somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃতের পথচলা

১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাদামাটা কথা তোমার আমার কাছে কিন্তু ওদের কাছে অন্যকিছু... ওটা যে ভালোবাসা। পথও চলা শুরু ও করল তারা। এই ১৪ই ফেব্রু্য়ারীতে ছেলেটা একটা gift কিনলো। দুটো লকেট। মেয়েটা পরলো ছেলেটার ছবি দেয়া লকেটটা আর ছেলেটা মেয়েটার। তার ঠিক দুদিন পর ছেলেটার থেকে জরুরী ফোন এলে ও রাতের বাসে রওনা দিলো কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। বউ ঘরে একা.. ওর আবার ভূতের ভয় আছে...কদিন ধরে জ্বর জ্বর ভাব...এবার ঢাকায় ফিরে একটা full checkup করাতে হবে... এই টাইপের hubby মার্কা চিন্তা। লকেটটা খুলে দেখে... হাসি হাসি প্রিয় মুখ। চোখটা একটু বুজে আসে। গাড়ি চলছে। হঠাৎ প্রচন্ড শব্দ... এরপর বাসে আগুন।

মেয়েটা খুবই চিন্তিত। ৩ দিন হলো ওর কোনো খবর নেই। এটো ভুলো মন যে mobile phoneটাও রেখে গেচ্ছে। চিন্তায় ছোট বোনকে ফোন দিলো। ও জানতে চাওয়াতে বললো কুড়িগ্রামের কথা। তখনই জানতে পারল বাস দূর্ঘটনা হ্য় ঐ রাতে। মেয়েটা একা ছুটে যায় ওখানকার লোকাল থানায়। ডি্উটিতে থাকা অফিসার ভালোই ব্যবহার করলো। বললো যারা আহত হয়েছে তার মধ্যে ওর স্বামীর নাম নেই। মারা যাওয়াদেরও মাঝে নেই। কি একজন মেয়ে মারা গেছে যার চেহারা, শরীর সব পুড়ে গেছে। শুধু একটা ছবি আছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ও। ভাবে ওর কিছু হ্য়নি।

থানা থেকে বের হবার মুখে ওর চোখ আটকে গেলো ঐ থানার নোটিশ বোর্ডটার দিকে। একটা লকেট আর ওর ছবি। যা জানার জানা হলো, সময় যেন থেমে গেলো।

বাইরে পা রাখলো ও। নিজেকে আজ মৃত লাগছে। আজ ওরই ছবিতো থানার মৃতের তালিকায়। আর ওর ভালোবাসা মরেও মরেনি। লকেটটে খুলে দেখে পাগলের মত হাসে। বলে উঠে তুমি মরনি, মরেছি আমি। পথ চলে যাচ্ছে ঐ মৃত মেয়েটাকে নিয়ে.... কতটুকু দূরে আমি, তুমি, আমরা কেউ জানি না।s-day1.jpg
সাদামাটা কথা তোমার আমার কাছে কিন্তু ওদের কাছে অন্যকিছু... ওটা যে ভালোবাসা। পথও চলা শুরু ও করল তারা। এই ১৪ই ফেব্রু্য়ারীতে ছেলেটা একটা gift কিনলো। দুটো লকেট। মেয়েটা পরলো ছেলেটার ছবি দেয়া লকেটটা আর ছেলেটা মেয়েটার। তার ঠিক দুদিন পর ছেলেটার থেকে জরুরী ফোন এলে ও রাতের বাসে রওনা দিলো কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। বউ ঘরে একা.. ওর আবার ভূতের ভয় আছে...কদিন ধরে জ্বর জ্বর ভাব...এবার ঢাকায় ফিরে একটা full checkup করাতে হবে... এই টাইপের hubby মার্কা চিন্তা। লকেটটা খুলে দেখে... হাসি হাসি প্রিয় মুখ। চোখটা একটু বুজে আসে। গাড়ি চলছে। হঠাৎ প্রচন্ড শব্দ... এরপর বাসে আগুন।

মেয়েটা খুবই চিন্তিত। ৩ দিন হলো ওর কোনো খবর নেই। এটো ভুলো মন যে mobile phoneটাও রেখে গেচ্ছে। চিন্তায় ছোট বোনকে ফোন দিলো। ও জানতে চাওয়াতে বললো কুড়িগ্রামের কথা। তখনই জানতে পারল বাস দূর্ঘটনা হ্য় ঐ রাতে। মেয়েটা একা ছুটে যায় ওখানকার লোকাল থানায়। ডি্উটিতে থাকা অফিসার ভালোই ব্যবহার করলো। বললো যারা আহত হয়েছে তার মধ্যে ওর স্বামীর নাম নেই। মারা যাওয়াদেরও মাঝে নেই। কি একজন মেয়ে মারা গেছে যার চেহারা, শরীর সব পুড়ে গেছে। শুধু একটা ছবি আছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ও। ভাবে ওর কিছু হ্য়নি।

থানা থেকে বের হবার মুখে ওর চোখ আটকে গেলো ঐ থানার নোটিশ বোর্ডটার দিকে। একটা লকেট আর ওর ছবি। যা জানার জানা হলো, সময় যেন থেমে গেলো।

বাইরে পা রাখলো ও। নিজেকে আজ মৃত লাগছে। আজ ওরই ছবিতো থানার মৃতের তালিকায়। আর ওর ভালোবাসা মরেও মরেনি। লকেটটে খুলে দেখে পাগলের মত হাসে। বলে উঠে তুমি মরনি, মরেছি আমি। পথ চলে যাচ্ছে ঐ মৃত মেয়েটাকে নিয়ে.... কতটুকু দূরে আমি, তুমি, আমরা কেউ জানি না।

(লিখাটা আমি লিখতাম না... আমার বন্ধুবউকে ফোনে বললাম আর ও জোরাজুরি করলো বল্গে লিখার জন্য... তাই এটা তোমার জন্য)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:১১
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×