
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর রাশিয়া অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন দূর্বল হয়ে পরে তেমনি প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পরে। ফলাফল বিশ্ব রাজনীতিতেও পিছিয়ে পরে। রাশিয়ার শক্তির মধ্যে অবশিষ্ট ছিল আগে থেকেই বানিয়ে রাখা কিছু পরমানু বোমা, পুরনো প্রযুক্তি ও জাতীসংঘে ভেটো ক্ষমতা। এই শক্তি কাজে লাগিয়ে রাশিয়া আমেরিকা বিরোধী কিছু দেশে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে পুতিন ক্ষমতায় আসার পর আবার বিশ্বকে দুই ক্ষমতা কেন্দ্রের স্বপ্ন দেখায়।
কিন্তু পুতিনের রাশিয়া কখনো তার কোন মিত্রের পাশে তার পূর্নাংগ শক্তি নিয়ে পাশে দাঁড়ায় নি। বরং সুযোগ পেলে বন্ধুত্বকে আমেরিকার কাছে বেচে দিয়েছে। যারা রাশিয়ার উপর ভর্শা করেছে তারাও ধংশ হয়েছে। রাশিয়ার সামনে লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া পুরোপুরি ধংশ হয়ে গেছে, মিশরের মুরসির সরকারের পতন হয়ে আবার আমেরিকা পন্থী সরকার এসেছে, কিন্তু রাশিয়া তেমন ভাবে পাশে দাঁড়ায় নি। উপরে উপরে বন্ধুত্ব করেছে। আবার রাশিয়া আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এড়ানো, বা কোন বানিজ্য চুক্তির লোভে মিত্রের হাত ছেড়ে দিয়েছে, এমনকি জাতসঙ্ঘেও পাশে দাঁড়ায় নি।
এমন আচরন রাশিয়া এখন ইরানের সাথেও করছে। ইতিমধ্যে হয়তো রাশিয়া ইরান কে বেচে দিয়েছে। যার প্রমান দেখি আর্মেনিয়ার মধ্য দিয়ে আমেরিকার আজারবাইজান করিডোরে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানকে তেমন কোন সহায়তা না করার মধ্যে। ইরানকে আধুনিক এয়ার ডিফেন্স ও ফাইটার জেট না দেয়ার মধ্যে।
রাশিয়া হয়তো ইতিমধ্যে ইরানকে ডেড হর্স ধরে নিয়েছে। তাই ইরানি অনুমতি না নিয়েই ইরানি ড্রোনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কারখানা সম্প্রসারন করছে। পুতিনের আলাস্কা সফরে হয়তো ইরান বিষয়ে ডিল ফাইনাল হবে। ইউক্রেনের পরবর্তে ইরান।
রাশিয়ার এই সাময়িক লাভের পলিসিতে, রাশিয়া দিনকে দিন মিত্র হারিয়ে আরো দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। সব শেষ হয়ে যাওয়ার পর এক সময় হয়তো রাশিয়ার নাম্বার আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




