somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শূন্য সমগ্র ০২

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবিতার বিষয়বস্তু বড় সীমিত
হয়ে গেছে। ঈশ্বর, দেশপ্রেম করে
শেষে আমি-তুমিতে এসে থামে।
কবিতা এত্ত বেশি সুন্দর-মার্জিত,
বড্ড বেশি রক্ষণশীল হয়ে যায়। ক'দিন ধরে
ভাবছি, তোমাকে একটা খোলামেলা চিঠি দিবো খামে...
---xxx---
মানুষের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে
কানে আঙুল দিয়ে বসে আছি।
কখন যে ভালবাসার কথা বলে গেলে
জানতে পাইনি।
---xxx---
এ আর নতুন কী, হারাবে পাখি দূরাগত নীলে।
এ তো জানাই ছিলো, মিশে যাবো আহত মিছিলে।
এ তো হতেই পারে, মুখোমুখি হলে কোন দিনে,
না হয় হেঁটেই যাবে, পাশ ফিরে আমাকে না চিনে।
না হয় ভুলেই যাবো, কোন দিন ছিলো চেনাজানা,
কীইবা করার থাকে, কষ্টেরা পাকালে ফের দানা।
---xxx---
তোমার চোখের ভাললাগা
আমার চোখের ঘোর,
বিষন্নতায় রাত্রি নামে
প্রসন্নতায় ভোর।
---xxx---
তার সিঁথিতে সিঁদুর দেখেছি,
তাই নিশিথে ঋশী সেজেছি।
---xxx---
আমি কথা বলি একা একা
আমার রাগ, ক্ষোভ, অভিমানের সাথে,
নিজেকে ডেকে বলি, খোকা!
কেউ না থাকলেও আছি আমি দিনেরাতে।
সত্যি বলতে তোকেই কিছুটা বুঝি
আর কাউকে হয়নিতো বোঝা,
আমি নিজেকেই বারে বারে খুঁজি
হয়তো নিজেকেই খুঁজে পাওয়া সোজা।
---xxx---
আমাকে দিয়েছ তৃষায়
দিশা হারাবার মত বিষয়,
তোমার নীলাক্ষি নেশায়
পথ হারাবার যত ভয়।
---xxx---
সুস্হ সকাল কীভাবে দুঃস্হ রাতে রূপান্তরিত হলো
তুমি তা জানতেও পারবে না
চোখের সামনে একেকটা মুহূর্ত কীভাবে লাশ হয়ে গেল
কী বীভৎস সে দৃশ্য! তুমি সইতে পারবে না
আমার এখন সয়ে গেছে সব, অনেকটা ক্ষুধার মত
ক্ষুধা পেলেই কিছুটা খাবার মুখে পুরে দিতে হয়, যেমনটা জানি
যেমনটা জানি, একটু অনিয়মে এ্যাসিডিটি তোমাকে ভোগায়
রাত জেগে আর ছেলেমানুষি করো না বাছা, ঘুমিয়ে পড়ো;
কতবার বলেছি, নিয়ম করে ওষুধটুকু খেয়ে নিও, হে প্রিয়!
---xxx---
দিনকে দিন অহং ভেঙ্গে পড়ে,
দিনকে দিন নিয়তির বেড়াজালে
জড়িয়ে পড়ছে সব!
দিনকে দিন স্বপ্ন ঢুকরে মরে,
দিনকে দিন দাসত্বের শৃঙ্খলে
এভাবে অসম্ভব!
---xxx---
সহজ করে বললে পাছে
বুঝে ফেলো কী আছে
অরক্ষিত অন্দরে,
তাই একটু অদলে-বদলে তামাম
শব্দগুলো সাজিয়ে নিলাম
উল্টাপাল্টা করে।
---xxx---
সাইড বেঞ্চে বইস্যা কাটল জীবন,
পারফর্ম করুম ক্যামনে কবি কন!
কোচডারে তাই উস্টা দিতে মঞ্চায়,
ক্যারিয়ারডা হইয়্যা গ্যাছে বনশাই!
---xxx---
আমি বড্ডো এলোমেলো।
কারণ, তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে।
বন্ধূ! তুমি আসছো তো!
চার দেয়ালের মাঝে নিজেকে বন্দী করেছি।
তুমি আসলেই কেবল সূর্যের মুখ দেখব।
কারণ, তুমিই যে আমার রৌদ্রকরোজ্জ্বল আনন্দমুখর মুহূর্ত।
---xxx---
স্বপ্নের উঠোনে কে হাঁটে!
সত্যের খিড়কি খুলে তাকে দেখতে চাই।
আকাশকুসুম ভাবনায় দিন কাটে,
কবে জানি আকাশটাকে কুসুম ভেবে খাই!
---xxx---
আমার চোখে ক্রোধ জমেছে,
তার চোখেতে জল।
এবার বুঝি শোধ হয়েছে
তুই কী বলিস, বল!
---xxx---
আমার বাগানে একটি ফুল চোখ মেলে থাকাল।
ভ্রমণজনিত কান্তিতে তার চোখদু'টো ফুলে গেছে,
কেমন বিষন্ন ছাপ, আমার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে আছে।
তৃষ্ণার্ত ফুলটিকে আমি পানি দিলাম, দিলাম দু'মুঠো সার।
একটু কোমল করে সে হাসল আমার দিকে চেয়ে।
পরদিন তার খবর নিয়ে গিয়ে দেখি, মা তার পাশে বসে কাঁদছে :'(
---xxx---
হয়তো কিছুই নেই, যা আছে ছেঁড়া,
নয়তো হারিয়ে গেছে, তাই খুঁজে ফেরা।
হয়তো সুখের মাঝে দুঃখটা বেশি,
নয়তো শোকের মাঝে ঢের ডুবে গেছি।
হয়তো ঠিকই আছি, তাইতো আয়েশী
ভঙ্গিতে দুঃখটা সস্তায় বেঁচি।
---xxx---
গেলাসের তলানির একফোঁটা জল মুখে ঢেলে
একটু সুস্হির হয়ে বসলাম। রবাবরের মত ভুলো মনকে
একটু শাসিয়ে দিলাম। কাল খালি হাতে বাড়ি এলে
এক হাত দেখে নিবো। একটু থমকে
গেলাম, নিজের সাথে আজকাল বড্ড বেশি কথা হয়;
আমি ও আমার ঠোকাঠুকিতে মন্দ কাটছে না সময়!
---xxx---
তৃষ্ণার্ত না হলে তোমার জল আমি ছুঁয়ে দেখতাম না।
দিগম্বর হবার আশায় রণে ভঙ্গে দিলাম
সম্ভ্রোমের কথা ভেবে;
নগ্নতায় ছিলো জন্মগত আভিজাত্য মিশে।
---xxx---
নাওয়া-খাওয়া সবটা গেছি ভুলে
বই-খাতা সই ফেলেছি সব তুলে
ঘুম আসেনা মখমলেও শুলে।
রাতবিরাতে দুয়ার রেখেছি খুলে
স্নিগ্ধ বাতাস দোল দিয়েছে চুলে
এমনি করে মনটা যদি দুলে!
---xxx---
আনুষ্ঠানিক আবেগকে রুখব বলে
চোখের জলকে ফেলে দিলাম জলে
---xxx---
মন গিয়েছে মনের ঘরে ঘুরতে
সেখানে সে নিজের কবর খুঁড়তে
খুঁড়তে গিয়ে পায়নি মাটির ঘর
নিজের কাছে নিজেই যেন পর
ক্লান্তিতে তার কান্তিখানি ভাড়ি
মন খুঁজে পায়নি মনের বাড়ি
---xxx---
কেউ এলেই চলে;
হোক যুবতী লজ্জাবতী
অথবা চাঁদ।
একটু হলেই চলে;
একটু সময় যদিবা হয়
নির্বিবাদ।
---xxx---
কেউ নই কারো মত
তবু দু'জনার ব্রত
সুখী হতে,
আমরা যে যার মত
ছুটেছি অবিরত
ভুল পথে।
---xxx---
নিরাপদ দূরত্বে
ঘুরতে ঘুরতে
যে আবর্তে আমরা এসে পড়ে গিয়েছি,
তা থেকে কোনমতে
বের হয়ে বন্ধু হতে
এ মর্তে পারবো না বলে ধরে নিয়েছি।
---xxx---
খোলা আকাশে
হৃদয় প্রকাশে
লজ্জিত আমি হইনি,
তোমার লজ্জার
বাসর সজ্জার
সাক্ষী তো আমি হইনি!
---xxx---
আমি বাহাদুর না
তুমিও ইঁদুর না
লাথিটা পেলাম ঠিকই,
মাদুলি না চাই
আধুলি না পাই
খুশি পেলেই সিকি |
---xxx---
এ ভেসে যায়
ভাসমান জলে
একূলে-ওকূলে পলিমাটি ফেলে,
সে হেসে যায়
সুনিপুন ছলে
অলিতে-গলিতে দাবানল জ্বেলে|
---xxx---
শার্সিতে
সে চোখটিতে
এট্টুকু প্রেম মিশে!
কালসিটে
এ চোখটিতে
সেট্টুকু কম কীসে!
