুখোলা ব্রীজ > নাগরি বাজার > করান বাজার কীর্তন খোলা মন্দির > আশ্রম।
জনপ্রতি ভাড়া খরচ হবে : ৩০+৩০+২০+১০ = ৯০ টাকা।
সময় লাগবে : ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।
বি.দ্র. : ৪/৫ জন এক সাথে গেলে কাঞ্চন ব্রীজ থেকে ইজিবাইক রিজার্ভ করে সরাসরি নাগরি যাওয়া যাবে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়। (খরচ-সময়-কষ্ট বাাঁচবে)।
======================================
মনে রাখতে হবে :
ইভেন্ট চলাকাীলন যেকোন রকম ত্রুটি বা অব্যবস্থাপনা দেখা দিলে বা কোনো সমস্যা সামনে আসলে মেনে নেওয়ার মন মানসিকতা থাকতে হবে।
সকল কাজে সহযোগীতা করতে হবে।
ব্যাক্তিগত খানা-পিনা নিজ খরচায়।
======================================
করোনা সতর্কতা :
ইভেন্ট চলা কালে সামাজিক দূরত্ব যতটা সম্ভব বজায় রাখতে হবে।
সবসময় মাস্ক পরিধান করে থাকতে হবে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
কারো জ্বর-ঠান্ডা-কাশি থাকলে ইভেন্টে আসা থেকে বিরত থাকতে হবে।
======================================
শীত সতর্কতা :
সন্ধ্যা থেকে মোটামুটি শীত থাকবে।
চোখে দেখা না গেলেও বেশ ভালো শিশির পরবে। এক ঘন্টার মধ্যে ঘাস ভিজে যাবে। তাই নিজ নিজ মাথা নিজ দায়িত্বে শুকনা রাখার জন্য ক্যাপ / টুপি নিতে হবে।
এবার থেকে আপনারাও নিমন্ত্রিত হবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০৮