somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

পদ্মা নদীর কাছেই আমার বাড়ি

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

পদ্মা নদীতে বজরা চলছে। সময় টা শীতকাল।
এ সময় বাতাস অতি মনোরম। নদীর মাছ, তরিতরকারী খুবই সুস্বাদু। বজরার জানালার পাশে বসে নদী দেখি। নদীর জল-কল্লোল, ছলাৎ ছলাৎ শব্দ মধুময় হয়ে কানে বাজে। আকাশে অনেক পাখি উড়ে উড়ে যায়। কয়েকটি সাহসী পাখি বজরার ছাদে এসে বসে। পাখি কিচির মিচির করে। ডিঙি নৌকায় কিছু জেলে মাছ ধরায় ব্যস্ত। পানসী নৌকা এক মাঝি বেয়ে চলেছে। সে গান গাইছে পদ্মার ঢেউ রে, মোর শূন্য হৃদয়...'.

ছোট মই বেয়ে আমি বজরার ছাদে উঠে যাই।
বজরার ছাদে এক মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। সে কলাপাতা রঙের শাড়ি পরেছে। পিঠের উপর ছড়ানো চুল। বাতাসে তার শাড়ির আচল আর চুল এলোমেলো ভাবে উড়ছে। মেয়েটা সামনের দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ হয়ে।
আমি বললাম, তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে! এত সুন্দর আমি আগে কখনো দেখিনি।
মেয়েটার চোখে পানি।
বললাম, তুমি কাদছো কেন?
মেয়েটা বলল, বজরা থেকে নামতেই তুমি আমায় ভুলে যাবে।
আমার ইচ্ছা করলো মেয়েটাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরি।

আকাশে থোকা থোকা মেঘ।
পদ্মার চরে শুয়ে আছে একটি দুটি কুমির। যেন মৃত কুমির। বজরা কাছাকাছি আসতেই কুমির গুলো ঝটপট নদীতে নেমে যায়। মেয়েটাকে বললাম, ওই দেখো কুমির। মেয়েটা কুমির দেখার আগেই কুমির গুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। মেয়েটা অবিশ্বাস করে। বলে, আমি কখনও কুমির দেখিনি। কুমির যে নদীর পারে শুয়ে থাকে এ কথা মেয়েটা বিশ্বাসই করে না। বললাম, তুমি পারের দিকে তাকিয়ে থাকো নিশ্চয়ই দেখতে পাবে। মেয়েটা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। কিন্তু কুমির আর দেখা গেলো না।
কুমির দেখা না গেলেও শূশুক দেখা গেলো। শূশুক দেখে মেয়েটা আমার হাত চেপে ধরলো। মেয়েটা খুশি করার জন্য বেশ কয়েকটি শূশুক ডিগবাজি দিয়ে খেলা দেখালো।

নৌকা থামলো একটা বাজারের ঘাটে।
অনেক গুলো বক আমাদের সামনে দিয়ে উড়ে উড়ে যাচ্ছে। মাঝিরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবে এখানে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বজরা দেখে কাছে এসে চিৎকার দিলো। একটা মাছরাঙা পাখি পানিতে ডুবে কুচো মাছ ধরে নিলো। গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি বলেই তো এত কিছু দেখতে পেলাম। কি সুন্দর! কি সুন্দর! আসলে মানব জীবনটাই সুন্দর।

নদীপাড়ে কয়েকজন মেয়ে গোছল করছে।
আমি মেয়েটাকে বললাম, চলো আমরাও লাফালাফি করে নদীতে গোছল করি। মেয়েটা বলল, আমি সাতার জানি না যে। বললাম, সাতার না জানলে কি নদীতে গোছল করা মানা?

নৌকা আবার চলতে শুরু করলো। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। এবং স্বপ্নে দেখলাম, আমি বেহেশতে চলে গেছি। বিশাল এক হল রুমে আরাম করে বসে আছি। আমার হাতে মদের গ্লাস। সামনে মদের বোতল। বোতলের গায়ে ইংরেজিতে লেখা 'ব্লাক ডগ'। এক সুন্দরী মেয়ে পায়ে নূপুর পড়ে নাচছে। মেয়েটাকে চেনা চেনা লাগছে। হ্যা মনে পড়েছে, মেয়েটা সাতার জানে না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×