---xxx---
সোঁদামাটির গন্ধ
মুছে নিলাম কনক্রিটের ধূলোয়।
জীবনের মুখবন্ধ
লিখতে বসে বোধোদয়
হলো, কেবল অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
নিশ্চিন্তে রয়েছে বলবৎ।
---xxx---
অনিশ্চিয়তার কাছাকাছি
দিব্যি বেঁচেবর্তে আছি
শহরের কোলাহলে
হৃদয়ের দাবানলে
মোহের-দ্রোহের মাঝামাঝি
দিব্যি বেঁচেবর্তে আছি
---xxx---
আমি ছুটেছি উঁচুনিচু
পথ বেয়ে অজানার পিছু।
আমি চেয়েছি যা কিছু
হয়তো পেয়েছি কিছুটা;
হারিয়েছি আপন যা কিছু।
এবার আপনার পিছুছুটা...
---xxx---
আজন্ম বাড়ে না চোখের আয়তন
তবু এ চোখে হলো না কম দেখা
সহস্র জন্ম- মৃত্যুর বাৎসায়ন
হলো চোখের সামনে লেখা
চোখের সামনে নিভে গেলো অজস্র দীপাবলি
কষ্টার্জিত স্বাধীনতার নষ্টামিতে জ্বলি
---xxx---
আমাকে কিনে নিও না প্রিয়
আমি গোলামির জন্য জন্মিনি-
দাসপ্রথা উঠে গেছে সেই কবে।
আমাকে জিতে নিতে চাও নিও
কিন্তু আমি বশ্যতা মানতে শিখিনি-
রাজটীকা কপালে যার সেইতো রাজা হবে।
---xxx---
অনন্ত অপেক্ষায় আছি
আমি অধীর আগ্রহে বাঁচি
পূর্বে-পশ্চিমে আড়াআড়ি
ধৈর্যের সূর্যের পায়চারি
অফুরান স্বপ্নের নাচানাচি
আমি সানন্দে সান্দিধ্য যাচি
---xxx---
আমি যার অপেক্ষায়
সে হয়তো প্রতীক্ষায় অন্য কারো।
নিজের অজান্তে আমার উপেক্ষায়
হয়তো কেউ না কেউ, কেউবা তারো।
অপেক্ষারও শেষ হয় না,
উপেক্ষারও শেষ হয় না।
---xxx---
তৃমি একটু তোমার মতন
আমি একটু বাউন্ডুলে
আমরা একটু অন্যরকম
ভিন্ন যেমন পাঁচ আঙুলে
আসলে আমরা একই রকম
কষ্টে কাঁদি হৃদয় খুলে
---xxx---
কাল্পনিক ভাবনায় ছেয়ে আছে মন
আন্তরিক বন্ধু পাবে কি জীবন?
দৈনিক অসহায় জীবনযাপন
শাব্দিক বর্ণনায় সে বিবরণ
কাব্যিক হয়ে উঠে যেমন তেমন
দ্বিপাক্ষিক কান্নায় ভেসে গেছে মন
---xxx---
হয়তো এভাবেই শেষ হয়ে যাবে
নয়তো সবেমাত্র শুরু
হয়তো শুরুতেই শেষ হয়ে গেছে
নয়তো একটির শেষে আরেকটির শুরু
জেনেছি শেষাঙ্কের শেষে
শুরুতে ভালোই ছিলো সে ভালোবেসে
---xxx---
মুড়ি না মুড়কি?
মার্কিন না তুর্কি?
চুন না সুড়কি?
--- যাই হোক তোর কী?
এ আর কী
--- ইয়ার্কি!
---xxx---
তার চোখে চাইনি
চোখ পড়ে গেছে
মন তাকে দেইনি
মন চোরে গেছে
যখন দূরে গেছে
মন পুড়ে গেছে
---xxx---
বিষন্ন এক বিকালে
প্রষন্ন কোন প্রার্থনায়
যেমন আমি, হয়তো সবাই।
শীতের সকালে রোদ,
ঠাঠা রৌদ্রে একটু ছায়া –
এইতো চাওয়া।
---xxx---
রাজধানীর রাজপথে রৌদ্রে ভিজবো বলে
হুড তুলে রিক্সাতে বসতেই বৃষ্টি এলো
শহুরে রৌদ্রগুলো বড্ড গোবেচারা
মাথায় এসে পড়তে পড়তে ভিজে এলোমেলো
নাগরিক রোদবৃষ্টি কেমন যেন জলো
রৌদ্রে ভেজার স্বপ্ন উবে একলা মনে হলো
---xxx---
রোদ-বৃষ্টি-আলো-ছায়া
সবই ছিল
স্নেহ-মমতা-মন-মায়া
সবই ছিল
সবই ছিল আমার কাছে
হয়তো ছিল, হয়তো আছে
---xxx---
কী চাও তুমি আমার কাছে?
মৌলিকতা, মৌনতা?
চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে
কাম-বাসনা লুকিয়ে রেখে
অন্ধকারে সভ্যতা?
কী চাও তুমি আমার কাছে?
যা আছে তার তাইতে বেশি
চাইলে দিতে পারবো তা!
---xxx---
তোমাদের বদান্যতায়
এখনো অল্পবিস্তর লিখে যাই
ছন্দহীন জীবনে ছন্দ খুঁজে ফিরি।
নিজের দৈন্যতায় সস্তা কবিতায়
ফন্দিফিকির, আসর মাতাই
দোসর বলে বিচ্ছিরি!
---xxx---
মেঘের এমন কী আছে
চাঁদ ধরা দেয় তার বাহুপাশে
পরশ্রীকাতরতায়,
নিজেদের নিঃস্বতায়
কান্নায়
পড়েছি ভেঙে
---xxx---
আমারও তোমাকে লিখতে কিছু ইচ্ছে করতে পারে
আমারও মনটা কাঁদতে পারে হঠাৎ হু হু করে
আলতো করে ছুঁয়ে দেখতে আমারও ইচ্ছে করে
ডিসেম্বরের সকালে বা বিজয়ের হাহাকারে
আমারও ইচ্ছে করে ভীষণ তোমার কাছে ছুটি
শাড়ির পাড়ে, সবজে জমিনে ছোট ছোট লাল বুটি
---xxx---
তুমি ছিলে যুগের চেয়ে আধুনিক, তাই হতে পারোনি যুগোপযোগী।
তুমি যখন পুলওভার কেনো, তখনি যায় শীত।
লোকে তোমাকে বোকা ভাবে, অথচ তুমি যে কিছুটা কৃচ্ছসাধনের জন্য
আগামীবছরের সওদা করছো, ওরা তা বুঝবে কীভাবে?
---xxx---
কষ্ট পাওয়া সহজাত,
কষ্টেসৃষ্টে ভালো সেজে আছি।
নষ্ট হওয়া অনভিপ্রেত,
আষ্টপৃষ্টে ভালোবেসে বাঁচি।
কষ্ট দিলে মনে রাখা কষ্ট হবে,
বাসলে ভালো মনের রেখা স্পষ্ট হবে।
---xxx---
কিছু কথা ছিল তোমার সাথে
যা আমার বরাবরই থাকে,
ছেলেমানুষি, আবোলতাবোল।
চাঁদ-জোনাকির গভীর রাতে
না বলা কিছু কথার ফাঁকে
বলে ফেলা কথার অদলবদল।
---xxx---
এরচে' বুঝি আকাশ ছোঁয়া সহজ
আকাশ থেকে মেঘে লাফিয়ে পড়া
মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়া সহজ
বৃষ্টি হয়ে দু'চোখে ঝাঁপিয়ে পড়া
তাই দু'চোখের বৃষ্টিপাতের ঝরা
আমার হয়না তোমার হাতটা ধরা
---xxx---
কোনটা শিকল, কোনটা নুপুর!
ভাবতে ভাবতে হলো দুপুর!
কোথায় তুমি বন্দী হলে,
বের হবে কী সন্ধি হলে!
আমায় বলে দাও না ঠাকুর!
কবে তুমি মুক্ত হবে,
আমার সাথে যুক্ত হবে,
শিকল খুলে বাজবে নুপুর?
সকল ভুলে সাজবে সিঁদুর!
---xxx---
হয়তো কোন কারণ লাগে না
করণীয় ভালোবাসায়,
ধরন কখনো পাল্টে যাবে না,
ধারণ করার নেশায়।
---xxx---
তার বক্তব্যে ছিল ড্রাগনের মত আগুন,
উপমাগুলো তার হাইড্রার মত দ্বিগুণ
মাথা নিয়ে মারত ছোবল;
কন্ঠ ছিল ঈস্রাফিলের শিঙ্গার মত ঋজু আর সবল।
হঠাৎ করেই ডুব দিলো সে অতলান্তিক –
সে আর কেউ নয়, আমাদের প্রগলভ তারিক।
---xxx---
শক্ত থেকো, লগে আছি।
শান্ত হয়ে লেগে আছি।
---xxx---
ঢের হলো ভালোথাকা,
দু'চোখে স্বপ্নমাখা,
অনেকদিন হয়না অসুখ|
সুখের অসুখ হোক,
ঘুমে ভাঙুক চোখ,
ছন্দপতন নেমে আসুক।
---xxx---
তাই বুঝি ভুলে গেলে
তোমার লিখিনি বলে !?
প্রেমে তবে পড়েছিলে
লেখার কৌশলে !?
আমায় তুমি লিখোনি কিছুই।
ভালোবাসার শিখোনি কিছুই।
---xxx---
অনেক কথার ফুলঝুরিতে
রাত পোহাবে, কথা ফুরাবে না।
ঘুমিয়ে গেলে ঘুলঘুলিতে?
ভোরে বকুল ফুল কুড়াবে না?
---xxx---
পাখি! আমি অনেক নিচে, পিহা বীচে, দেখতে পেলে
হাতটা বাড়াও, বাড়িয়ে দাও, ধরতে শেখাও।
পাখি! তোমার আন্দোলিত, আলোড়িত পাখনা মেলে
আমায় উড়াও, উড়িয়ে নাও, উড়তে শেখাও।
পাখি! তুমি ইকারাসের ডানায় উড়ো, হেলিওসের তেজকে বুড়ো আঙুল দেখাও।
পাখি! তুমি উড়তে থাকো, ঘুরতে থাকো, প্রেমানলে ফিনিক্সটাকে পুড়তে শেখাও।
---xxx---
তোর মত স্পষ্টভাষী হয় না হওয়া,
দাসীকে যে ভালোবাসি হয় না কওয়া।
গালিগুলো গান হয়ে সব দিচ্ছে ধরা,
নগ্ন হয়ে নেচে প্রসব করছি ছড়া।
ঘঁষেমেজে সাজাই রোজ, বাজাই নতুন,
আমার বলা হয় না সহজ, "কুন ফায়া কুন"।
---xxx---
প্রথমবার আপনি থেকে তুমিতে নেমে
বলেছিলাম, ভুলে বলেছি। একটু থেমে
ভুল শুধরে
বললাম, ভুলটা করেছি ইচ্ছে করে।
তুমি কখনো আপনি ছিলে না, তোমার সাথে আপনি মিলে না।
তুমি আমার তুমিই ছিলে, অনেক আপনি'র সৌজন্য মিছিলে।
---xxx---
বলতে পারি ছন্দ কীসে
হয়তো কিছু মন্দ কীসে
সকল ভালো বলে দিতে পারবো না।
তোমার সকল মেধা খাটাও
নির্বাসনে দ্বিধা পাঠাও
আমায় ছেড়ে গেলে কিন্তু ছাড়বো না।
---xxx---
চুপিসারে এসে দাঁড়ালো একফোঁটা আলো চোখের ওপরে।
সাদাকালো স্বপ্নের গমনপথে কিছু বর্ণহীন তরল
নিজেকে সামালাতে না পেরে গড়িয়ে পড়ে।
ভালোবাসা খুঁজে পায় নৈঃশব্দের কবিতা কেবল।
অধর ছোঁয়া হয়নি তখনো, স্বপ্ন ছোঁয়া হয়নি কখনো।
ভালোবাসা? সেতো রূপকথা। যেমন তখনো ছিলো, আছে এখনো।
---xxx---
এতো ডাকো, এতো ডাকো কেন আমায়?
ঘুরে এলেই তুমি সরে দাঁড়াও।
সরে গেলেই তুমি ঘুরে দাঁড়াও।
একী খেলা! কী খেলায় মেতেছো হেলায়?
না বুঝেই আমি সাড়া দিয়ে যাই।
তা বুঝেই বুঝি ডেকেছো হেলায়!
---xxx---
প্রভু, তুমি পাঁচবার মোনাজাত
-এ চাইতে বলেছো। আমি দু'হাত
তুলে চেয়েছি সারাবেলায়;
শূণ্যহাতে ফিরেছি অবহেলায়।
কতবার তুমি ফিরাবে আঘাতে?
ক'বার ফিরাবে কত অজুহাতে?
---xxx---
কেউ ছিলো কী? হয়তো ছিলো, নয়তো আছে।
সে দূরে কী? হয়তো দূরে, নয়তো কাছে।
চাইনা কিছু বদলে দিতে,
ঠান্ডা লাগে পলকা শীতে;
বাসে আগুন লাগিয়ে তবু গরম হবার
কোনরকম ইচ্ছেটিচ্ছে হয়না আমার।
---xxx---
তোমায় আমি ভালোবাসি, বলবো কেন?
তুমি আমার কে? তোমার কথায় চলবো কেন?
ছায়া দেখে বলতে পারো তার মুখেতে
দুঃখ কেন, রুক্ষ কেন চুলগুলো সব, ক্যান উদাসী?
চোখের নিচে কালি কেন - কোন সুখেতে?
তবেই আমি বলবো, তোমায় ভালোবাসি, সর্বনাশী!
---xxx---
আমার ফেরার উপায় নাই
তোমায় পরিয়ে পায়ে নুপুর,
তোমার নাচের ঝুমুর ঝুমুর
না দেখেই যদি যাই
বৃথাই সকাল-দুপুর
আমার ফেরার ইচ্ছা নাই
---xxx---
তোমাকে ফিরিয়ে দেই সে সাধ্য নেই,
তোমাকে ধরে রাখি সে সাহসও নেই।
আমার অনেক নেই-এর মাঝে যাইবা আছে
সেই ভালোবাসা নিয়েই আসি কাছে।
অধিকারে অধীকৃত হয়ে আছো বলে
খুব সহজে বলে ফেলি, যাবে? যাও না চলে!
---xxx---
সবাই আমায় কষ্ট দিলে, তুমিও দিলে
খেয়ালখুশির উস্টা দিলে, সবাই মিলে
ভালোবেসে জিত হয়েছে আমার একার
আমার যেন জিদ হয়ে একলা জেতার
কষ্ট দিলে মনে রাখা কষ্ট হবে
বাসলে ভালো মনের রেখা স্পষ্ট হবে
কষ্ট পাওয়া রুটিন আমার, অফিস কেন
ছুটির দিনেই আসিস, ভালোবাসিস যেন
---xxx---
হাতটা কেন কাটতে গেলে,
আঁকতে গেলে সিঁথির সিঁদুর?
আমি ভয়ে চোখ বুঁজেছি,
খোঁজ করেছি আঁচলটুকুর।
চাইনি হতে রক্তঝরা আলতাপরা পায়ের মল,
চাইছি আমি বধূর চোখে সুখেদুখে প্রণয় জল।
---xxx---
আমি কিছু করছি না
দু'কদমও নড়ছি না
ছাড়তে তোমায় পারছি না
ছেড়ে গেলেও ছাড়ছি না
আর কাউকে ধরছি না
তোমায় ছাড়া মরছি না
---xxx---
আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। ঘুম ভাঙতেই আমি দৌড়ে তোমার কাছে ছুটে এলাম।
-দেখো আমার পিঠ কেমন ভিজে গেছে ভয়ে।
আঁচল দিয়ে আমার ঘেমে যাওয়া পিঠটা মুছিয়ে দিলে, ঢেকে রাখলে বুকের অভয়পুরীতে।
তোমার কথা মত বাঁ দিকে মুখ ঘুরিয়ে তিনবার আউজুবিল্লাহ বলে ফুঁ দিলাম।
লক্ষী ছেলের মত তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম নিষ্পাপ শিশুর মত।
---xxx---
আমি আর লিখবো না ভেবে
তা নিয়ে লিখে ফেলি দু'কলম।
আমি আর হাঁটবো না ভেবে
আশ্রয়ের সন্ধানে পেছন হাঁটি দু'কদম।
ঘুমাতে গেলে মনে আসে চিরঘুমের ভয়,
জেগে উঠে বিস্মিত হই, বেঁচে থাকা পরম বিস্ময়!
---xxx---
ভেবেছো বিয়ে করে সুখী হবে
তা আর হচ্ছে না লক্ষীটি
কেবল তো দুঃখের শুরু!
যতই প্লাক করো ভুরু
অথবা দাঁত খিটিমিটি
আবার কী করে কুমারী হবে!
---xxx---
আমি চাইনা থাকতে ভালো
যখন ভালো থাকা কঠিন
মুখে যতই ধরি আলো
মন খারাপের সুদিন
সাদা কাগজে কালিতে কালো
কাব্য লিখা রুটিন
---xxx---
নর্থ আমেরিকার একটি দ্রুতগামী
ট্রেন লাইনচুত্য হয়ে গুঁড়িয়ে দিলো বুকের বাঁ পাশটা।
বিগত দশকের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্হ ডানবুকে হাত চেপে আমি
হাঁটুগেড়ে বসে পড়লাম বরফের ভিতর। আকাশটা
দ্রুত ভেঙে পড়লো মাথার উপর,
আর মুহূর্তে চোখে ভেসে উঠলো বিগত বসন্তের নিহত প্রহরগুলো।
---xxx---
সব পেয়েছি
ঘরের উপর ছাদ পেয়েছি
বেঁচে থাকার স্বাদ পেয়েছি
ভীষণ একলা রাত পেয়েছি
লেখালেখির হাত পেয়েছি
(বাঁচার মতন) সব পেয়েছি
---xxx---
কান্দে হিয়া চান্দে গিয়া, বান্ধে সুখের ঘর
পত্র দিও, চিত্র দিও পাইলে অবসর ...
দিনদুনিয়ার বান্দা আমি, চান্দে শাহজাহান
কাইন্দা কাইন্দা আন্ধা আমি, কান্দে নূরজাহান ...
