মহিলা সমিতিতে ‘তৌহিদী জনতার’ চিঠি, 'শেষের কবিতা' নাটকের প্রদর্শনী বাতিল।
প্রতিবাদ লিপি
"শেষের কবিতা" নিষিদ্ধ এই কি আমাদের স্বাধীনতা?
আমরা গভীর ক্ষোভ ও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সাহিত্যকর্ম "শেষের কবিতা" অবলম্বনে নির্মিত নাটকের প্রদর্শনী ‘তৌহিদী জনতা’র চিঠির মুখে বাতিল করা হয়েছে। ঘটনাটি মহিলা সমিতির মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক মঞ্চে ঘটেছে, যা কেবল দুঃখজনক নয়, বরং আমাদের সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।
১. এই ঘটনায় আমাদের প্রশ্ন আমরা কি স্বাধীন বাংলাদেশে আছি, না উগ্র মৌলবাদের তাবেদারি করা কোনো পাকিস্তানি ছায়ার ভেতর?
২. "শেষের কবিতা" কেবল একটি সাহিত্য নয়, এটি বাঙালির হৃদয়ের একটি স্পন্দন। সেটিকে মঞ্চে উপস্থাপন করাকে ‘অপরাধ’ হিসেবে দেখানো এক ধরণের সভ্যতাবিরোধী ধৃষ্টতা।
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জাতীয় সত্তার অন্যতম ভিত্তি। তাঁকে মুছে ফেলার বা দমন করার অপচেষ্টা মানেই বাংলাদেশের আত্মাকে আঘাত করা।
4. ‘তৌহিদী জনতা’ নামধারী কোনো অজানা গোষ্ঠীর চিঠির মুখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া সরকারের নীরব সম্মতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতীক।
৫. আজ রবীন্দ্রনাথের নাটক, কাল নজরুলের গান, তারপর স্বাধীনতার ইতিহাস এই খসড়ায় আমরা কোথায় দাঁড়াবো?
৬. এটি শুধু এক নাটক নয়, এ হচ্ছে মুক্তচিন্তা ও শিল্প-সাহিত্যের ওপর একটি মৌলবাদী থাবা।
৭. আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নাটকটি পুনরায় প্রদর্শনের দাবি করছি।
৮. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও থিয়েটার মঞ্চের নীরবতা ও আত্মসমর্পণের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করছি।
৯. সাংস্কৃতিক কর্মীদের, শিল্পীদের এবং সচেতন জনগণের প্রতি আহ্বান এখনই সময় একসঙ্গে জেগে ওঠার।
১০. বাংলাদেশের মাটি কাঁদে না, মাথা নোয়ায় না এই অপমানের প্রতিরোধ হবে, এই মঞ্চ দখল করবে সাহিত্যের আলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪২