১। হিউম্যান রিলেশনটা অনেক বদলে গেছে। সারাদিন মানুষ এত কথা বলে তবু একজন আরেকজনের সাথে কমিউনিকেট করতে পারছে না। চারপাশে একটা শূন্যতা তৈরি হচ্ছে- ঘরে-বাইরে, বন্ধুর সাথে বন্ধুর, স্বামীর সাথে স্ত্রীর, ছেলের সাথে বাপের, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের, এমনকি প্রেমিকার সাথে প্রেমিকের।
২। অনেক মানুষই দাবি করেছে যে তাদের জীবন পরিবর্তন হয়েছে একটা বিশেষ বই পড়ে। আজিব ব্যাপার, একটা বই কি করে মানুষের জীবন বদলে দেয়?
৩। বন্ধুগণ, হতাশ হবেন না। বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আপনারা ধর্য্য ধরুন।
৪। একদিন রাতেরবেলা রবীন্দ্রনাথ চিত্রকলা অর্থ্যাৎ নান্দনিকতার ওপর বই পড়ছেন।তার ভালো লাগছে না খট মটে সব কথা।তখন তিনি বইটি বন্ধ করলেন।ফু দিয়ে প্রদীপটি নিভিয়ে দিলেন।তখন দেখলেন যে জানালা দিয়ে আলো আসছে।তিনি একটি কথা লিখলেন- আমি অবাক হয়ে গেলাম একটি প্রদীপের পেছনে এত বড় সুন্দর এতক্ষন কী করে আটকে ছিল?
৫। গরীব মানুষ মাইলের পর মাইল হাটে খাবারের সন্ধানে, আর ধণী মানুষ মাইলের পর মাইল হাটে খাবার হজম করতে ।
৬। সামনে বইমেলা।
লেখক প্রকাশক ভীষন ব্যস্ত। প্রচুর নতুন বই প্রকাশ হবে। প্রতি বছরই হয়। বাংলাদেশে ১৮ কোটি লোক হলেও ১৮ লাখ পাঠক আছে কিনা সন্দেহ। সবাই মোবাইল-কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত।
পাঠক তৈরি করতে হবে। পাঠক তৈরির দায়িত্ব নিশ্চয় সরকার নেবে না। সরকারের অনেক কাজ, দায়-দায়িত্ব আছে। এখন, এই দায়িত্ব নিতে হবে লেখক এবং প্রকাশককে। তাদের টিকে থাকতে হলে অবশ্যই এই দায়িত্ব দ্রুত নিতে হবে।
হাতে গোনা ২/৩ জন লেখক ছাড়া একটা বই পঞ্চাশ কপিও বিক্রি হয় না। বই বিক্রি না হলেও লেখকদের সমস্যা নাই। কারন লেখকরা সবাই চাকরি বাকরি করেন। সবাই তো আর হুমায়ূন আহমেদ না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