দুর্নীতি ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন
সম্প্রতি উপদেষ্টাদের নামে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা জনমনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। আমরা কোনোভাবেই দুর্নীতিকে সমর্থন করি না। সত্যি বলতে, আওয়ামী লীগের অনেক জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। তবে এটাও সত্য যে, দলে সবাই এক ধরনের নন ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তবে তার দায় পুরো দলের ওপর চাপানো উচিত নয়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগের বহু নেতা, মন্ত্রী ও এমপিকে গ্রেফতার করা হলেও, তাদের কতজনকে প্রকৃতপক্ষে আইনের আওতায় আনা হয়েছে? যদি তারা দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কেন দেওয়া হলো? কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, তাদের কেন কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হয়নি?
অন্যদিকে, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬০০০ কোটি টাকার কর (ট্যাক্স) মওকুফের বিষয়টিও প্রশ্নের জন্ম দেয়। যেখানে সাধারণ জনগণ ন্যূনতম কর পরিশোধে হিমশিম খায়, সেখানে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির এত বিশাল পরিমাণ অর্থের কর মওকুফ করার যৌক্তিকতা কী?
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট দল, ব্যক্তি বা রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সবার জন্য সমান আইন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



