somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক নারীর বাঁচাতে চাওয়ার আকুতি ।।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনে একটা ভুলের প্রয়াচিত্ত কত বড় হতে পারে? সেই ভুলের প্রায়চিত্ত কি জীবন দিয়ে দিতে হবে? এমন কিছু মানুষ আছে যারা জীবন বাস্তবতায় এমন কিছু কষ্টকে সঙ্গী করে ছুটে চলছে যা না কাউকে বলতে পারছে আর না পারছে কারো সাহায্য প্রার্থনা করতে। এই রকম একটা ঘটনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো যে ঘটনা আমাকে কষ্ট দিয়েছে কিন্তু সেই মানুষটার জন্য আমি কিছুই করতে পারছি না। তবে তার বেঁচে থাকা বা মরে যাওয়া নির্ভর করছে এই ঘটনার সমাধানের উপর। তবে আমি মনে করি প্রশাসনের সহানুভূতিই পারে মেয়েটির জীবন রক্ষা করতে। তাই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যারা আছে তাদের সাহায্য প্রার্থনা করছি। ।

যে মেয়েটি সম্পর্কে লিখছি তার নাম পরিচয় সম্পূর্ন গোপন রাখছি। কারন আমাদের সমাজে সকল দোষ মেয়েদের দেওয়া হয়। কিন্তু কোন পরিস্থিতি সেই মেয়েটিকে এমন সমস্যার দিকে নিয়ে গেছে তা নিয়ে খুব চিন্তিত করার অবকাশ আমাদের নেই।

..........................................................................................................................................................................................
কোন এক ঘটনা চক্রে মেয়েটির সাথে একটি ছেলের পরিচয় হয়। ছেলেটির সাথে খুব ভাল বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয় মেয়েটির। কিন্তু এই সম্পর্ক কিছু দিনের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কে রুপ নেয়। আগেই বলে রাখি মেয়েটি কিন্তু বিবাহিত। পারিবারিক নির্যাতনই এমন ঘটনার দিকে ঠেলে দেয় মেয়েটিকে। কারন বিষন্য জীবনে সে চাইতেই পারে একটা মানুষের ভালবাসা। যাই হোক এমন করে অনেক দিন কথা হয় তাদের মধ্যে। কিন্তু একটা সময় পর মেয়েটি বুঝতে পারে এমন সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া তার ঠিক হচ্ছে না। কারন সে বিবাহিত এবং তার একটি সন্তানও আছে। তাই সে মন স্থির করে ছেলেটার সাথে সম্পর্ক আর আগায়ে নিবে না। কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির এমন চলে যাওয়া স্বাভাবিক ভাবে না নিয়ে হিংসাত্বক হয়ে উঠে মেয়েটির উপর। সে মেয়েটিকে বলে যদি সে তার সাথে সম্পর্ক না রাখে তবে তার সাথে যত কথপকথন আছে তা তার স্বামী এবং তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। এমন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তখন মেয়েটি বাধ্য হয়ে ছেলেটির সাথে পূনরায় কথা বলতে বাধ্য হয়। তবে মেয়েটি সব সময় ছেলেটিকে বোঝাতে থাকে সে যা করছে তা ভুল হচ্ছে। আর সে যেন মেয়েটিকে ভুলে যায়। কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির কথা মানতে রাজী হয় না। এমন করেই বাধ্য হয়ে মেয়েটি ছেলেটির সাথে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য হয়। একদিন ছেলেটি তার সাথে দেখা করতে বলে এবং ছেলেটি বলে যদি তার সাথে দেখা না করে তবে মেয়েটির ভয়েজ রেকর্ডগুলো তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। শেষমেষ মেয়েটি তার সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু এই দিন ছেলেটির উদেশ্য ছিল ভিন্ন। সে মেয়েটিকে নিয়ে যায় তার বাড়িতে এবং জোড়পূর্বক তাকে বাধ্য করে শারীরিক সম্পর্ক করতে। ছেলেটি মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য ধারন করে রাখে মোবাইলে। মেয়েটির অনেক আকুতি মিনতি করা সত্ত্বেও তার কোন কথাই শুনেনি ছেলেটি। পরবর্তিতে মেয়েটিকে ঠিকই বাসায় পৌছে দেয় ছেলেটি কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এই ভিডিও নেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বাধ্য করে। মেয়েটি মান সন্মান এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কারো কাছেই এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ করতে পারে নি। এমন কি কারো কাছে সাহায্যও চাইতে পারে নি। মেয়েটি এখন এমন এক মানষিক যন্ত্রনার মধ্যে আছে যখন তার পক্ষে আত্মহত্যা ব্যতীত অন্য কোন পথ খোলা নেই। তাদের সম্পর্ক অনেক দিন কেটে গেছে। এখন ছেলেটে দেশের বাইরে অবস্থান করছে প্রায় এক বছর যাবত। কিন্তু ফোনের মাধ্যমে মেয়েটিকে প্রতিনিয়ত মানষিকভাবে আঘাত করেই যাচ্ছে। তাকে বাধ্য করছে তার অন্যায় দাবি পূরন করতে। কিন্তু মেয়েটি সম্পূর্ন অসহায়। ছেলেটি এখন বলছে দেশে আসার পরে আবার তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। কিন্তু মেয়েটি চাইছে এমন নোংড়া কাজ থেকে বেড়িয়ে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে। কিন্তু যতদিন ছেলেটির হাতে এই ভিডিও থাকবে ততদিন মেয়েটি পারবে না ছেলেটির অন্যায় দাবি এড়িয়ে যেতে।

এমন পরিস্থিতে এই মেয়েটি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। হয় তাকে মরতে হবে না হয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এই ছেলেটির হাত থেকে রক্ষা পেতে হবে। মেয়েটির জীবনের একটা ভুল আজ তার জীবন শেষ পরে দিচ্ছে। এর মধ্যে দুই বার মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে । কিন্তু নিয়তি তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মেয়েটির কি করনীয় সে সম্পর্কে আপনাদের পরামর্শ কামনা করছি। অসহায় এই মেয়েটি আজ কারো কাছেই সাহায্য চাইতে পারছে না। না পারছে তার স্বামী সংসারের কাছে না পারছে দেশের প্রশাসনের কাছে। কেউই হয়তো তার সহায়তায় এগিয়ে আসবে না।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়েটির কার কাছে সাহায্য চাইবে? কে তাকে সাহায্য করতে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আসতে?





সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×