
ছেলেটি পাশ্ববর্তী একটি ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারি, মারামারির সময়ে পালানোর সময় দুনিয়ার সবচেয়ে ফুলিশ আর দুর্নিতিবাজ পুলিশ তাকেও এরেস্ট করে।

শান্তিপুর্ন এই র্যালিতে হামলা কেন?
আজকে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, "আমাদেরকে সংকীর্নতার উর্ধে উঠে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।" শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে হাসিনা বলেন, "প্রতিটি শিশুকে লেখাপড়া শিখতে হবে। উপযুক্ত নাগরিক হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। সকল সংকীর্ণতার ওপর উঠতে হবে।"
আর অন্যদিকে এই মহিলার লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের শান্তিপুর্ন স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে হামলা করে প্রমান করেছে তারা কতবড় সংকীর্ন মানসিকতার এবং স্বাধীনতা বিরোধী। আজকে যাদের উপর হামলা এবং গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ১৮-২২ বছরের তরুণ। আমার পরিচিত কিছু নাম দিচ্ছি যাদেরকে এরেস্ট করা হয়েছে। নটরডেম কলেজের হাফিজুর রহমান (১৮), মমিনুল করিম (১৮), বুয়েটের মাসরুর আহমেদ (২১), রবিউল ইসলাম (২১) ও আশিকুর রহমান (২২), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সারোয়ার হোসেন (২১), আলী হোসেন (২২), রুহুল আমিন (২২), ঢাকা মেডিকেল এর জাবেদ ইকবাল (২৪), তপু রায়হান(২৩), কৌশিক আহমেদ চৌধুরি(২১), তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার জহির রায়হান(১৯), আলি আহমেদ(২১) এবং সাকিবুর রহমান(২০)। এরেস্ট হওয়া এদের সবাই মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরে জন্ম নিয়েছে। তার থেকে বড় কথা তারা স্বাধীন দেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে উঠেছে। এবং দেশকে ভাল্বাসেই বলে আজকে স্বাধীনতা দিবসের এই র্যালিতে স্বতঃস্পুর্ত ভাবে অংশগ্রহন করেছে। এভাবে দেশের তরুণদের বিভাজন ভারতীয় মহা পরিকল্পনার অংশ তা এতদিন বিশ্বাস না করলেও এখন বিশ্বাস করতেই হচ্ছে। তারা সুপরিকল্পিত ভাবে সর্বক্ষেত্রে এই বিভাজন ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আর সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নেই আজকে দেশের নতুন প্রজন্মের মাজে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রহনযোগ্য সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের র্যালিতে হামলা করা হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস।




অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




