
বগালেকের সামনে আমি
এটি একটি হালকা ট্রেকিং ট্যুার, বেশ কিছুটা কষ্ট সহ্য করতে হবে রোদ আর গরমের জন্য। কষ্ট এরিয়ে যাওয়ার জন্য মাথায় অন্য একটা প্লান করা আছে। সেটা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করা হবে। আশা করছি বাকি সব বিন্দাস মোলায়েম ভাবে হয়ে যাবে।
গতবার ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বান্দরবান > থানচি > রেমাক্রি হয়ে গিয়েছিলাম নাফাখুম পর্যন্ত। এবারের গন্তব্য কেওক্রাডং। আমি প্রায় ২০ বছর আগে গিয়েছিলাম প্রথমবার কেওক্রাডং। সেবার বান্দরবান থেকে রুমা বাজার গিয়ে সেখান থেকে ঝিরিপথ ধরে হেঁটে গিয়েছিলাম বগালেক হয়ে কেওক্রাডং। সেই পথে রুমা খালটিকে ৫২ বার পার হতে হয়েছিলো। এবারও ইচ্ছে ছিলো সেই পথ ধরেই ফেরার। কিন্তু গাইড জানালো সেই পথে ফেরার অনুমতি পাওয়া যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে চান্দের গাড়িতে ফিরতে হবে।
এবারের ভ্রমণ পরিকল্পনাটা হচ্ছে -
দিন - ০ : ১২ মার্চ : শনি বার
রাত ১০.৩০ ঢাকা > বান্দরবান (এসি বাস)
দিন - ১ : ১৩ মার্চ : রবি বার
সকালে রিজার্ভ চান্দের গাড়িতে রুমা বাজার পৌছে গাইডকে সাথে নিয়ে আর্মি ক্যাম্পে সমস্ত কাগজ জমা দিয়ে বগালেকে ও ঋজুক ঝর্ণা যাওয়ার জন্য অনুমতি সংগ্রহ করবো।
একটি বড় ট্রলার রিজার্ভ করে ঋজুক ঝর্ণা দেখে নিবো।
ঋজুক ঝর্ণা দেখা শেষে সেই রিজার্ভ চান্দের গাড়িতেই বগালেকে পৌছবো।
বগালেকের কাছে একটি বাদুর গুহা আছে, বিকেলে সেটি দেখার চেষ্টা করবো।
রাত কাটাবো বগালেকে।

বগালেকের সামনে আমরা
দিন - ২ : ১৪ মার্চ : সোম বার
সকালে বগালেক আর্মিক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে বগালেক থেকে ট্রেকিং শুরু করবো দার্জিলিং পাড়ার দিকে। পথে লতা ঝর্ণা ও চিংড়ি ঝর্ণা দেখবো। দুপুরে দার্জিলিং পাড়ায় ঝুমের চালের ভাতের সাথে বেম্বো চিকেন দিয়ে লাঞ্চ। লাঞ্চ শেষে আবার হাঁটা ধরবো কেওক্রাডং এর দিকে।
রাত কাটাবো কেওক্রাডং।

কেওক্রাডং চূড়ায়
দিন - ৩ : ১৫ মার্চ : মঙ্গল বার
সকালের নাস্তা করে রওনা হবো ফিরতি পথে। কেওক্রাডং থেকে দার্জিলিং পাড়া হয়ে বগালেক। বগালেক থেকে সেই রিজার্ভ চান্দের গাড়িতে রুমাবাজার হয়ে বান্দরবান।
বান্দরবান থেকে চলে যাবো বাসে কক্সবাজার।
রাত কাটাবো কক্সবাজার।
দিন - ৪ : ১৬ মার্চ : বুধ বার
সকালের নাস্তা শেষে কক্সবাজারে বৌদ্ধ মন্দির, বৌদ্ধ স্তুপ, পুরানা বার্মিজ মার্কেট ইত্যাদি (অথবা মহেশখালী ও চলে যেতে পারি) দেখে দুপুরে সমুদ্রস্নান ও বিকেলে সূর্যাস্ত দেখে রাত কাটিয়ে দিবো কক্সবাজার হোটেলে।
দিন - ৫ : ১৭ মার্চ : বৃহস্পতি বার
দড়িয়া নগর, হিমছড়ি, গোয়ালিয়া, ইনানী, মেরিনড্রাইভ বেরিয়ে রাতের বাসে রওনা হয়ে যাবে ঢাকার পথে।
দিন - ৬ : ১৮ মার্চ : শুক্র বার
সকাল সকাল পৌছে যাবো নিজ নিজ বাড়িতে।
সদস্য সংখ্যা : ৯ জন।
ভ্রমণ খরচ : জনপ্রতি কম-বেশি ১১,০০০/= (এগারো হাজার) টাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



