কটা বাজে তখন?
রাত ৯টা?
কিচ্ছুক্ষণ পরেই অন্তরজালের আড্ডায় আমাদের ডুবে যাবার কথা ছিলো।
হঠাত একটা ফোন আসলো,
কেউ একজন জানালো তোমাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তখন ও ধরে রেখেছি
হয়তো ফেরার পথে আকাশ দেখে মনে হয়েছে
সারা পৃথিবী এক দিকে সরিয়ে
জোছনা ভেজা জল দেখবে।
আর জলের উপর জোছনা দেখার মায়ায়
হয়তো ভুলেই গেছো সবাই তোমার জন্য
কখন থেকে অপেক্ষা করে বসে আছে।
তখন পর্যন্ত আমি ধরে রেখেছি,
রাতে আমাদের কথা হবে,
আমাকে জোছনার গান শুনবে
কীবোর্ডে সুর তুলে।
কি জানি আবার কি মনে হোল,
শীতের পাতা ঝরা গাছের মত
নিজেকে রিক্ত, শুন্য মনে হতে লাগলো।
একটু একটু করে কেমন একটা ভয়ানক অবিশ্বাস
পাথরের মত বুকে চেপে বসতে লাগলো।
মনের মধ্যে তখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে
কোথায় তুমি!
কোথায়!
মুঠফোনে তখন তোমাকে পাগলের মত খুজে চলেছি
তরঙ্গ বার্তায় তোমাকে লিখে চলেছি একের পর এক চিঠি
তখন ও তুমি কই জানি না।
পাগলের মত সারা রাত প্রার্থনা করেছি
কোন এক যোদ্ধার মত,
কিংবা জলের সাথে লড়াই করা কোন এক অকুতোভয়ী নাবিকের মত
তুমি যেনও জয়ী হও।
উচ্ছল তরঙ্গ যেনও তোমার কোন ক্ষতি করতে না পারে।
চোখ বন্ধ করে ভেবেছি
জোছনার আলোতে হিরের দ্যুতি ছড়ানো জলে
তুমি ভেসে আছো।
ঠিক যেন কোন কল্পতরু!
যে কাউকে নিরাশ করে না।
যে বহু আরাধনার পাওয়া!
রাতটা কাটলো,
কি ভয়ঙ্কর এক রাত!
অপেক্ষার এক রাত!
ভেবেছিলাম দিনের আলো তোমায় নিয়ে আসবে,
আলোটা বোধ হয় তোমায় ঈর্ষা করতো!
দিনের আলো এলো,
কেউ একজন বলল,
শিশিরের মতন টুপ করে
তুমি হারিয়ে গেছো!
দিনের আলো নিয়ে এলো
দমবন্ধ অন্ধকারের দুঃস্বপ্ন।
দুঃস্বপ্নের ঘোর ভাঙ্গে না!
এখনো প্রতিনিয়ত
চিৎকার করে
আধার ভাংতে চাই।
আমি পারিনা,
আমি পারি না!
এখনো ভাবি,
তুমি আছো
হয়তো দেখছি না,
কিন্তু আছো।
সবাই বলে সত্যি মেনে নিতে।
আমি নাহয় নাই মানলাম
কার কি আসে যায় তাতে!
আমার জন্য তুমি আছো
তুমি আছো!
মম চিত্তে!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৭