somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

গত সপ্তাহে যে ৫টি মুভি দেখলাম

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। রেয়ার উইন্ডো (Rear Window)
মুভিটি ১৯৫৪ সালে মুক্তি পায়। কাহিনী ১৯৪২ সালের শর্ট স্টোরি 'ইট হ্যাড টু বি এ মার্ডার' থেকে নেয়া হয়েছে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার জেফ এক র্দুঘটনায় তার একটি পায়ে আঘাত পায়। ফলে তাকে বাধ্য হয়ে হুইল চেয়ারের মাধ্যমে চলাফেরা করতে হয়। ফলে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হতে পারে না। মাঝে মাঝে তার পরিচারিকা স্টেলা এবং তার গার্লফ্রেন্ড লিসা তাকে দেখতে আসে এবং বাকী সময় তার একঘেয়ে কাটে।
কোনো কাজ না পেয়ে একঘেয়ে সময়কে আনন্দময় করার জন্য সে তার অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে প্রতিবেশীরা কি করছে দেখার চেষ্টা করে। একসময় তার সন্দেহ হয় যে তার এক প্রতিবেশী খুন হয়েছে। একথা সে তার গার্লফ্রেন্ড, পরিচারিকা এবং এক গোয়েন্দা বন্ধু থমাস ডয়েলকে বলে কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না। এতে জেফ অপমানিত বোধ করে। সে প্রমান করতে চায় যে সে ঠিক। কিন্তু সে তো অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে যেতে পারবে না। কি করে তার প্রমান করবে যে তার অনুমান সঠিক?

২। ক্র্যাস (Crash)
আমেরিকায় কালো-সাদাদের মধ্যে দন্ধ, ভুল বোঝাবুঝি এবং একে অপরের উপর নির্ভরশিলতা নিয়ে করা অনন্য একটা মুভি। ছবিটিতে পরিচালক খুব সুন্দরভাবে বিষয় গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। আই এমডিভি রেটিং ৮।

৩। সারেং বৌ
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন সংগ্রামের গল্পে নির্মিত। সারেং (ফারুক) জাহাজে কাজ করে অনেক দিন পর ফিরে আসে নিজ বাড়িতে, তারপর ভালবেসে বিয়ে করে 'নবিতন'কে (কবরী)। বিয়ের কিছু দিন পরে আবার চলে যায় জাহাজের কাজে, কদম চলে যাওয়ান মাঝে মাঝেই নবিতনের কাছে চিঠি ও টাকা পাঠায়। কিন্তু গ্রামের প্রভাবশালী 'মোড়ল' (আরিফুল হক) ডাক পিয়নকে হাত করে সেইসব চিঠি ও টাকা নিয়ে নেয়, যাতে করে নবিতনের সংসারে অভাব চলে আসে। আর এই অভাবের সুযোগে নবিতনকে তার লালসার শিকার বানাতে চায়, কিন্তু নবিতন নিজে গায়ে খেঁটে ঢেঁকিতে ধান বেঁনে কোন মতে সংসার চালায়। এদিকে কদমকে 'মন্টু চাচা' (গোলাম মোস্তফা) পকেটে অবৈধ মাল পুরে দিলে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, সাজার মেয়াদ শেষ হলে সে ফিরে আসে নিজ গ্রামে।
এ ছবিটি নিয়ে ফারুক স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে একবার বলেছিলেন, এ ছবির শুটিং করতে গিয়ে তার ১০৪ ডিগ্রি জ্বর ছিল। ছবির শেষ দৃশ্যধারণের সময় এমন হয়েছিল- জ্বর নিয়ে কাদামাটিতে শুটিং করেন তিনি।

৪। আগোরা (Agora)
মূল চরিত্র হাইপেশিয়া একজন দার্শনিক, একজন জ্যোতির্বিদ, একজন তরুনী। তার বাবা আলেক্সান্দ্রিয়া মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরীর প্রধান, আর হাইপেশিয়ার ছাত্ররা হলো সম্ভ্রান্ত বংশের যুবকরা, হাইপেশিয়া তাদের দর্শন শেখায়, জ্যোতির্বিদ্যা শেখায়। পৃথিবী গোল না চ্যাপ্টা, পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, না সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে– এই সব চিন্তায় হাইপেশিয়া মগ্ন।
এক কথায় ধর্ম আর বিজ্ঞানের এই চিরন্তন দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে 'আগোরা' মুভিতে।

৫। দি সেভেন্থ সিল (The Seventh Seal)
কাহিনীর পটভূমি মূলত চতুর্দশ শতাব্দী। এন্টনিয়াস ব্লক হলো সদ্য ক্রুসেড শেষ করা ক্রুসেডার। ১০ বছরের যুদ্ধ শেষ করে ঘরে ফিরছে সে। সাথে অনুচর জনস। ফেরার পথে মৃত্যুর সাথে দেখা হয় ব্লক এর। জানতে পারে যে ওর সময় প্রায় শেষ। বেচে থাকার শেষ ভরসা হিসেবে ও মৃত্যুকে দাবা খেলার চ্যালেঞ্জ জানায়। যতক্ষণ খেলা চলবে ততক্ষণ সে বেচে থাকবে হেরে গেলে ওকে মেরে ফেলা হবে আর জিতে গেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। সেই সাথে চলতে থাকে ধর্মকে নিয়ে যুদ্ধ করে ফেরা এই নাইট এর নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ানো। জীবন, মৃত্যু, ঈশ্বর এর অস্তিত্ব সহ নানা বিষয়ে তার মনে তখন উত্তর না জানা অজস্র প্রশ্ন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×