যোজন যোজন হইলো ফারাক, হইলো পেরেশানি
মইরা গেলে হয়না তালাক, খোদার মেহেরবানি ...
---xxx---
সব বেড়েছে
চালের দাম ঢের বেড়েছে
তেলের দাম ফের বেড়েছে
দেশের প্রতি দায় বেড়েছে
তোমার প্রতি সায় বেড়েছে
(প্রতিমাসে) সব বেড়েছে

---xxx---
আমার জীবন ছিল না সহজ
সরলপানের পিয়ালায় ছিল তরল গরল
হিসাব মেলানো ঠিক ছিল না সহজ
হিসাব মেলাতে তাই ছিল না গরজ
মেলাতে পারেনি কবি জাভেদ জামাল
আমিও থতমত হয়তো বেসামাল
---xxx---
কিছু কিছু অসংবিদিত রয়ে যাবে;
কেউ কেউ স্মিত হেসে বলবে,
কিছু কিছু অমীমাংসিত।
কিছু কিছু অশ্রু হয়ে যাবে;
কেউ কেউ ভালোবেসে জ্বলবে,
কিছু কষ্ট একান্তে সঞ্চিত।
---xxx---
সময়, প্রেয়সী, জননী! কেউ অপেক্ষা করোনি।
মৃত্যু! তোমাকেই বলছি, ছেড়ে যেতে কেন পারোনি?
---xxx---
আমার প্রার্থনায় মানুষ হয়ে যায় দেবতা;
আমি দেবতাদের জন্য প্রার্থনা করে বলি,
হে প্রভু! আবার ওদের মানুষ করে দাও।
---xxx---
ষোল কোটি করোটিতে ষোল কোটি হৃদয়
একসাথে হেসে উঠে, চোখেমুখে বিজয়
ষোল কোটি মানুষের একটাই মাতা
মমতায় বেঁধে রাখে ষোল কোটি মাথা
ষোল কোটি বুড়ো,খোকা তার কাছে শিশু
মরে গেলে মন কাঁদে, কেঁদে ফেলে যীশু
---xxx---
ভক্ত-অভক্ত ছিল কবিতা যেখানে
প্লেটোরা মরে গেছে কবিতার বাণে
---xxx---
সত্য শুনতে শুনতে কান ব্যথা
হয়ে গেলো। বলো শুনি মিথ্যে কথা।
বলো প্রেম, শিশু নিষ্ঠুর।
বলো সব মিথ্যে মধুর।
বলো জোরে, আরো জোরে কথা।
---xxx---
মিথ্যের সাথে আছি তুমি-আমি-আমজনতা।
আজো আমি সত্যের গলা জড়িয়ে গান ধরি
সুবিধাজনক স্বীকৃত সত্যে গা ঢাকা দিয়ে...
নির্মম সত্য থেকে নিজেকে নিয়েছি গুটিয়ে
ঘরোয়া সত্যের আজো আমি চরম চর্চা করি।
---xxx---
বিশ্বাসেরই যখন ব্যাপার, তোমাকে কেন?
আমি বরং ঈশ্বরেই আস্থাজ্ঞাপন করি!
---xxx---
একদিন সকালে উঠে দেখি -
আমার হাত শাহবাগে,
মাথা জায়নামাজে,
পা গোরস্তানে...
হৃদয় কোথাও খুঁজে পেলাম না!
---xxx---
আমি পলাশী বাজারের
ফটোস্ট্যাট মেশিন হতে চাই।
তোমার হৃদয়ের শ'খানেক
ফটোকপি করে রেখে দিবো।
বৃষ্টিবাদল-কান্নায় ভিজে গেলেও ভয় নাই।
থাকলে থাকো, ভাগলে ভাগো।
---xxx---
চুপটি থাকলে মা বকতো, কী হলো! বউ মরলো নাকি?
রাগে তখন ঠোঁট ফুলিয়ে ভীষণ রকম কাঁদতে থাকি,
বয়েই গেছে করতে বিয়ে, তোমায় ছেড়ে থাকতে একা।
পাগল ছেলে! মা বলতো, বড় হ তো, যাবে দেখা
আলতো করে চোখে চুমু দিয়ে বলতো, ঘুমো খোকা।
ঘুমের মাঝে রাজকণ্যা বিয়ের সাজে ডাকতো, সখা! :P
---xxx---
আজকাল আর প্রশ্ন করি না,
জানি তুমিও আমার মতই নরকবাসী।
তোমার নরকের তাপমাত্রা কমেছে কিনা
জিজ্ঞেস করতে গিয়ে হাসি
চেপে রাখতে পারিনা।
এই ভালো, একটু হাসা হলো, নির্দোষ হাসি।
---xxx---
রক্তে আমার বিদ্রোহ নেই, নরেন!
আছে শুধু অভিমান,
খুব বেশি হলে কলহ বলতে পারেন।
একান্ত যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া করেন,
কপাল চাপড়ে বলি, হে ভগবান!
সরেন তো, পথ ছাড়েন!!!
---xxx---
কবিতার বিষয়বস্তু বড় সীমিত
হয়ে গেছে। ঈশ্বর, দেশপ্রেম করে
শেষে আমি-তুমিতে এসে থামে।
কবিতা এত্ত বেশি সুন্দর-মার্জিত,
বড্ড বেশি রক্ষণশীল হয়ে যায়। ক'দিন ধরে
ভাবছি, তোমাকে একটা খোলামেলা চিঠি দিবো খামে...
---xxx---
আমি উঁচু মানের কেউ না, দীপাবলি!
গুলিয়ে ফেলি সাগর-মরুভূমি।
দীর্ঘ অসাক্ষাতে তোমাকে আপনি বলি,
তুইকে বলি তুমি।
সম্বোধনটা ভুলে গেলে যা হয়।
মরমে মরি লাজে। শুধাই, কী করা হয়?
---xxx---
খুব বেশি সাহস হয়েছে তোমার!
রাগ দেখাও আমার সাথে?
কী ভেবেছো তুমি? সন্ধ্যারাতে
ঘরে ফেরার বয়স আছে আমার?
ইচ্ছে মতো চ্যানেল ঘুরাও, তোমার হাতেই রিমোট
দাঁড়াও! একের পর এক সিগারেট খেয়ে পুড়িয়ে ফেলছি ঠোঁট
---xxx---
সবাই হেঁটে যায় আমিও যাই
ওভারব্রীজের নিচ দিয়ে পেরুই রাস্তা
দিন কেটে যাক আমিও চাই
ওভারটাইম বাঁচতে গেলেই হেনাস্তা
সাদামাটা হিসেব দেখে ভাবো,
বাড়িটা কোথায় দাদা, বাসাবো?
---xxx---
পহেলা ফাগুনে পুড়েছি ১লা আগুনে...
---xxx---
ঈশ্বর বধির বলেই আমি মৌণ ভূমিকায়।
আমি অধীর হলেই তিনি ভুগেন অনীহায়।
---xxx---
অমাবস্যার মতই পূর্ণিমা আসে
ভাগাভাগি করে খেলে আলোআঁধারির খেলা
কিন্তু মন খারাপের বেলাঅবেলা নেই
আকাশের মেঘ নেই, মনের কোণে মেঘ জমেছে বড়
কখন জানি ঝরেও গেছে
বৃষ্টি শেষের পরিছন্ন রাস্তায় পা ফেলতেই
দেখি জুতোজোড়াকে বেশ নোংরা ঠেকছে
আহা! নিজেকে কতদিন দেখিনা
---xxx---
মাঝে মাঝে মিথ্যে সুখের হয়,
মাঝে সাঝে সত্যে লাগে ভয়।
মাঝে মাঝে মিথ্যে ডুবে যাই,
মাঝে সাঝে সত্যে মুখ লুকাই।
মাঝে মাঝে সত্যে যা যা দেখি,
আজে বাজে মিথ্যে দিয়ে ঢাকি।
---xxx---
এ মন সম্পূর্ণ অরক্ষিত এখনো
কখনো আমাকে ধেয়ে আসেনি সফেন একটিও ঢেউ।
শুধু ছোঁয়ার অপেক্ষায় ছিলাম এতটা বছর
কেবল একটু ছোঁয়া, তাও ছোঁয়নি কেউ।
কিভাবে কী নির্বিঘ্নে যে কাটালাম প্রতীক্ষার প্রহর
আজো ভাবি। আজ ভাবি তেমন করে কি কাউকে চেয়েছি কখনো?
---xxx---
ঢাকার কোলাহলে আবারো মিশে গেলাম;
সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে জলাঞ্জলি দিয়ে তুরাগ নদীর জলে।
---xxx--
সহজ করে আমিও বলতে চাই
কঠিন করে সহজ কিছু চাইনা।
কষ্ট করে কারো গলায় তাই
কাঁটা হয়ে বিঁধে জ্বলতে চাইনা।
---xxx---
তোমার জৌলুসে মুগ্ধবিধ্বস্ত আমি
এবং এভাবে মুগ্ধ হতেই আমি অভ্যস্ত।
আর মুগ্ধতাই যখন আমার একমাত্র সম্বল
তখন আমাকে মুগ্ধ করতেই তুমি সিদ্ধহস্ত।
---xxx---
সচেতন আকাঙ্খায় উচ্চবিত্ত তুমি
অবচেতনে ভালবাসার কাছেই দীন হয়েছ।
তাই কখনোই মনে হয়নি তুমি আমার নও।
---xxx---
বাংলার মানুষ কার কাছে কেমন
তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই;
কিছু মানুষ আমার মনের মত
কেউবা প্রিয়জনদের একজন।
---xxx---
মানুষের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে
কানে আঙুল দিয়ে বসে আছি।
কখন যে ভালবাসার কথা বলে গেলে
জানতে পাইনি।
---xxx---
এ আর নতুন কী, হারাবে পাখি দূরাগত নীলে।
এ তো জানাই ছিলো, মিশে যাবো আহত মিছিলে।
এ তো হতেই পারে, মুখোমুখি হলে কোন দিনে,
না হয় হেঁটেই যাবে, পাশ ফিরে আমাকে না চিনে।
না হয় ভুলেই যাবো, কোন দিন ছিলো চেনাজানা,
কীইবা করার থাকে, কষ্টেরা পাকালে ফের দানা।
---xxx---
তোমার চোখের ভাললাগা
আমার চোখের ঘোর,
বিষন্নতায় রাত্রি নামে
প্রসন্নতায় ভোর।
---xxx---
তার সিঁথিতে সিঁদুর দেখেছি,
তাই নিশিথে ঋশী সেজেছি।
---xxx---
আমি কথা বলি একা একা
আমার রাগ, ক্ষোভ, অভিমানের সাথে,
নিজেকে ডেকে বলি, খোকা!
কেউ না থাকলেও আছি আমি দিনেরাতে।
সত্যি বলতে তোকেই কিছুটা বুঝি
আর কাউকে হয়নিতো বোঝা,
আমি নিজেকেই বারে বারে খুঁজি
হয়তো নিজেকেই খুঁজে পাওয়া সোজা।
---xxx---
আমাকে দিয়েছ তৃষায়
দিশা হারাবার মত বিষয়,
তোমার নীলাক্ষি নেশায়
পথ হারাবার যত ভয়।
---xxx---
সুস্হ সকাল কীভাবে দুঃস্হ রাতে রূপান্তরিত হলো
তুমি তা জানতেও পারবে না
চোখের সামনে একেকটা মুহূর্ত কীভাবে লাশ হয়ে গেল
কী বীভৎস সে দৃশ্য! তুমি সইতে পারবে না
আমার এখন সয়ে গেছে সব, অনেকটা ক্ষুধার মত
ক্ষুধা পেলেই কিছুটা খাবার মুখে পুরে দিতে হয়, যেমনটা জানি
যেমনটা জানি, একটু অনিয়মে এ্যাসিডিটি তোমাকে ভোগায়
রাত জেগে আর ছেলেমানুষি করো না বাছা, ঘুমিয়ে পড়ো;
কতবার বলেছি, নিয়ম করে ওষুধটুকু খেয়ে নিও, হে প্রিয়!
---xxx---
দিনকে দিন অহং ভেঙ্গে পড়ে,
দিনকে দিন নিয়তির বেড়াজালে
জড়িয়ে পড়ছে সব!
দিনকে দিন স্বপ্ন ঢুকরে মরে,
দিনকে দিন দাসত্বের শৃঙ্খলে
এভাবে অসম্ভব!
---xxx---
সহজ করে বললে পাছে
বুঝে ফেলো কী আছে
অরক্ষিত অন্দরে,
তাই একটু অদলে-বদলে তামাম
শব্দগুলো সাজিয়ে নিলাম
উল্টাপাল্টা করে।
---xxx---
সাইড বেঞ্চে বইস্যা কাটল জীবন,
পারফর্ম করুম ক্যামনে কবি কন!
কোচডারে তাই উস্টা দিতে মঞ্চায়,
ক্যারিয়ারডা হইয়্যা গ্যাছে বনশাই!
---xxx---
আমি বড্ডো এলোমেলো।
কারণ, তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে।
বন্ধূ! তুমি আসছো তো!
চার দেয়ালের মাঝে নিজেকে বন্দী করেছি।
তুমি আসলেই কেবল সূর্যের মুখ দেখব।
কারণ, তুমিই যে আমার রৌদ্রকরোজ্জ্বল আনন্দমুখর মুহূর্ত।
---xxx---
স্বপ্নের উঠোনে কে হাঁটে!
সত্যের খিড়কি খুলে তাকে দেখতে চাই।
আকাশকুসুম ভাবনায় দিন কাটে,
কবে জানি আকাশটাকে কুসুম ভেবে খাই!
---xxx---
আমার চোখে ক্রোধ জমেছে,
তার চোখেতে জল।
এবার বুঝি শোধ হয়েছে
তুই কী বলিস, বল!
---xxx---
আমার বাগানে একটি ফুল চোখ মেলে থাকাল।
ভ্রমণজনিত কান্তিতে তার চোখদু'টো ফুলে গেছে,
কেমন বিষন্ন ছাপ, আমার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে আছে।
তৃষ্ণার্ত ফুলটিকে আমি পানি দিলাম, দিলাম দু'মুঠো সার।
একটু কোমল করে সে হাসল আমার দিকে চেয়ে।
পরদিন তার খবর নিয়ে গিয়ে দেখি, মা তার পাশে বসে কাঁদছে :'(
---xxx---
হয়তো কিছুই নেই, যা আছে ছেঁড়া,
নয়তো হারিয়ে গেছে, তাই খুঁজে ফেরা।
হয়তো সুখের মাঝে দুঃখটা বেশি,
নয়তো শোকের মাঝে ঢের ডুবে গেছি।
হয়তো ঠিকই আছি, তাইতো আয়েশী
ভঙ্গিতে দুঃখটা সস্তায় বেঁচি।
---xxx---
গেলাসের তলানির একফোঁটা জল মুখে ঢেলে
একটু সুস্হির হয়ে বসলাম। রবাবরের মত ভুলো মনকে
একটু শাসিয়ে দিলাম। কাল খালি হাতে বাড়ি এলে
এক হাত দেখে নিবো। একটু থমকে
গেলাম, নিজের সাথে আজকাল বড্ড বেশি কথা হয়;
আমি ও আমার ঠোকাঠুকিতে মন্দ কাটছে না সময়!
---xxx---
তৃষ্ণার্ত না হলে তোমার জল আমি ছুঁয়ে দেখতাম না।
দিগম্বর হবার আশায় রণে ভঙ্গে দিলাম
সম্ভ্রোমের কথা ভেবে;
নগ্নতায় ছিলো জন্মগত আভিজাত্য মিশে।
---xxx---
নাওয়া-খাওয়া সবটা গেছি ভুলে
বই-খাতা সই ফেলেছি সব তুলে
ঘুম আসেনা মখমলেও শুলে।
রাতবিরাতে দুয়ার রেখেছি খুলে
স্নিগ্ধ বাতাস দোল দিয়েছে চুলে
এমনি করে মনটা যদি দুলে!
---xxx---
আনুষ্ঠানিক আবেগকে রুখব বলে
চোখের জলকে ফেলে দিলাম জলে
---xxx---
মন গিয়েছে মনের ঘরে ঘুরতে
সেখানে সে নিজের কবর খুঁড়তে
খুঁড়তে গিয়ে পায়নি মাটির ঘর
নিজের কাছে নিজেই যেন পর
ক্লান্তিতে তার কান্তিখানি ভাড়ি
মন খুঁজে পায়নি মনের বাড়ি
---xxx---
কেউ এলেই চলে;
হোক যুবতী লজ্জাবতী
অথবা চাঁদ।
একটু হলেই চলে;
একটু সময় যদিবা হয়
নির্বিবাদ।
---xxx---
কেউ নই কারো মত
তবু দু'জনার ব্রত
সুখী হতে,
আমরা যে যার মত
ছুটেছি অবিরত
ভুল পথে।
---xxx---
নিরাপদ দূরত্বে
ঘুরতে ঘুরতে
যে আবর্তে আমরা এসে পড়ে গিয়েছি,
তা থেকে কোনমতে
বের হয়ে বন্ধু হতে
এ মর্তে পারবো না বলে ধরে নিয়েছি।
---xxx---
খোলা আকাশে
হৃদয় প্রকাশে
লজ্জিত আমি হইনি,
তোমার লজ্জার
বাসর সজ্জার
সাক্ষী তো আমি হইনি!
---xxx---
আমি বাহাদুর না
তুমিও ইঁদুর না
লাথিটা পেলাম ঠিকই,
মাদুলি না চাই
আধুলি না পাই
খুশি পেলেই সিকি |
---xxx---
এ ভেসে যায়
ভাসমান জলে
একূলে-ওকূলে পলিমাটি ফেলে,
সে হেসে যায়
সুনিপুন ছলে
অলিতে-গলিতে দাবানল জ্বেলে|
---xxx---
শার্সিতে
সে চোখটিতে
এট্টুকু প্রেম মিশে!
কালসিটে
এ চোখটিতে
সেট্টুকু কম কীসে!
---xxx---
সোঁদামাটির গন্ধ
মুছে নিলাম কনক্রিটের ধূলোয়।
জীবনের মুখবন্ধ
লিখতে বসে বোধোদয়
হলো, কেবল অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
নিশ্চিন্তে রয়েছে বলবৎ।
---xxx---
অনিশ্চিয়তার কাছাকাছি
দিব্যি বেঁচেবর্তে আছি
শহরের কোলাহলে
হৃদয়ের দাবানলে
মোহের-দ্রোহের মাঝামাঝি
দিব্যি বেঁচেবর্তে আছি
---xxx---
আমি ছুটেছি উঁচুনিচু
পথ বেয়ে অজানার পিছু।
আমি চেয়েছি যা কিছু
হয়তো পেয়েছি কিছুটা;
হারিয়েছি আপন যা কিছু।
এবার আপনার পিছুছুটা...
---xxx---
আজন্ম বাড়ে না চোখের আয়তন
তবু এ চোখে হলো না কম দেখা
সহস্র জন্ম- মৃত্যুর বাৎসায়ন
হলো চোখের সামনে লেখা
চোখের সামনে নিভে গেলো অজস্র দীপাবলি
কষ্টার্জিত স্বাধীনতার নষ্টামিতে জ্বলি
---xxx---
আমাকে কিনে নিও না প্রিয়
আমি গোলামির জন্য জন্মিনি-
দাসপ্রথা উঠে গেছে সেই কবে।
আমাকে জিতে নিতে চাও নিও
কিন্তু আমি বশ্যতা মানতে শিখিনি-
রাজটীকা কপালে যার সেইতো রাজা হবে।
---xxx---
অনন্ত অপেক্ষায় আছি
আমি অধীর আগ্রহে বাঁচি
পূর্বে-পশ্চিমে আড়াআড়ি
ধৈর্যের সূর্যের পায়চারি
অফুরান স্বপ্নের নাচানাচি
আমি সানন্দে সান্দিধ্য যাচি
---xxx---
আমি যার অপেক্ষায়
সে হয়তো প্রতীক্ষায় অন্য কারো।
নিজের অজান্তে আমার উপেক্ষায়
হয়তো কেউ না কেউ, কেউবা তারো।
অপেক্ষারও শেষ হয় না,
উপেক্ষারও শেষ হয় না।
---xxx---
তৃমি একটু তোমার মতন
আমি একটু বাউন্ডুলে
আমরা একটু অন্যরকম
ভিন্ন যেমন পাঁচ আঙুলে
আসলে আমরা একই রকম
কষ্টে কাঁদি হৃদয় খুলে
---xxx---
কাল্পনিক ভাবনায় ছেয়ে আছে মন
আন্তরিক বন্ধু পাবে কি জীবন?
দৈনিক অসহায় জীবনযাপন
শাব্দিক বর্ণনায় সে বিবরণ
কাব্যিক হয়ে উঠে যেমন তেমন
দ্বিপাক্ষিক কান্নায় ভেসে গেছে মন
---xxx---
হয়তো এভাবেই শেষ হয়ে যাবে
নয়তো সবেমাত্র শুরু
হয়তো শুরুতেই শেষ হয়ে গেছে
নয়তো একটির শেষে আরেকটির শুরু
জেনেছি শেষাঙ্কের শেষে
শুরুতে ভালোই ছিলো সে ভালোবেসে
---xxx---
মুড়ি না মুড়কি?
মার্কিন না তুর্কি?
চুন না সুড়কি?
--- যাই হোক তোর কী?
এ আর কী
--- ইয়ার্কি!
---xxx---
তার চোখে চাইনি
চোখ পড়ে গেছে
মন তাকে দেইনি
মন চোরে গেছে
যখন দূরে গেছে
মন পুড়ে গেছে
---xxx---
বিষন্ন এক বিকালে
প্রষন্ন কোন প্রার্থনায়
যেমন আমি, হয়তো সবাই।
শীতের সকালে রোদ,
ঠাঠা রৌদ্রে একটু ছায়া –
এইতো চাওয়া।
---xxx---
রাজধানীর রাজপথে রৌদ্রে ভিজবো বলে
হুড তুলে রিক্সাতে বসতেই বৃষ্টি এলো
শহুরে রৌদ্রগুলো বড্ড গোবেচারা
মাথায় এসে পড়তে পড়তে ভিজে এলোমেলো
নাগরিক রোদবৃষ্টি কেমন যেন জলো
রৌদ্রে ভেজার স্বপ্ন উবে একলা মনে হলো
---xxx---
রোদ-বৃষ্টি-আলো-ছায়া
সবই ছিল
স্নেহ-মমতা-মন-মায়া
সবই ছিল
সবই ছিল আমার কাছে
হয়তো ছিল, হয়তো আছে
---xxx---
কী চাও তুমি আমার কাছে?
মৌলিকতা, মৌনতা?
চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে
কাম-বাসনা লুকিয়ে রেখে
অন্ধকারে সভ্যতা?
কী চাও তুমি আমার কাছে?
যা আছে তার তাইতে বেশি
চাইলে দিতে পারবো তা!
---xxx---
তোমাদের বদান্যতায়
এখনো অল্পবিস্তর লিখে যাই
ছন্দহীন জীবনে ছন্দ খুঁজে ফিরি।
নিজের দৈন্যতায় সস্তা কবিতায়
ফন্দিফিকির, আসর মাতাই
দোসর বলে বিচ্ছিরি!
---xxx---
মেঘের এমন কী আছে
চাঁদ ধরা দেয় তার বাহুপাশে
পরশ্রীকাতরতায়,
নিজেদের নিঃস্বতায়
কান্নায়
পড়েছি ভেঙে
---xxx---
আমারও তোমাকে লিখতে কিছু ইচ্ছে করতে পারে
আমারও মনটা কাঁদতে পারে হঠাৎ হু হু করে
আলতো করে ছুঁয়ে দেখতে আমারও ইচ্ছে করে
ডিসেম্বরের সকালে বা বিজয়ের হাহাকারে
আমারও ইচ্ছে করে ভীষণ তোমার কাছে ছুটি
শাড়ির পাড়ে, সবজে জমিনে ছোট ছোট লাল বুটি
---xxx---
তুমি ছিলে যুগের চেয়ে আধুনিক, তাই হতে পারোনি যুগোপযোগী।
তুমি যখন পুলওভার কেনো, তখনি যায় শীত।
লোকে তোমাকে বোকা ভাবে, অথচ তুমি যে কিছুটা কৃচ্ছসাধনের জন্য
আগামীবছরের সওদা করছো, ওরা তা বুঝবে কীভাবে?
---xxx---
কষ্ট পাওয়া সহজাত,
কষ্টেসৃষ্টে ভালো সেজে আছি।
নষ্ট হওয়া অনভিপ্রেত,
আষ্টপৃষ্টে ভালোবেসে বাঁচি।
কষ্ট দিলে মনে রাখা কষ্ট হবে,
বাসলে ভালো মনের রেখা স্পষ্ট হবে।
---xxx---
কিছু কথা ছিল তোমার সাথে
যা আমার বরাবরই থাকে,
ছেলেমানুষি, আবোলতাবোল।
চাঁদ-জোনাকির গভীর রাতে
না বলা কিছু কথার ফাঁকে
বলে ফেলা কথার অদলবদল।
---xxx---
এরচে' বুঝি আকাশ ছোঁয়া সহজ
আকাশ থেকে মেঘে লাফিয়ে পড়া
মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়া সহজ
বৃষ্টি হয়ে দু'চোখে ঝাঁপিয়ে পড়া
তাই দু'চোখের বৃষ্টিপাতের ঝরা
আমার হয়না তোমার হাতটা ধরা
---xxx---
কোনটা শিকল, কোনটা নুপুর!
ভাবতে ভাবতে হলো দুপুর!
কোথায় তুমি বন্দী হলে,
বের হবে কী সন্ধি হলে!
আমায় বলে দাও না ঠাকুর!
কবে তুমি মুক্ত হবে,
আমার সাথে যুক্ত হবে,
শিকল খুলে বাজবে নুপুর?
সকল ভুলে সাজবে সিঁদুর!
---xxx---
হয়তো কোন কারণ লাগে না
করণীয় ভালোবাসায়,
ধরন কখনো পাল্টে যাবে না,
ধারণ করার নেশায়।
---xxx---
তার বক্তব্যে ছিল ড্রাগনের মত আগুন,
উপমাগুলো তার হাইড্রার মত দ্বিগুণ
মাথা নিয়ে মারত ছোবল;
কন্ঠ ছিল ঈস্রাফিলের শিঙ্গার মত ঋজু আর সবল।
হঠাৎ করেই ডুব দিলো সে অতলান্তিক –
সে আর কেউ নয়, আমাদের প্রগলভ তারিক।
---xxx---
শক্ত থেকো, লগে আছি।
শান্ত হয়ে লেগে আছি।
---xxx---
ঢের হলো ভালোথাকা,
দু'চোখে স্বপ্নমাখা,
অনেকদিন হয়না অসুখ|
সুখের অসুখ হোক,
ঘুমে ভাঙুক চোখ,
ছন্দপতন নেমে আসুক।
---xxx---
তাই বুঝি ভুলে গেলে
তোমার লিখিনি বলে !?
প্রেমে তবে পড়েছিলে
লেখার কৌশলে !?
আমায় তুমি লিখোনি কিছুই।
ভালোবাসার শিখোনি কিছুই।
---xxx---
অনেক কথার ফুলঝুরিতে
রাত পোহাবে, কথা ফুরাবে না।
ঘুমিয়ে গেলে ঘুলঘুলিতে?
ভোরে বকুল ফুল কুড়াবে না?
---xxx---
পাখি! আমি অনেক নিচে, পিহা বীচে, দেখতে পেলে
হাতটা বাড়াও, বাড়িয়ে দাও, ধরতে শেখাও।
পাখি! তোমার আন্দোলিত, আলোড়িত পাখনা মেলে
আমায় উড়াও, উড়িয়ে নাও, উড়তে শেখাও।
পাখি! তুমি ইকারাসের ডানায় উড়ো, হেলিওসের তেজকে বুড়ো আঙুল দেখাও।
পাখি! তুমি উড়তে থাকো, ঘুরতে থাকো, প্রেমানলে ফিনিক্সটাকে পুড়তে শেখাও।
---xxx---
তোর মত স্পষ্টভাষী হয় না হওয়া,
দাসীকে যে ভালোবাসি হয় না কওয়া।
গালিগুলো গান হয়ে সব দিচ্ছে ধরা,
নগ্ন হয়ে নেচে প্রসব করছি ছড়া।
ঘঁষেমেজে সাজাই রোজ, বাজাই নতুন,
আমার বলা হয় না সহজ, "কুন ফায়া কুন"।
---xxx---
প্রথমবার আপনি থেকে তুমিতে নেমে
বলেছিলাম, ভুলে বলেছি। একটু থেমে
ভুল শুধরে
বললাম, ভুলটা করেছি ইচ্ছে করে।
তুমি কখনো আপনি ছিলে না, তোমার সাথে আপনি মিলে না।
তুমি আমার তুমিই ছিলে, অনেক আপনি'র সৌজন্য মিছিলে।
---xxx---
বলতে পারি ছন্দ কীসে
হয়তো কিছু মন্দ কীসে
সকল ভালো বলে দিতে পারবো না।
তোমার সকল মেধা খাটাও
নির্বাসনে দ্বিধা পাঠাও
আমায় ছেড়ে গেলে কিন্তু ছাড়বো না।
---xxx---
চুপিসারে এসে দাঁড়ালো একফোঁটা আলো চোখের ওপরে।
সাদাকালো স্বপ্নের গমনপথে কিছু বর্ণহীন তরল
নিজেকে সামালাতে না পেরে গড়িয়ে পড়ে।
ভালোবাসা খুঁজে পায় নৈঃশব্দের কবিতা কেবল।
অধর ছোঁয়া হয়নি তখনো, স্বপ্ন ছোঁয়া হয়নি কখনো।
ভালোবাসা? সেতো রূপকথা। যেমন তখনো ছিলো, আছে এখনো।
---xxx---
এতো ডাকো, এতো ডাকো কেন আমায়?
ঘুরে এলেই তুমি সরে দাঁড়াও।
সরে গেলেই তুমি ঘুরে দাঁড়াও।
একী খেলা! কী খেলায় মেতেছো হেলায়?
না বুঝেই আমি সাড়া দিয়ে যাই।
তা বুঝেই বুঝি ডেকেছো হেলায়!
---xxx---
প্রভু, তুমি পাঁচবার মোনাজাত
-এ চাইতে বলেছো। আমি দু'হাত
তুলে চেয়েছি সারাবেলায়;
শূণ্যহাতে ফিরেছি অবহেলায়।
কতবার তুমি ফিরাবে আঘাতে?
ক'বার ফিরাবে কত অজুহাতে?
---xxx---
কেউ ছিলো কী? হয়তো ছিলো, নয়তো আছে।
সে দূরে কী? হয়তো দূরে, নয়তো কাছে।
চাইনা কিছু বদলে দিতে,
ঠান্ডা লাগে পলকা শীতে;
বাসে আগুন লাগিয়ে তবু গরম হবার
কোনরকম ইচ্ছেটিচ্ছে হয়না আমার।
---xxx---
তোমায় আমি ভালোবাসি, বলবো কেন?
তুমি আমার কে? তোমার কথায় চলবো কেন?
ছায়া দেখে বলতে পারো তার মুখেতে
দুঃখ কেন, রুক্ষ কেন চুলগুলো সব, ক্যান উদাসী?
চোখের নিচে কালি কেন - কোন সুখেতে?
তবেই আমি বলবো, তোমায় ভালোবাসি, সর্বনাশী!
---xxx---
আমার ফেরার উপায় নাই
তোমায় পরিয়ে পায়ে নুপুর,
তোমার নাচের ঝুমুর ঝুমুর
না দেখেই যদি যাই
বৃথাই সকাল-দুপুর
আমার ফেরার ইচ্ছা নাই
---xxx---
তোমাকে ফিরিয়ে দেই সে সাধ্য নেই,
তোমাকে ধরে রাখি সে সাহসও নেই।
আমার অনেক নেই-এর মাঝে যাইবা আছে
সেই ভালোবাসা নিয়েই আসি কাছে।
অধিকারে অধীকৃত হয়ে আছো বলে
খুব সহজে বলে ফেলি, যাবে? যাও না চলে!
---xxx---
সবাই আমায় কষ্ট দিলে, তুমিও দিলে
খেয়ালখুশির উস্টা দিলে, সবাই মিলে
ভালোবেসে জিত হয়েছে আমার একার
আমার যেন জিদ হয়ে একলা জেতার
কষ্ট দিলে মনে রাখা কষ্ট হবে
বাসলে ভালো মনের রেখা স্পষ্ট হবে
কষ্ট পাওয়া রুটিন আমার, অফিস কেন
ছুটির দিনেই আসিস, ভালোবাসিস যেন
---xxx---
হাতটা কেন কাটতে গেলে,
আঁকতে গেলে সিঁথির সিঁদুর?
আমি ভয়ে চোখ বুঁজেছি,
খোঁজ করেছি আঁচলটুকুর।
চাইনি হতে রক্তঝরা আলতাপরা পায়ের মল,
চাইছি আমি বধূর চোখে সুখেদুখে প্রণয় জল।
---xxx---
আমি কিছু করছি না
দু'কদমও নড়ছি না
ছাড়তে তোমায় পারছি না
ছেড়ে গেলেও ছাড়ছি না
আর কাউকে ধরছি না
তোমায় ছাড়া মরছি না
---xxx---
আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। ঘুম ভাঙতেই আমি দৌড়ে তোমার কাছে ছুটে এলাম।
-দেখো আমার পিঠ কেমন ভিজে গেছে ভয়ে।
আঁচল দিয়ে আমার ঘেমে যাওয়া পিঠটা মুছিয়ে দিলে, ঢেকে রাখলে বুকের অভয়পুরীতে।
তোমার কথা মত বাঁ দিকে মুখ ঘুরিয়ে তিনবার আউজুবিল্লাহ বলে ফুঁ দিলাম।
লক্ষী ছেলের মত তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম নিষ্পাপ শিশুর মত।
---xxx---
আমি আর লিখবো না ভেবে
তা নিয়ে লিখে ফেলি দু'কলম।
আমি আর হাঁটবো না ভেবে
আশ্রয়ের সন্ধানে পেছন হাঁটি দু'কদম।
ঘুমাতে গেলে মনে আসে চিরঘুমের ভয়,
জেগে উঠে বিস্মিত হই, বেঁচে থাকা পরম বিস্ময়!
---xxx---
ভেবেছো বিয়ে করে সুখী হবে
তা আর হচ্ছে না লক্ষীটি
কেবল তো দুঃখের শুরু!
যতই প্লাক করো ভুরু
অথবা দাঁত খিটিমিটি
আবার কী করে কুমারী হবে!
---xxx---
আমি চাইনা থাকতে ভালো
যখন ভালো থাকা কঠিন
মুখে যতই ধরি আলো
মন খারাপের সুদিন
সাদা কাগজে কালিতে কালো
কাব্য লিখা রুটিন
---xxx---
নর্থ আমেরিকার একটি দ্রুতগামী
ট্রেন লাইনচুত্য হয়ে গুঁড়িয়ে দিলো বুকের বাঁ পাশটা।
বিগত দশকের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্হ ডানবুকে হাত চেপে আমি
হাঁটুগেড়ে বসে পড়লাম বরফের ভিতর। আকাশটা
দ্রুত ভেঙে পড়লো মাথার উপর,
আর মুহূর্তে চোখে ভেসে উঠলো বিগত বসন্তের নিহত প্রহরগুলো।
---xxx---
সব পেয়েছি
ঘরের উপর ছাদ পেয়েছি
বেঁচে থাকার স্বাদ পেয়েছি
ভীষণ একলা রাত পেয়েছি
লেখালেখির হাত পেয়েছি
(বাঁচার মতন) সব পেয়েছি
---xxx---
কান্দে হিয়া চান্দে গিয়া, বান্ধে সুখের ঘর
পত্র দিও, চিত্র দিও পাইলে অবসর ...
দিনদুনিয়ার বান্দা আমি, চান্দে শাহজাহান
কাইন্দা কাইন্দা আন্ধা আমি, কান্দে নূরজাহান ...
যোজন যোজন হইলো ফারাক, হইলো পেরেশানি
মইরা গেলে হয়না তালাক, খোদার মেহেরবানি ...
---xxx---
সব বেড়েছে
চালের দাম ঢের বেড়েছে
তেলের দাম ফের বেড়েছে
দেশের প্রতি দায় বেড়েছে
তোমার প্রতি সায় বেড়েছে
(প্রতিমাসে) সব বেড়েছে

---xxx---
আমার জীবন ছিল না সহজ
সরলপানের পিয়ালায় ছিল তরল গরল
হিসাব মেলানো ঠিক ছিল না সহজ
হিসাব মেলাতে তাই ছিল না গরজ
মেলাতে পারেনি কবি জাভেদ জামাল
আমিও থতমত হয়তো বেসামাল
---xxx---
কিছু কিছু অসংবিদিত রয়ে যাবে;
কেউ কেউ স্মিত হেসে বলবে,
কিছু কিছু অমীমাংসিত।
কিছু কিছু অশ্রু হয়ে যাবে;
কেউ কেউ ভালোবেসে জ্বলবে,
কিছু কষ্ট একান্তে সঞ্চিত।
---xxx---
সময়, প্রেয়সী, জননী! কেউ অপেক্ষা করোনি।
মৃত্যু! তোমাকেই বলছি, ছেড়ে যেতে কেন পারোনি?
---xxx---
আমার প্রার্থনায় মানুষ হয়ে যায় দেবতা;
আমি দেবতাদের জন্য প্রার্থনা করে বলি,
হে প্রভু! আবার ওদের মানুষ করে দাও।
---xxx---
ষোল কোটি করোটিতে ষোল কোটি হৃদয়
একসাথে হেসে উঠে, চোখেমুখে বিজয়
ষোল কোটি মানুষের একটাই মাতা
মমতায় বেঁধে রাখে ষোল কোটি মাথা
ষোল কোটি বুড়ো,খোকা তার কাছে শিশু
মরে গেলে মন কাঁদে, কেঁদে ফেলে যীশু
---xxx---
ভক্ত-অভক্ত ছিল কবিতা যেখানে
প্লেটোরা মরে গেছে কবিতার বাণে
---xxx---
সত্য শুনতে শুনতে কান ব্যথা
হয়ে গেলো। বলো শুনি মিথ্যে কথা।
বলো প্রেম, শিশু নিষ্ঠুর।
বলো সব মিথ্যে মধুর।
বলো জোরে, আরো জোরে কথা।
---xxx---
মিথ্যের সাথে আছি তুমি-আমি-আমজনতা।
আজো আমি সত্যের গলা জড়িয়ে গান ধরি
সুবিধাজনক স্বীকৃত সত্যে গা ঢাকা দিয়ে...
নির্মম সত্য থেকে নিজেকে নিয়েছি গুটিয়ে
ঘরোয়া সত্যের আজো আমি চরম চর্চা করি।
---xxx---
বিশ্বাসেরই যখন ব্যাপার, তোমাকে কেন?
আমি বরং ঈশ্বরেই আস্থাজ্ঞাপন করি!
---xxx---
একদিন সকালে উঠে দেখি -
আমার হাত শাহবাগে,
মাথা জায়নামাজে,
পা গোরস্তানে...
হৃদয় কোথাও খুঁজে পেলাম না!
---xxx---
আমি পলাশী বাজারের
ফটোস্ট্যাট মেশিন হতে চাই।
তোমার হৃদয়ের শ'খানেক
ফটোকপি করে রেখে দিবো।
বৃষ্টিবাদল-কান্নায় ভিজে গেলেও ভয় নাই।
থাকলে থাকো, ভাগলে ভাগো।
---xxx---
চুপটি থাকলে মা বকতো, কী হলো! বউ মরলো নাকি?
রাগে তখন ঠোঁট ফুলিয়ে ভীষণ রকম কাঁদতে থাকি,
বয়েই গেছে করতে বিয়ে, তোমায় ছেড়ে থাকতে একা।
পাগল ছেলে! মা বলতো, বড় হ তো, যাবে দেখা
আলতো করে চোখে চুমু দিয়ে বলতো, ঘুমো খোকা।
ঘুমের মাঝে রাজকণ্যা বিয়ের সাজে ডাকতো, সখা! :P
---xxx---
আজকাল আর প্রশ্ন করি না,
জানি তুমিও আমার মতই নরকবাসী।
তোমার নরকের তাপমাত্রা কমেছে কিনা
জিজ্ঞেস করতে গিয়ে হাসি
চেপে রাখতে পারিনা।
এই ভালো, একটু হাসা হলো, নির্দোষ হাসি।
---xxx---
রক্তে আমার বিদ্রোহ নেই, নরেন!
আছে শুধু অভিমান,
খুব বেশি হলে কলহ বলতে পারেন।
একান্ত যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া করেন,
কপাল চাপড়ে বলি, হে ভগবান!
সরেন তো, পথ ছাড়েন!!!
---xxx---
কবিতার বিষয়বস্তু বড় সীমিত
হয়ে গেছে। ঈশ্বর, দেশপ্রেম করে
শেষে আমি-তুমিতে এসে থামে।
কবিতা এত্ত বেশি সুন্দর-মার্জিত,
বড্ড বেশি রক্ষণশীল হয়ে যায়। ক'দিন ধরে
ভাবছি, তোমাকে একটা খোলামেলা চিঠি দিবো খামে...
---xxx---
আমি উঁচু মানের কেউ না, দীপাবলি!
গুলিয়ে ফেলি সাগর-মরুভূমি।
দীর্ঘ অসাক্ষাতে তোমাকে আপনি বলি,
তুইকে বলি তুমি।
সম্বোধনটা ভুলে গেলে যা হয়।
মরমে মরি লাজে। শুধাই, কী করা হয়?
---xxx---
খুব বেশি সাহস হয়েছে তোমার!
রাগ দেখাও আমার সাথে?
কী ভেবেছো তুমি? সন্ধ্যারাতে
ঘরে ফেরার বয়স আছে আমার?
ইচ্ছে মতো চ্যানেল ঘুরাও, তোমার হাতেই রিমোট
দাঁড়াও! একের পর এক সিগারেট খেয়ে পুড়িয়ে ফেলছি ঠোঁট
---xxx---
সবাই হেঁটে যায় আমিও যাই
ওভারব্রীজের নিচ দিয়ে পেরুই রাস্তা
দিন কেটে যাক আমিও চাই
ওভারটাইম বাঁচতে গেলেই হেনাস্তা
সাদামাটা হিসেব দেখে ভাবো,
বাড়িটা কোথায় দাদা, বাসাবো?
---xxx---
পহেলা ফাগুনে পুড়েছি ১লা আগুনে...
---xxx---
ঈশ্বর বধির বলেই আমি মৌণ ভূমিকায়।
আমি অধীর হলেই তিনি ভুগেন অনীহায়।
---xxx---
অমাবস্যার মতই পূর্ণিমা আসে
ভাগাভাগি করে খেলে আলোআঁধারির খেলা
কিন্তু মন খারাপের বেলাঅবেলা নেই
আকাশের মেঘ নেই, মনের কোণে মেঘ জমেছে বড়
কখন জানি ঝরেও গেছে
বৃষ্টি শেষের পরিছন্ন রাস্তায় পা ফেলতেই
দেখি জুতোজোড়াকে বেশ নোংরা ঠেকছে
আহা! নিজেকে কতদিন দেখিনা
---xxx---
মাঝে মাঝে মিথ্যে সুখের হয়,
মাঝে সাঝে সত্যে লাগে ভয়।
মাঝে মাঝে মিথ্যে ডুবে যাই,
মাঝে সাঝে সত্যে মুখ লুকাই।
মাঝে মাঝে সত্যে যা যা দেখি,
আজে বাজে মিথ্যে দিয়ে ঢাকি।
---xxx---
এ মন সম্পূর্ণ অরক্ষিত এখনো
কখনো আমাকে ধেয়ে আসেনি সফেন একটিও ঢেউ।
শুধু ছোঁয়ার অপেক্ষায় ছিলাম এতটা বছর
কেবল একটু ছোঁয়া, তাও ছোঁয়নি কেউ।
কিভাবে কী নির্বিঘ্নে যে কাটালাম প্রতীক্ষার প্রহর
আজো ভাবি। আজ ভাবি তেমন করে কি কাউকে চেয়েছি কখনো?
---xxx---
ঢাকার কোলাহলে আবারো মিশে গেলাম;
সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে জলাঞ্জলি দিয়ে তুরাগ নদীর জলে।
---xxx--
সহজ করে আমিও বলতে চাই
কঠিন করে সহজ কিছু চাইনা।
কষ্ট করে কারো গলায় তাই
কাঁটা হয়ে বিঁধে জ্বলতে চাইনা।
---xxx---
তোমার জৌলুসে মুগ্ধবিধ্বস্ত আমি
এবং এভাবে মুগ্ধ হতেই আমি অভ্যস্ত।
আর মুগ্ধতাই যখন আমার একমাত্র সম্বল
তখন আমাকে মুগ্ধ করতেই তুমি সিদ্ধহস্ত।
---xxx---
সচেতন আকাঙ্খায় উচ্চবিত্ত তুমি
অবচেতনে ভালবাসার কাছেই দীন হয়েছ।
তাই কখনোই মনে হয়নি তুমি আমার নও।
---xxx---
বাংলার মানুষ কার কাছে কেমন
তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই;
কিছু মানুষ আমার মনের মত
কেউবা প্রিয়জনদের একজন।
---xxx---
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×