তরুন-যুব সমাজের কাছে প্রদত্ত সর্বোত্তম বিনোদন !লেখারপড়ার যোগ্যতা প্রমান করতেই কি এই বিজ্ঞাপন!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমাদের সোনার বাংলাদেশ এর তরুন ও যুব সমাজের সর্বশ্রেষ্ঠ বিনোদন পার্কটি কোথায় অবস্থিত? তা আশা করি এই দশকে প্রমান হয়েছে। যত কথা শুনা হবে বিনোদন ততই পারবে। অনেক ক্ষেত্র এটাকে কম অশ্লীলতা সম্পন্ন এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন চরম বিনোদন। আজ আমরা অনেক কথা শিখেছি এবং প্রতিনিয়ত শিখছি। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের ঘোষনার মধ্যে পদ্মা সেতুর ওয়াদা অনেক বড়। নির্বাচনের পর মন্ত্রী সভায় শোভা পেল কথিত তরুন সমাজের জন্য এক চরম বিনোদন সহ চমক। প্রথম চমকটি দেখা গেল সরকারের এক কমন জেন্ডার এক মন্ত্রী! প্রথম দিকে নিরীহ প্রকুতির মনে হলেও পরবর্তীতে কথিত কমন জেন্ডারে রুপান্তর ঘটে। এরই মাঝে এক হাইব্রিড নেতার সন্ধান পেল বর্তমান সরকার। যার মুখ থেকে ব্লু রে প্লেয়ারের মত সিডিডিস্ক থেকে রেকর্ডেড কথা চলতেই থাকল। আজও মুখ থেকে বের হচ্ছেই। বাংলাদেশের অর্থনীতির দিকে তাকাবেন সেখানেও দেখবেন যে একেবারে চক চক করছে সরিষার তেল এ। আর অতি মাত্রার শিক্ষার প্রমান পেলাম যখন শুনলাম যে' আই এম একদম ফেডআপ''.. যদিও এরকম শিক্ষার বেহাল অবস্থা আগেও ...উই আর লুকিং ফর শত্রুজ.....।আর বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত প্রকল্প পদ্মা সেতু। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা রকম মুখরোচক এবং জিভে জল আসার মত সব বক্তব্য তবে এই জল আসলে পাবলিক বক্তাদের মুখেও জনগন দিতে কুণ্ঠাবোধ করবেনা। সবচেয়ে বড় ব্যাপারটি যেখানে তা হল- পদ্ধা সেতু তৈরীর সেই চক চকে কথা। আমরা যদিও ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ে পড়েছি ভাবসম্প্রসারন হিসেবে-চক চক করলেই সোনা হয়না। যদিও ওই ভাবসম্প্রসারনের বক্তব্য এক ধরনের থাকলেও এখন আর তা ওই ভাষায় লেখা যাবে কিনা তা বলা বাহুল্য। আজ এহেন অবস্থায় মনে হচ্ছে যে এদেশ এক বিকারগ্রস্থ শক্তিশালী মন্ত্রী নামক পদবীর মেলা বসেছে। সংসদ যেন রেসলিং এর যথার্থ স্থান! আর গ্রাম্য চুলাচুলি নামের ও যেন সর্বোত্তম স্থান। ঝগড়ার বিষয় বস্তু যখন কে কার কোলে উঠেছে তখন রুচিবোধ প্রশ্নবিদ্ধ! যা দেখে বাচ্চারাও লজ্ঝায় মুখ ঢাকে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল মৃত ব্যক্তিদের নিয়েও কটুবাক্য করতেও নূন্যতম জ্ঞান এর প্রমান দিতে ব্যর্থ হয়েছে কথিত চমকধারীরা। থুথু উপরের দিকে ফেললে নিজের দিকেই আসে সেই বাক্য টি ও আজকের জ্ঞানপাপী রা বেমালুম ভুলে গেছে।সবচেয়ে মজার ব্যপারটি হচ্ছে কে কি বলছে তা নিজে যাচাই করে কথা বলার মানসিকতাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে। আমাদের দেশের মত সরকার প্রধান যিনি একমাত্র মিথ্যায় নোবেল পুরস্কার দিলে যথার্থই হবে । তিনিও বিশ্ব ব্যাংক কে ধমকি দিয়ে বোকা ই হলেন এটা অনুভবের ক্ষমতাটুকু তার ভগবান দেননি।আর কত বোকা হলে বুঝ হবে যে আমরা বোকা হয়েছি! মন্দির উদ্বোধন করতে মোনাজাত করা হলে তা কেমন হাস্যকর দেখাল? সম্প্রতি পদ্মা সেতু তৈরী করতে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে একেজন জন একেক কথা বলে তা উত্তম বিনোদন প্রদান করছে জনগনকে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের লেখাপড়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে আমাদের ধনী প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বয়ংসম্পুর্নতার কথা বলে জাতিকে হাসির তোড়ে ছেড়ে দিয়ে নিজেও হেসেছেন কিনা এই ভেবে যে পাবলিক কত বোকা! নির্বাচনের পর থেকে আজ পর্যন্ত আবাসিক এবং শিল্পান্চলে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে ক্ষতি যা হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মান করে তার চেয়ে এক টাকা বেশীও যদি লাভ হয় তাহলেও চিন্তার ভিন্নতা দেখার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা সম্ভব নয়। বিদ্যুত এর শুভংকরের ফাকি তো আজ ওপেন সিক্রেট। জনগনকে কষ্টে রেখে আপনি গোপলগঞ্জ এর জন্য সেতু করতে চান তা কি আজ স্পষ্ট নয়? আর এই সেতু করতে আপনার চটকদার বক্তব্য আর চকচকে ব্যক্তিদের মন্তব্য পাবলিককে চটকদার বিজ্ঞাপন এর মতই বিনোদন এর ব্যবস্থা করছে। আবার সেই তত্বাবধায়ক সরকারের ছায়া কর্তাব্যক্তিদের মত বিশ্বাসঘাতক সেনাপ্রধান এর আলুর কতঅ মনে পড়ে যায়। তবে এই আলুর বিজ্ঞাপন ধারীরা আমাদের প্রানের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের তরুন ছাত্রদের কাছে যে দাবড়ানী খেয়েছে তা দেখে অনেকে আলুর প্রতিশোধের কথা বলেছেন। আর ঠিক এই সময়ে আবার আপনার লোক বলে বেড়াচ্ছে এই বলে যে, একবেলা বাজার করবেননা। কিন্তু মানুষ কষ্ট করে কামাই করে তার সংসারের খাবারের জন্য না খেয়ে থাকার জন্য নয়। আরেক বাচাল বলেছেন যে-বাজারে কম যান? এর মানে কি? জনগনের সাথে কত প্রকার মশকরা করলে খুশি হবে সরকার প্রধান! আর এই বছরের সেরা ঝোকস তো হয়ে গেছে সাবেক কালোবিড়াল খ্যাত রেলমন্ত্রীর ঘুষ কেলেঙ্কারীতে। এক অদৃশ্যের ছায়ায় মন্ত্রিত্ব বিদায় করার ৩০ ঘন্টার মধ্যে সরকারী প্রটোকল পাওয়ার জন্য দফতরবিহীন করে এবং দুদক এর ডিওরোসেম মার্কা স্টাইলে সাদা বিড়াল বানানোর চেষ্টায় সফলতা দেখছেন। আর আবুলের আমলে তো রাস্তা ঘাট কেলেঙ্কারী ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। তবে বর্তমানের যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর পদ্মা সেতু তৈরীতে সেই পুরাতন মালয়েশিয়া-গল্প বলেই চলেছেন। কিন্তু তা কতটুকু সুন্দর গল্প তা মানুষ ভালকরেই জানে। সবচেয়ে সুন্দর ১০০% বিনোদন সম্পন্ন বিজ্ঞাপনটা তৈরী করেছেন আমাদের বর্তমার রেসলিং এবং চুলাচুলি আর মৃত ব্যক্তির চরিত্র হননের ভাগাড় এর দায়িত্বশীল ব্যক্তি স্পিকার। ২৫ পয়সা কলচার্য কেটে রাখার কথা বলে তার জ্ঞানের প্রসারতা মানুষকে বঝিয়ে দিয়েছেন। আবার আসা যাক সেই অতীতের কালো বিড়াল আর বর্তমানের সার্টিফাইড ডিওরোসেম সাদা বিড়াল এর কথায়- যিনি বললেন যে বিশ্ব ব্যাংক সময়মত ফিরে আসবে! আবার চমকিত হই! বিড়ালের সাথে আবারো কি কোন চুক্তি হল কিনা! কিন্তু সব অসাড় এবং অন্ত:সার শুন্য বক্তব্য। এর সাথে চকচকে ব্যাক্তিটি আবারো এই বলে বিনোদন স্থাপন করলেন যে, বিশ্বব্যাংক কে আর অনুরোধ করা হবেনা। ভাগ্য ভাল যে বলেনি যে ওয়াল্র্ড ব্যাংক কে আর ডোন্ট অনুরোধ করা হবেনা। আর এই বিশাল বিনোদনের ফাকে বা বিরতিতে এদের পোষা সোনার ছেলেরা নিজেদের কর্মদক্ষতা প্রমান করেছে এম সি কলেজে আগুন দিয়ে। এ নিয়ে এই সমস্ত ভাড়দের কোন মাথা ব্যাথা নেই এখন কমিশনের চিন্তায় ঘুমে এবং চেয়ারে বসে স্বপ্ন শুধু পদ্মা সেতুর কমিশন বানিজ্য দেখতে পায়! আর কত বিনোদন দিলে মাল-আবুল-সাদা বিড়াল-কমনজেন্ডার-উপনেতা-রেসলিং এর রেফারী-আর বাচালদের বিজ্ঞাপন নির্মান শেষ হবে! তবে এই বিনোদন প্রকাশ করে আলুর ফেরীওয়ালা ও যখন মুক্তি পায়নি আশা করি আপনাদের মত ভাড়েরাও মুক্তি পাবেনা। জনরোষে সব ধ্বসে যাবে।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।