somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রুদ্ধ এক আর্মি অফিসারের অভিজ্ঞতা

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর সত্যাসত্য নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে, তবে পাড়ার দোকানে ফেক্লিলোড করতে গিয়ে এ কাহিনীটি শুনি, যার আত্মীয় সপরিবারে থাকতেন পিলখানাতে-

ঘটনার সূত্রপাত বিডিআর দরবার হলে। বিডিআর সপ্তাহ চলাকালে বৈঠকে ডি.জি সাতহব ডাল-ভাত কর্মসূচীর হিসাব দিয়ে জানান, খুব বেশী লাভ হয়নি। যা হয়েছে তা দিয়ে কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে আর আজ কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হবে। তখন একজন জোয়ান উঠে দাঁড়িয়ে বলে , "কোন নয় জনকে পুরস্কৃত করা হল, তা তো জানলাম না। আর কাকে কাকে পুরস্কৃত করা হবে।" ডি.জি গালাগালি দিয়ে বলেন, ... ... চুপ, .... বাচ্চা, ...জাদা, আমার দরবারে কথা বলিস?" তখন আরেক জোয়ান বলেন, "কি ব্যাপার গালাগালি করছেন কেন?" ডি.জি. বলেন, "কত বড় সাহস‍" ... ... এখনি এদেরকে ফ্রিজিং রুমে (না-কি যেন) নিয়ে যা" । তিনি গার্ডের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নেন।

তখন জোয়ানরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। ছত্রভঙ্গ হয়ে দরবার হল থেকে বের হয়ে একত্রিত হয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনার আর্মি অফিসারটি নিচু হয়ে স্ক্রল একপাশে হটতে থাকেন। দরবার হলে গোলাগুলি শুরু হলে তিনি বাথরুমে ঢুকে পড়েন। সেখানে দরজা আটকে ইউনিফর্ম খুলে চুপচাপ অবস্থান রেন। দরবার হলে গোলাগুলি শেষ হবার পরও ওখানে অবস্থান করেন। তার পরিবারকে sms করে তার অবস্থান উল্লেখ করে জানান, তিনি সুস্থ আছেন। এরপর বাইরে কি হচ্ছে তা জানতেন না।

রাত হলে কোনরকমে বাথরুমের বাইরে আসেন ড্রেস ছাড়া। বের হয়ে ম্যানহোল পেয়ে সেটাতে নেমে পড়েন। ম্যানহোল দিয়ে এগুতে এগুতে একসময় গলা পানিতে এসে আর আগাননি। রাতে ওখানেই অবস্থান করেন। পরিবারকে জানিয়ে দেন তার অবস্থান। আস্বত্ব হন পরিবারের লোকজন।

রাতে জোয়ানরা ম্যানহোলে টর্চের আলো ফেলে দেখে যায়। ভাগ্যক্রমে তার অবস্থান তারা বুঝতে পারেনি। পরে ্ওই ম্যানহোল দিয়ে ফেলে কয়েকটি লাশ। তিনি অন্ধকারে বুঝতে পারেননি, কার কার লাশ। সকাল হলেও তিনি ওখানেই অবস্থান করেন। একসময় প্রচন্ড ক্ষুধা লাগলে একটি ইঁদুর খেয়ে ফেলেন।

বিকাল ০৪:০০টার পর মাইকে শুনতে থাকেন, পুলিশ ঘোষণা করছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, BDR আত্মসমর্পণ করেছে। যে যেখানেই আছেন, যেন বেরিয়ে আসেন। এ ঘোষণা শোনার পরও তিনি আরও দু'ঘন্টা অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন / বোঝার চেষ্টা করেন। এরপর বের হওয়া নিরাপদ মনে করলে তিনি বাইরে আসেন।

এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সি.এম.এইচ হাসপাতালে।




(এ.টি.এন বাংলায় এক আর্মি অফিসার বললেন, ডিজি কোন আগ্নেয়াস্ত্র নেননি, আসল ঘটনার সূত্রপাত কি কে জানে?)
৪৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×