বৃক্ষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।গাছের যে প্রান আছে
তা 'Responses In The Living And Non-Living' স্বরচিত গ্রন্থের মাধ্যমে
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমাণ করেন । গাছের নাকি আবার বুদ্ধিও আছে!
গাছের বুদ্ধিবৃত্তি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন এরিষ্টটল ।তিনি বিশ্বাস করেছিলেন গাছের আত্মা আছে,
সংবেদনশীলতা আছে। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রায় ৪,০০০ কোটি গাছ ছিল,
যা প্রায় ১,০০,০০০ প্রজাতিতে বিভক্ত। বৃক্ষরা আমাদের পরিবেশের সাথে ও প্রাত্যহিক
জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বৃক্ষ ভূমিক্ষয় রোধ করে ,বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ
মোকাবেলায়ও এদের অবদান কম নয় এবং এদের পত্রপল্লবের নিচে আবহাওয়া-সুরক্ষিত
বাস্তুসংস্থান তৈরি করে। বৃক্ষ সবুজ পাতা অক্সিজেন তৈরি ও বাতাস থেকে কার্বন - ডাই অক্সাইড
দূরীকরণ এবং ভূমি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের খাদ্যের
অন্যতম উৎস বৃক্ষ । বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত কাঠ ঘরবাড়ি তৈরি, আসবাবপত্র তৈরি সহ নানান
কাঠামো তৈরিতে এবং জ্বালানি কাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বৃক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহ হল
মূল , কাণ্ড, ডালপালা,বাকল , ফুল, ফল এবং পাতা। বৃক্ষকান্ড মূলত সাহায্যকারী ও
পরিবহন কলা জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যু দ্বারা গঠিত। মানব জীবনে বৃক্ষ এক অনিবার্য ও অপরিহার্য
স্থান দখল করে আছে। কিন্তু মানুষরূপী দুপেয় দৈত্যগুলো এদের বেদনা বুজতে পারে না ।
প্রান যেহেতু আছে তাই বেদনা তো থাকবেই কিন্তু ওদের তো আর মুখ নেই যে হরতাল
ডেকে সমাবেশ করে প্রতিবাদ করবে কিন্তু ওদের নীরব প্রতিবাদ সবার চোখে পরে না।
সবকিছু উজাড় করে দিয়েও ওরা মানুষের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত ।স্বার্থপর মানুষগুলো অকারনে
বৃক্ষ উজাড় করে, তাদের ডালপালা কেটে দেয়।হাসি ঠাট্টার ছলে তাদের দেহ ক্ষত বিক্ষত করে।
কিন্তু কোন প্রতিবাদ নেই......
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