গুগলে ইন্টার্নশীপ শুরু করেছি সপ্তা খানেক হলো। এখানে বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার আছেন কেবল একজনই। ভারতীয় ও চীনা দিয়ে ভর্তি। করিডোর দিয়ে হাঁটতে থাকলে চীনা বা তামিল বা হিন্দি ভাষার শব্দ কানে আসে অবিরাম।
গুগলের হেড কোয়ার্টারে বহু বিল্ডিং ... এক মাথা থেকে আরেক মাথা প্রায় পৌনে এক মাইল। আমার অফিস পড়েছে এক কোনায়।
গুগলের ইন্টারেস্টিং দিক হলো, কর্মীদেরকে রাজার মতো সেবা দেয়া। এখানে ক্যাফেটেরিয়া আছে গোটা ১৫, প্রতিটাতেই প্রতিদিন সব বেলার খাবার গুগলের কর্মীরা ফ্রি খেতে পারে। থাই, ফ্রেঞ্চ, কোরিয়ান, ইতালিয়ান, ভারতীয়, জাপানি, মেক্সিকান - সব দেশের খাবার প্রতি বেলায় আসে।
মূল ভবনের লবিতে দেখানো হচ্ছে এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে যেসব গুগল সার্চ চলছে, তার এক অংশ। বিশাল কম্পিউটার স্ক্রিনে বহু সার্চ করার কী ওয়ার্ড স্ক্রোল করে চলেছে, দেখতে মজাই লাগে। (এরা অবশ্য সেন্সর করে দেখায়, নইলে বুঝতেই পারছেন, অধিকাংশ সার্চে কী থাকবে!!)। আর একটা অ্যানিমেটেড গ্লোবে দেখানো হয় দুনিয়ার কোথা থেকে সার্চ করা হচ্ছে, কোন কোন ভাষায়। খুবই ইন্টারেস্টিং।
মাউন্টেইন ভিউ, গুগলের হেড কোয়ার্টার যেখানে, সেই শহরটাও ছিমছাম, অনেকটা আমার প্রিয় চট্টগ্রাম শহরের মতো, ছায়া সুনিবিড়, আর পাহাড়ে ঘেরা।
পরে লিখবো আরো। ক্যালিফোর্নিয়া আসার জন্য ২ হাজার মাইল পথ ড্রাইভ করে এসেছি, সিয়েরা নেভাডা পার হওয়াটা এক কঠিন অভিজ্ঞতা। অসংখ্য ছবি জমা আছে ...