somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

যে কারনে আমি সামুতে ঝামেলায় পড়লাম

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

সামুতে আমি ভালোই ছিলাম।
কিন্তু আজ কেন এই অবস্থা! এঁর কারন গুলো আমি খুঁজে বের করেছি। সামুতে আমি প্রথম ৯ বছর সম্পূর্ন ঝামেলামুক্ত ছিলাম। প্রথম নয় বছর আমি একবারও কমেন্ট ব্যান বা ফ্রন্ট পেইজ ব্যান হইনি। কিন্তু গত তিন বছরে অসংখ্যবার কমেন্ট ব্যান এবং ফ্রন্ট পেজ ব্যান হয়েছি। আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই ঝামেলাহীন জীবনযাপন করতে চেয়েছি। কিন্তু কতিপয় অপব্লগার সামুতে আমাকে খুচিয়ে খুচিয়ে আমার মেজাজ গরম করে দিয়েছে। বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছে। তারপরও আমি চুপ ছিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম এডমিন সাহেব নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারনে কতিপর অপব্লগার দিনের পর দিন আমার আনন্দময় ব্লগিং জীবন বিষয়ময় করে তুলেছে। ইহা দুঃখজনক। আমার এত এত লেখা, এত এত মন্তব্য দেখে তাদের মাথা আউলায়ে গেছে। তাঁরা জ্বলছে। এটা দুঃখজনক। তাঁরা আমাকে থামিয়ে দিতে চায়।

কয়েকমাস আগে আমি একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম।
সেই পোষ্ট দেওয়ার পর'ই মূলত সমস্যা শুরু হয়। পোষ্টের শিরোনাম ছিলো- সামু ব্লগে আমি'ই সেরা । আসলে এটা ছিলো একটা ফান পোষ্ট। সিরিয়াস কিছু নয়। কিন্তু অপব্লগারগন এই পোষ্ট দেখে তাদের মাথা আউলায়ে যায়। এবং তাঁরা হিংসাত্মক মন নিয়ে আমার পেছনে উঠেপরে লাগে। তাদের মাথায় একটাই চিন্তা যে করেই হোক, রাজীব নূরকে ব্লগ থেকে তাড়াতে হবে। হবেই। হিংসা খুব খারাপ জিনিস রে ভাই। ''সামু ব্লগে আমিই সেরা'' এই পোষ্ট না দিলে কোথাও কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু পোষ্ট টা আমি সরল মনে দিয়েছিলাম। আমি বুঝি নি, অপব্লগারগন তো আর সরল নয়। তাঁরা জটিল। তাদের চিন্তা ভাবনা ভূয়া। দেখা যাচ্ছে, কারকিউ, বিগো, মিগো একগাধা অপব্লগার মিলে আমার পেছনে লাগলো। এত দুষ্ট লোকের সাথে আমি একা ফাইট দিয়ে পারবো না। আর আমি ঝামেলায় যাবোও না। নিজেই সরে দাড়াবো।

যেহেতু আমি দীর্ঘদিন পত্রিকা অফিসে কাজ করেছি-
সেহেতু কপি পেস্ট সম্পর্কে আমার ভালো ধারনা আছে। কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায় সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। তাছাড়া আমি লিখতে জানি। এক ঘন্টায় আমি চারটা ব্লগ পোষ্ট দিতে পারি। আমি বলছি না, আমার লেখাই সেরা লেখা। কিন্তু আমি হাবিজাবি যাই হোক, লিখতে জানি। এ বিষয়ে যদি কারো সন্দেহ হয়, তাহলে একবার আমার পোষ্ট গুলোতে চোখ বুলান। দেখবেন, কত রঙ্গের, কত ঢঙ্গের লেখা আমি লিখেছি। সামুকে আমি আপন ভাবি। তাই যদি কোথাও কোনো লেখা পড়ে আমার ভালো লাগে, তখন আমি সেই লেখাটা সামুর ব্লগারদের সাথে শেয়ার করি। শেয়ার মানে আনন্দ ভাগাভাগি করি। সবচেয়ে বড় কথা, যারা আমার নিয়মিত পাঠক তাঁরা আমার প্রথম লাইন বা শিরোনাম পড়লেই বুঝতে পারেন- কোনটা আমার লেখা বা কোনটা আমার লেখা না। কাজেই তোমরা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আমাদের নবিজির উপরেও অনেক মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো।

ও দয়াল মুর্শিদ যার সখা, তার কিসের ভাবনা-
আমি কোনো অন্যায় করি নি। যে বা যারা মিথ্যা বদনাম রটাচ্ছেন, তাতে আমার কিছুই যাবে আসবে না। আমি আমার বিবেক জাগ্রত রেখেছি। এবং ছোটবেলা থেকেই নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমি অন্যায় করবো না। আমি সৎ মানুষ। সৎ জীবনযাপন করছি। তবে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, চিলে কান নিয়ে গেছে, চিলে রপেছনে দৌড়াবেন না। আগে নিজের চোখে দেখুন। বুঝুন। আগে পরের কথা বাদ দিয়ে, কয়েকটা লাইন সিলেক্ট করে কারুকে দোষী সাবস্ত করা যায় না। আরে ছাগলের দল আমার ধারে কাছে আসতে এই জনমে সম্ভব না তোমাদের। আমি অন্য জিনিস। আমাকে চিনতে ভুল করেছো। আমাকে বুঝতে ভুল করেছো। আমার সাথে লাগতে আইসো না। পারবা না। আমি বরিশালের লঞ্চ থেকে নেমে ঢাকা আসিনি। তবে আমি তোমাদের জন্য প্রার্থনা করি। তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের মঙ্গল করুক।

যাই হোক, আমার ভরসা জাদিদ ভাই।
এই মানুষটা অন্যের কথায় কান দিবেন না, সেটা আমি জানি। উনি অন্যের কথায় নাচার মানুষ না। উনি চিলের পেছনে দৌড় দেওয়ার মানুষ না। উনার জ্ঞান বুদ্ধি আছে। বিবেক আছে। উনি অন্যায় করবেন না। অতীতেও অন্যায় করেন নি। মানুষটা হাসি খুশি। সহজ সরল। আমি সব সময় আমার লেখাতে চাঁদগাজীর কথা বলি। চাঁদগাজী আমাকে অত্যাধিক স্নেহ করেন। এই জন্য অনেকের গাত্র দাহ করে। আমি সাধারনত জাদিদ ভাইয়ের কথা বলি না। কারন তাহলে অপব্লগারগন ভাববে আমি তেলামি করছি। জাদিদ ভাই আমাকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন। যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। সেটা ভুলে যাওয়া অন্যায় হবে। জাদিদ ভাইকে বড় ভাই মনে করি। কাজেই তার কাছে অনেক ছাড় ও সহযোগিতা আশা করি। তার কাছে আমার দাবী আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×