পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক? শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা!
মা-বোনের ধর্ষণকারীদের যাবা বাবা ডাকে তাদের প্রতি দু কলম লিখতে বাধ্য হলাম।
পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক? কীভাবে সম্ভব? কীভাবে আমরা হাত মেলাই সেই রাষ্ট্রের সাথে, যারা আমাদের মায়ের কোলে সন্তানকে গুলি করেছে, গর্ভবতী নারীর আর্তনাদকে হাস্যরসে মিশিয়েছে, আর ধর্ষণকে করেছে যুদ্ধের কৌশল?
১৯৭১ কোনো পুরনো তারিখ নয়। এটি প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে গাঁথা রক্তাক্ত ইতিহাস, প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বলন্ত স্মৃতি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের ৩০ লক্ষ ভাইকে হত্যা করেছে, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে, অসংখ্য বাড়িঘর পুড়িয়েছে, স্বপ্ন ভেঙে ছাই করে দিয়েছে। এই লজ্জা, এই ক্ষত, সময় মুছে দিতে পারেনি আর আমরা ভুলতে চাইও না।
আজ যখন কেউ পাকিস্তানের সঙ্গে আবার সম্পর্কের কথা বলে, তখন মনে হয় সে যেন শহীদের কবরের উপর দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছে। যেন ধর্ষিত নারীদের আর্তনাদ উপেক্ষা করে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে সেই বর্বরদের প্রতি।
পাকিস্তান আজও ক্ষমা চায়নি, একবারও বলেনি, “আমরা ভুল করেছি, আমাদের ক্ষমা করুন।” বরং আজও তারা ইতিহাস বিকৃত করে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এমন এক রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মানেই আত্মমর্যাদার অপমান, ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।
আমরা শান্তি চাই, কিন্তু অপমানের বিনিময়ে নয়। সম্পর্ক চাই, কিন্তু শর্তহীন নয়। পাকিস্তান যদি সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয়, যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়, ক্ষতিপূরণ দেয় তবেই আমরা ভেবে দেখতে পারি তাদের সাথে আমরা সম্পর্ক করবো কিনা বা কোনো আলোচনার দরজা খোলা হতে পারে। তার আগে নয়।
কারণ আমরা সেই জাতি, যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছে। শহীদের রক্তের দামে কেনা এই বাংলাদেশ কোনো দিন মাথা নত করবে না।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



