সরকারের প্রশ্রয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসের ঘাটিতে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিক বলেছেন, সরকারের প্রশ্রয়ে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসের ঘাটিতে পরিণত করেছে। অবিলম্বে চিহ্নিত এইসব ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আজ বা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ঢাকা বিভাগের সদস্যপ্রার্থীদের দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে র বক্তব্যে এ কথা বলেন। শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সেলিমউদ্দিন, সেক্রেটারী জেনারেল মু. দেলাওয়ার হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল জব্বার, প্রকাশনা সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক নুরুল ইসলাম আকন্দ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হাফেজ মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগরী পূর্ব সভাপতি মু. ইয়াছিন আরাফাত প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক সাধারণ ছাত্র হত্যা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাস্তানি, গুলি বোমাবাজি ও ভাংচুরের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বারবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালালেও সরকার এ সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কার্যত যে সরকার তার ছাত্রসংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তার দেশ চালানোর নৈতিক অধিকার নেই। ছাত্রলীগ আজ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বিচার করা আজ সময়ের দাবি। সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যারা জড়িত তাদেরকে অতি সত্ত্বর বহিষ্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির পরিবর্তে নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শিক রাজনীতিই পবিত্র শিক্ষাঙ্গনকে রক্ষা করতে পারে। ছাত্রশিবির সেই আদর্শিক রাজনীতিরই ধারক। সরকার সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস বন্ধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না করে তাহলে ছাত্রশিবির সাধারণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসকে নির্মূল করবে। উক্ত শিক্ষাশিবিরে ঢাকা বিভাগের সদস্যপ্রার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন