somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আনিলাম ধরণীতে, পরিচিত জনতার সরণীতে

১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেল।
অন্ধকারে মনে হলো, কে যেন আমার পায়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। কে দিতে পারে বলুন তো? আচ্ছা, বাদ দিন। ধরুন, আপনি একটি দৌড়ে অংশ নিয়েছেন। চতুর্থ অবস্থান থেকে দৌড়ে এসে আপনি দ্বিতীয় অবস্থান ছাড়িয়ে গেলেন। এখন আপনার অবস্থান কি? ;অবস্থান'। আসল কথায় আসি- আপনার 'অবস্থান' আপনার গুরুত্ব তৈরি করে দিবে। আমি প্রতিটা মানুষকে বলতে চাই- প্রতিদিন অন্তত একটিবার ভালো কিছু ভাবুন। এই একটি ভালো ভাবনা আপনাকে ভালো কিছুর পথ দেখাবে। আপনি উৎসাহীত হয়ে উঠবেন। একটি ভালো ভাবনা পথ থেকে একটি করে বাধা দূর করে দেবে।

যাইহোক, আজ শুক্রবার। শুক্রবার হলো ছুটির দিন।
আরাম আয়েশের দিন। ঘুম থেকে উঠবো ১১ টায়। তারপর আবার আরও কিছুক্ষন শুয়ে থাকব। বই পড়বো, গান শুনবো, গেমস খেলব, লিখব। তা না ঘুম থেকে উঠতে হয় ভোরবেলায়। বাজারে যাও। ফ্যান মুছো। লাইটের হোল্ডারে ময়লা জমেছে- পরিস্কার করো। ফ্রীজের বরফ পরিস্কার করো। ব্যাগের জিপার নষ্ট হয়ে গেছে- ঠিক করে আনো। কাপড় আয়রন করো। গ্যাসের চুলার চাবি নষ্ট হয়ে গেছে- ঠিক করো। রান্না ঘরের কলে সমস্যা- ঠিক করো। ড্রয়ারটা গোছাও। ফুলের টবটা রঙ করে দাও। ইলেকট্রিক মিস্ত্রী নিয়ে আসো- লাইট এর সুইচটা ঠিকভাবে কাজ করছে না। ফিল্টারে পানি ঠিকভাবে পড়ছে না, ফিল্টারটা ঠিক করো। তোষক আর বালিশ গুলো রোদে দাও। জুতোটা কালি করে রাখো। ইত্যাদি ইত্যাদি... এই রকম জীবন তো আমি কখনও চাইনি।

ধরুন, আমি আপনার সাথে পরিচিত হতে চাই।
প্রথমেই হয়তো রবীন্দ্রনাথের মতো বলব না- 'আনিলাম অপরিচিতের নাম ধরণীতে, পরিচিত জনতার সরণীতে, আমি আগূন্তক, মহাবিশ্বের প্রচন্ড কৌতূক'। প্রথমেই আমি আপনার দিকে হাসি মুখে হাত বাড়িয়ে আপনার নাম জিজ্ঞেস করবো। তারপর আমার নাম বলব। যদি আপনাকে আমার ভালো লাগে, তাহলে আমি শুধু হাত মিলাবো না। বুকে জড়িয়ে ধরবো। এটা আমার স্টাইল। জিজ্ঞেস করবো আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়? এক ফাঁকে আমার গ্রামের বাড়ি কোথায় সেটা বলে দিবো। এবং আমাদের গ্রামে কি কি পাওয়া যায় সেটাও জানিয়ে দিবো। এবং কোনো একদিন আপনাকে আমাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাবো। বরষি দিয়ে দুজনে পুকুর থেকে মাছ ধরবো।

চা খাবো দুজনে।
এক মাত্র চা দুই মেরুর দুজন মানুষকে এক করে ফেলতে পারে। বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। চা এমন এক জিনিস, যে কোনো সময় খাওয়া যায়। এবং চা খাওয়ার জন্য কোনো উপলক্ষ্য লাগে না। বৃষ্টি হচ্ছে চা খাও, আড্ডা চলছে, চা খাও, কিছু ভালো লাগছে না, চা খাও। খুব ভালো লাগছে, চা খাও। আকাশে মেঘ জমতে শুরু করেছে- চা খাও। চুপচাপ বসে আছো- চা খাও। এশিয়ার মানুষেরা চা সবচেয়ে বেশি খায়। মানুষের সাথে প্রথম পরিচয়ের সময় আমি কিছু প্রশ্ন করি। প্রশ্নের উত্তর থেকে আমি বুঝে নেই মানুষটা কি রকম। ভালো হলে তার সাথে মিশি। ভালো না হলে তার কাছ থেকে একশ' হাত দূরে থাকি। যেহেতু আমি সৎ জীবনযাপন করি, এজন্য আমি চাই আমার আশেপাশে সৎ মানুষরা থাকুক। অসৎ মানুষদের আমি পছন্দ করি না।

বস্তব সত্য হলো-
একজন মানুষের সাথে আরেজন মানুষের দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকে না। আজ যে বন্ধু, কাল সে ভয়াবহ শত্রু। এজন্য মানুষের বেশি কাছে যাওয়া ঠিক না। দূরে থাকলেই বরং সম্পর্ক ভালো থাকে। সুন্দর থাকে। বেশি মাখানাখি ভালো না। এজন্য আমাদের গ্রামের মুরুব্বীরা বলেন, 'বেশি পীরিতে পেট বাজে'। আমি মানুষের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকি সচেতন ভাবে। বেশির ভাগ মানুষের হাসির আড়ালে আমি দেখতে পাই- তাদের দুঃখ ভরা মুখ। তাদের কষ্ট, তাদের হতাশা। তাদের পাওয়া না পাওয়া। তাদের হাহাকার। এজন্য আমি সহজেই কোনো মানুষের মুখে পাপ দেখি বলেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেই। হয়তো মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা মাদার তেরেসার মতো নয়, কিন্তু তারচেয়ে খুব একটা কমও নয়।

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×