somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মুক্তির পথ কোনটা?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিয়ে করেছেন এজন্য আপনাকে অভিনন্দন।
অনেক শুভ কামনা। আপনি নামাজ পড়েন খুবই ভালো কথা। কোরআন, হাদীস পড়েন এটাও অনেক ভালো কথা। মাশাল্লাহ। যিকির করেন এটা ভালো। একজন মুসুলিম আরেকজন মুসলিমকে দ্বীনের দাওয়াত দিবে এটা স্বাভাবিক কথা। এটা এক হিসেবে মুসলিমের দায়িত্বে মধ্যেই পড়ে। ইমানি দায়িত্ব। কিন্তু আপনার স্ত্রী আপনার কথা শুনে না। মানে না। ইহা দুঃখজনক। খুব দুঃখজনক। আসলে এযুগের মেয়ে গুলো এরকমই। এরা ফেসবুক, টিকটক, আর ইউটিউব নিয়ে মহা ব্যস্ত। ধর্মীয় পথ তাদের ভালো লাগে না।

ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী এখন আপনি আপনার স্ত্রীকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পারেন, প্রহার করতে পারেন। শয্যা ত্যাগ করতে পারেন। অর্থ্যাত স্ত্রীকে মারতে পারেন। আলাদা বিছানায় ঘুমাতে পারেন। আপনার ধর্ম এবং কোরআন হাদীস এগুলো শেখায়। এগুলো করতে বলে। এগুলো সেই ১৪০০ শ' বছর আগের নিয়ম। কিন্তু ইসলাম একমাত্র ধর্ম তাঁরা নতুন নতুন নিয়ম বের করে না। তাঁরা সেই ১৪ শ' বছর আগের নিয়মেই চলছে। কেয়ামত পর্যন্ত মুসলিমরা কোরআন হাদীসের বাইরে যেতে পারবে না। এদিকে যুগ বদলে গেছে। নিয়ম কানুন, আইন সব বদলে গেছে। এমন কি দেশও কোরআন হাদীসের নিয়মে চলে না। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। অর্থাৎ মুসলিমরা কি ১৪ শ' বছর আগের নিয়মকানুন মানতে গিয়ে আধুনিক বিশ্ব থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে?

শুনুন আপনি বিয়ে করেছেন বলেই যে আপনার স্ত্রী আপনার কথায় উঠবস করবে সেটা ভাবা ঠিক হবে না। সে যদি নামাজ কালাম না পড়ে, ধর্মীয় নিয়ম কানুন পুরোপুরি না মেনে জীবনযাপন করে এবং আপনার দ্বীনের দাওয়াত না গ্রহন করে, সে জন্য আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবেন। আপনি আবার রেগেমেগে তাকে মারতে যাবেন না। উনি মামলা করে দিলে আপনি বিরাট বিপদে পড়ে যাবেন। নারী নির্যাতন মামলা মারাত্মক মামলা। কোনো ছাড় নেই। বিচারে কিন্তু তখন ধর্মীয় আইন মানা হবে না, তখন দেশের সংবিধান অনুযায়ী বিচার হবে। অর্থ্যাত আপনি ফেঁসে যাবেন। তাকে তাঁর মতো চলতে দিন। তাকে ভালোবাসুন। একদিন হয়তো আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখাবেন। সব তো আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়। মহান আল্লাহ না চাইলে কিছুই হবে না। আপনি যতই আপনার স্ত্রীর সাথে ঘ্যান ঘ্যান করেন না কেন।

আপনার কাছে আমার প্রশ্নঃ আপনি কি দরিদ্রদের সাহায্য করেন? আপনি কি অসুস্থদের চিকিৎসা করান? আপনি কি দরিদ্র পিতা মাতার সন্তানকে স্কুলে ভরতি করিয়েছেন? আপনি কি মানুষের বিপদে মানুষের পাশে থাকেন? আপনার পাশের বাসায় কেউ না খেয়ে আছে কিনা সে খবর নেন? অনাথ শিশুদের কোলে নিয়ে আদর করেন? অভুক্ত ক্ষুধার্থ কে পেট ভরে ভাত খাওয়ান? একজন বেকারকে চাকরী দিয়েছেন? একজন ভিক্ষুককে পাশে বসিয়ে পেট ভরে ভাত খাইয়েছেন? একজন রিকশাচাকলকে ৩০ টাকা ভাড়ার বদলে ৫০ টাকা দিয়েছেন? দরিদ্র পিতার কন্যাকে বিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন? এগুলো করা উচিৎ। শুধু নামাজ রোজা আর কোরআন হাদীস পড়লেই হবে না। হৃদয়বান মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে। মানবিক মানুষ হতে হবে।

আধুনিক বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে হবে। টেকনোলোজি সম্পর্কে জানতে হবে। স্কিল বাড়াতে হবে। আধুনিক চিন্তা ভাবনার বই পড়তে হবে। রামায়ন, মহাভারত, ত্রিপিটক, বাইবেল ইত্যাদি গ্রন্থ গুলোও পড়তে হবে। পৃথিবীর সেরা বই গুলো পড়তে হবে। সক্রেটিস কে জানতে হবে, কনফুয়াসকে জানতে হবে, আইনস্টানকে জানতে হবে, রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। আধুনিক বিশ্বকে জানতে হবে। ইতিহাস জানতে হবে। শুধু কোরআন হাদীস জানলেই হবে- উত্তর দক্ষিন, পূর্ব পশ্চিম সব দিক গুলোই জানতে হবে। সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে, সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে হলে সব কিছুই জানতে হবে। আপনার নিশ্চয়ই অসুখ হলে তাবিজ কবচ নিবেন না। পানিপড়া খাবেন না। সূরা পড়ে ফু দিবেন না। মধু আর কালিজিরা খাবেন না। সঠিক চিকিৎসার জন্য এবং সুস্থ হওয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×