শীত পড়তে শুরু করেছে,
সবুজ গালিচা মোড়ানো তোমার নতুন ঘরে কি
একটু একটু হিম পড়ছে?
নাকি মাটির উষ্ণতার ফাক গলে
নীল কুয়াশা এখনো তোমায় ছুতে পারিনি।
আকাশের চাঁদ আর জোছনা ভালো লাগতো তোমার,
জোছনায় ভিজে ভিজে সমুদ্রের ডানায়
চোখ মেলে আদ্র হবার বড় সাধ ছিলও তোমার।
শেষ মুহূর্তে জোছনা পেয়েছিলে কিনা জানি না,
জোছনা না পেলেও
রবিকিরন কি তোমার কপাল ছুয়ে গেছিলো?
ভিজে থাকা চুলের ফাকে ফাকে
রোদের নরম আঙ্গুল কি কোন প্রেয়সীর
মত তোমার মনে 'কেমন কেমন লাগা'
ভাবটা জাগিয়ে দিয়েছিলো?
তোমার কি মনে হচ্ছিলো সূর্যের
স্পর্শটা আরেকটুখন থাকুক?
জানো, এখানে এখন অনেক রাত,
তুমি তো জানোই।
কি সুন্দর, বিস্তৃত মাটির বুকে শুয়ে আছো
তুমি কি শুয়ে শুয়ে,
উপরে তাকিয়ে জোছনা দেখো?
একটা তারা, দুটো তারা করে করে তারা গোনো?
নাকি অপেক্ষায় আছো মুষল ধারা বৃষ্টির?
আগের ঠিকানার জানলা গলা চাদের নরম আলোটা মনে আছে?
ঐযে, ঠিক তোমার গাল বেয়ে নেমে যাওয়া আলোটা?
আলোটা কিন্তু তোমাকে এখনো মনে রেখেছে জানো!
ছোট্ট ডাহুক ডেকে গেলে কি এখনো মন কেমন করে?
নতুন পৃথিবীর নতুন পরিজনের মাঝেও
শিশ দেওয়া বুলবুলিটাকে ইতি উতি
এখনো খোজো নাকি?
কি করছ এখন,
নতুন পৃথিবীটা গোছাচ্ছ?
নাকি...ওই দূর থেকে ও আমাদেরকে ভাবো!
অবাক লাগছে না!
কোন দিন কি ভেবেছিলে এতো মানুষ এতো ভালবাসে তোমায়?
নিজের ভাগ্যে, নিজের ই কি একটু ঈর্ষা হচ্ছে!
কে জানে!
তুমি জান,আমার কিন্তু খুব হয়!
তোমার ভাগ্যে আমার ঈর্ষা!
ঠিক ১ মাস আগে এই কবিতাটা আমার কীবোর্ড পেরিয়ে এসেছিল তাহারাত ভাইয়ার জন্য। ভাইয়া চলে যাবার ৩ সপ্তাহের মাথায় আমি আমার বাবাকে হারাই। আগামীকাল বাবার চলে যাবার ১ সপ্তাহ পূর্ণ হবে। আমি এখনো একটা ঘোরের মধ্যেই আছি। এখনো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
এই কবিতাটা ভাইয়া আর বাবা দুজনের জন্যই থাকলো।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪২