somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডায়মন্ড দিবা কিনা বলো X( X(( :#> :!>

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-আরে ছেলেটা কি ভাবসে শুনো না, অতি আগ্রহে মিতু মিনাসকে শোনাচ্ছিল গটকাল তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা। তারা বসে আছে একটা রেস্তোরায়, সামনাসামনি বসে।
_কি করে হল এসব, আর কি করেছে সে?
-আম্মুকে ও একবার না একটা সুন্দর ফুলের ডালি এনে দিয়েছিল, ওহ, আম্মু আব্বুর বিবাহ-বার্ষিকীতে, তো আম্মু খুশি হয়ে বলেছিল এমন একটা ছেলে আমাদের ঘরে প্রয়োজন।
_তো সেটা তো ভালো কথা? 8-|
-সে ভেবে বসলো আম্মু বলতে চেয়েছে তাকে আম্মু আমাদের ফ্যামিলিতে অংশগ্রহন করতে বলছে।
_সমস্যা কি, তোমাদের আরেকটা ভাই হলো তাহলে, ভালো খবর!
-আরেহ, এটা তো তোমারো মাথায় এসেছে, কিন্তু ঐ ছেলেতো, বলেই হাসতে লাগলো মিতু। :D
_কি ভেবেছে?
-ও ভেবেছে আম্মু ওকে আমার ফিউচার হাসবেন্ড হবার জন্য সেদিন ওকথা বলেছিল! হাসতে লাগলো মিতু।
_কি? :-/
-হুম, তাই! খুব বোকা না ছেলেটা!
_হুম, নাম কি ওর?
-কেনো?
_আহা বলো না। :|
-নাহ, তোমার কি মনে এসেছে আগে বল।
_ছেলেটার সাথে মিট করতাম, দেখতাম কত সাহস।
-কেনো?
_পরে বলবো। আগে বল ওর নাম, আর থাকে কোথায়? X((
-তাহলে পরে আমিও বলবো।
_মিতু, বলো না!
-আহা, শুনো, কি হয়েছিলো। ছেলেটা আমাকে প্রপোস করতে একটা গিফ্ট পাঠিয়েছিল। B-)
_কি পাঠালো? উত্তেজিত হয়ে বললো মিনাস। :-*
-আমাদের বাসায় একটা ডায়মন্ড রিং পাঠালো।
_সত্যি নাকি ফাজলামো করছো!
-সত্যি! তারপর একটা চিঠি ছিল।
_চিঠিটা কোথায়, কি লেখা ছিল ওতে? /:)
-বলছি তো, এতো অধৈর্য হও কেনো? ও লিখেছে আমাকে বিয়ে করতে চায়। তারপর আমি সেটা আপুকে দেখালাম।
_আপু কি বললো।
-কি বলবে, বললো, নিবি নাকি একটা চান্স!
_ওহ! তো তোমার কি ইচ্ছা ছিল? :|
-আমাকে বলে, এই ছেলেটার সাথে তোর মানাবে ভালো। ছেলেটা কি সুন্দর, বুদ্ধিমান, আবার বললো আমার দুলাভাইয়ের মত না, ছেলেটা নাকি অনেক রোমান্টিক।
_আপু তা জানলো কিভাবে?
-একটা ছেলে এত অল্পতেই আমাকে প্রোপোস করলো, তাও এভাবে, তাই বললো আপু! ও নাকি নির্ভিক। কেননা সে বাসায় পাঠিয়েছে রিংটা, জানে আব্বুকে চাইলেই বলিয়ে আমি ওর নামে নালিশ করতে পারি ফ্লারটিং করার দায়ে, তবুও!
_অনেক সাহস দেখছি ওর।
-ভালো তো, ভালো না?
_কিভাবে? অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। X(
-যুদ্ধ আর ভালবাসায় সবই ঠিক!
_তো রিং কবে ফিরিয়ে দিচ্ছো ওকে? কিছুটা চিন্তিত গলায় বললো মিনাস।
-কেনো, গিফ্ট করেছে, ফিরাবো কেনো? মুচকি হাসলো মিতু। :!>
_মানে ওকে তুমি..
-কনসিডার করতে দোষ কি?
_হোয়াট ডু ইউ মিন? B:-)
-ধুর, আমিতো ভাবলাম ঐ ছেলে বোকা, এখন তো দেখি তুমিও!
_এভাবে বললে, আমার বুকে ঝড় বইয়ে দিলি তো!
-এত অল্পতেই এত ভয়, বীরপুরুষের কি হলো?
_এরপর কি হলো বলো এবার?
-ওদের বাসায় ওটা ফিরিয়ে দিলাম।
_কাকে পাঠিয়েছিলে?
-আমি নিজেই গেছি। #:-S
_ওহ, এবং এরপর কি বললে ওকে?
-বললাম তুমি এতো ভীতু, নাহয় খেতে আমার দুটো হাতে চারটে চড়, তাই বলে রিং পাঠালে নিজে আসলে না।
_হুম, কি জবাব দিলো ও?
-হাসলো অনেক, তারপর আমি ওকে বললাম, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে।
_সে কি বললো?
-বলে তাতে কি, ডাম্প করে দাও!
_ছেলেটার নাম বলো না সুইটহার্ট! X(
-এখন না!
_আর ওকে কি বললে তুমি? নামটা... :(
-নাহ, তাতো হবেনা, নাম পরে বলবো! আরে শুনোনা কি হলো, বললাম আমি ওকে তখন, আমি তাকে ভালবাসি!
_মেনেছে তো?
-নাহ, ছেলে মানেই না, বলে এসব ফাল্তু, ছেড়ে দাও। আরো বলে, পারবে তোমার সেই পটকা প্রেমিক ডায়মন্ড রিং এনে দিতে দুদিনে? দেখলে, তোমাকে পটকা প্রেমিক বলে! হাসি চাপালো মিতু! :-0
_নাম বলো ওর, দেখাবো ওকে আমি কেমন প্রেমিক!
-আহ, রাগ হও কেনো, ঐ পাজি ছেলের কথায় কান দিওনা, একটা পাগল।
_পাগল বললে কেনো ওকে?
-তো কি হয়েছে?
_আমাকে পাগল বলো না তুমি? /:)
-হ্যা, তো?
_তাহলে ওকে পাগল বললে কেনো?
-তো কি হয়েছে?
_আমার কোন বিষেশন ওকে দেয়া চলবে না!
-ওকে, ওকে, ও একটা মেন্টাল রোগি, হলো?
_হুম, এরপর?
-আমি ওর হাতে রিংএর বাক্সসুদ্ধ রিং দিয়ে চল এসেছি বাসায়।
_আর কিছুই বলনি? অবাক গলায় বললো মিনাস।
-বলেছি, কিন্তু ওরমধ্যে কিছু বিষেশন তোমারো! বলেই হাসিতে ফেটে পড়ল মিতু! :P :#)
_মজা নাও, না?
-নাহ, সত্যি, কেনো, তুমি আর আমি তো একিজন!
_তা ঠিক, ছেলেটার পরিচয় বললেনা!
-তুমি কি ওর প্রেমে পড়েছ নাকি ওর সাথে প্রেম করবে যে বারবার ওর নাম নিয়ে বসে আছো?
_নাহ, দেখিয়ে দিতাম...
-থাকনা, ওকে বকে দিবে আব্বু, আমি বলে দিয়েছি তো!
_কিন্তু উল্টো হলে?
-তুমি আছোনা।
_আমাকে আমার হবু শ্বশুড়ের সামনে দাড়িয়ে কি বলতে হবে? :>
-আমি বলে দিচ্ছি, কিন্তু তুমি তার আগে একটা ডায়মন্ড রিং কিনবে তখন।
_কেনো? :-*
-আহ, সেরকম কিছু হলে ডায়মন্ড রিং কিনে আমাদের বাসায় চলে আসবে, আব্বুকে বলবে, আপনার মেয়ের হস্ত গ্রহনে ইচ্ছুক, আমি কি পেতে পারি ঐ দুখানি হস্ত। :-B
_তোমার নাম বলতে হবে না?
-মানে? :-&
_না, শ্বশুড়আব্বা যদি ভেবে বসে তোমার বড় বোনের হস্তযুগল পার্থী! =p~
-কি বললে?
_হাহাহা, তা হতেও পারে, কি বলো?
-যাও! X((
_কই যাবো?
-যেতে হবেনা, বসে থাকো এখানে।
_আচ্ছা, বলবো আপনাকে দেখে বাবার মতই লাগে, আমি সারাজীবন বাবা বলে ডাকতে চাই আপনাকে! আপনি যদি সামাজিকভাবে ব্যবস্থা করতেন, আর আপনার কন্যা মিতুর হাতে আমার এই রুবি প্লাস স্বর্ণের আংটি পরাবার সৌভাগ্য দিতেন। B-))
-নাহ, রুবি কেনো, আর গোল্ডই বা কেনো? আমার ডায়মন্ড আর সিলভার পছন্দ, তাই আনবে।
_রুবি তোমাকে মানাবে তো!
-ডায়মন্ড দিবা কিনা বলো! X(
_আচ্ছা, কি রং এর ডায়মন্ড পছন্দ তোমার? :|
-কাছে আসো। ;)
_কেনো? #:-S
-কানে কানে বলি!
মিনাসের কানে বলতে লাগলো মিতু, তাদের সুখি জীবনের ভবিষ্যত গল্প, আর কিছু রং এর বর্ননা! B-))
______________________________(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×