somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবার দুর্ঘটনাঃ কবে আমাদের বোধোদয় হবে

০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিএম ডিপোর দূর্ঘটনাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বড় দুর্ঘটনা হলেও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এর চেয়ে আরো বড় ভায়াবহ দূর্ঘটনা বিভিন্ন দেশে অহরহ ঘটছে। তবে আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে দূর্ঘটনার সময় অনেক হৈচৈ হলেও পরে সবাই ভুলে যায়। কেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল, কিভাবে ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করা যাবে, আবার দূর্ঘটনা ঘটলে কিভাবে উদ্ধার কাজ চালানো যাবে, ক্ষয় ক্ষতি কিভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যাবে তা নিয়ে তেমন কোন কাজ হয় না।

আমাদের দেশে এখনো ১০ তলার বেশি উচ্চতায় কোন ভবনে আগুন লাগলে তা নেভানোর ব্যবস্থা নেই। বড় কোন লঞ্চ ডুবে গেলে তা উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা নেই। বড় কোন ভবন ভেঙে পড়লে ১ মাসেও পুরোপুরি উদ্ধারের সক্ষমতা নেই।

এই যে নেই, তা নিয়ে কোন কাজ হচ্ছে বলে বছরের বছর কোন দৃশ্যমান কাজ হচ্ছে না। আল্লাহ না করুক, এই বিস্ফোরনে বড় কোন ভবন ভেঙে যদি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যেত, তা আবার চালু করতে নূন্যতম ৭ দিন লাগত। পোর্ট, আমদানী রপ্তানী বন্ধ হয়ে যেত।

আমাদের কোন বিকার নেই।

বড় কোন ভূমিকম্পে যদি ঢাকার ৩০০-৪০০ বাড়ি ভেঙে পড়ে, হাজার হাজার মানুষ তবে ভাঙ্গা ভবনের নিচে না খেয়েই মারা যাবে। হয়ত লাশের গন্ধে শহর দীর্ঘদিনের জন্য পরিত্যাক্ত করা লাগতে পারে। একটা ভবন উদ্ধারেরই সক্ষমতা আমাদের নেই, শত শত ভবন ধংশ হলে অবস্থা ভয়াবহ হবে।

আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি যাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি দেখা দরকার, তারা তাদের কাজ ঠিক ভাবে করেন না। টাকা নিয়ে অনুমিতি দিয়ে দেন। নিয়মিত পরিদর্শন করেন না। দুর্ঘটনা ঘটলে সেসব বড় কর্তারা টিভিতে মতামত দেন, আর সাধারন কর্মিরা প্রান দেন।

বলা হচ্ছে ডিপোতে রাসায়নিক রাখার অনুমতি ছিল না। তারপরেও রেখেছে।
কিসের অনুমতি নিয়েছে, কি করছে, অনুমতির বাইরে কিছু করছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি কখনে চেক করে দেখে না। এজন্য এদের কখনো দায়ি ও করা হয় না।

আমরা এত উন্নত হয়েছি, দেশ কানাডা সিংগাপুর হয়ে গেছে, তবে দেশের আইন কানুন নিয়ম শৃংখলা ঠিক হয় নি। হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলছে, কয়েককোটি টাকা খরচ করে কয়েকটা উচু ক্রেন, বা ভাসমান ক্রেন আমরা কিনতে পারি না।

কবে আমাদের বোধোদয় হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×