somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েটা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-সকালে দেখা করতে পারবা ??
-হুম ..কখন?
-এইতো সকাল ৭টায় আমার একটা পড়া আছে তারপরে তুমি কলেজে আসিও প্লিজ
-মাইরালচে!
-কেনো কি হইছো গো !
-কি হয়নাই বলো ! এতো ভোরে লাস্ট কবে ঘুম থেকে উঠছি আমার মনে পড়েনা আর তুমি বলো কিনা এই ঠান্ডায় বিছানা থেকে উঠে কলেজে যাইতে !
-হুম.. জানিতো সেটা বাট তুমি আমার জন্য এইটুকু করতে পারবা না বাবু :-(প্লিজ প্লিজ
-আমি উঠতে পারিনা !
- ওকে আমি তোমাকে ঘুম থেকে তুলে দিবো বাবু
-অকা ঠিকাচ্ছে বেইবি ;-)
-উম্মা ..আমার বাবুতা গুলুগুলু । ওকে এখন ঘুমিয়ে পরো আমি সকালে তুলে দিবো ।
-অকা । টাটা গুডনাইট বেইবি :P

কথা শেষ করে ছেলেটা ভাবতে থাকে মেয়েটাকে কালকে চমকে দিতে হবে একা একা ঘুম থেকে উঠে ।তাই ফোনটা নিয়ে সাড়ে ছয়টায় এর্লাম দিয়ে রাখে । কিন্তু দেখা করার উত্তেজনায় রাতে ঘুম হয়না । শেষ রাতে ঘুমিয়ে পড়ে ছেলেটা । সকাল হতেই এর্লামের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ছেলেটার তারপর কম্বলের নিচ থেকেই তার একটা বন্ধুকে ফোন দেয়

-হ্যালো
-পড়া কয়টায় রে?
-মামা আমিতো টাশকির উপ্রে আছি
-ক্যান কি হইছে?
-কি হয়নাই কও ব্যাটা..তুমি আম্মে এতো সকালে ফোন দিছো আবার জিগাও পড়া কয়টায় আমিতো ধন্য হই গেলাম রে
-ফাজলামি রাখ আগে ক পড়া কয়টায়
-হাহা..পড়াতো আটটায় । তুমি যাবা?
-হ ডাক দিছ আমারে
-আইচ্ছা আমি কি স্বপ্ন টপ্ন দেখতাছি ??
-জ্বি হ্যাঁ তোমার স্বপ্নে দোষ আছে তাই এম্মে কথা কইতাছো ..হালা ফোন রাখ

টুট টুট টুট..

ফোনটা পাশে রেখেই ছেলেটা রেডি হতেই বন্ধু হাজির । কিন্তু বন্ধুর চোখে মুখে ছেলেটাকে নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ কারণ যে ছেলে ১১টার আগে সূর্যের মুখে দেখে সে আজ সাড়ে ছয়টায় উঠছে সো ডালমে কুছতো কালা হ্যায় থুক্কু ডাল হি কালা হ্যায় । এইসব ভাবতে ভাবতে তারা কলেজে পৌঁছুলো যখন ছেলেটা তখন হুট করে বলে

-দোস্ত আজ পড়তে যাবোনা তুই যাহ
-মানে কি ??? (টাশকিত)
-কিছুনা রে তুই যাহ
-আগেই জানতাম কোনো কাহিনী আছে
-কোনো কাহিনী নাই । এইনে ব্যানসনের প্যাকেট এখন ভাগ
-উহু.. যাবোনা পড়তে । দেখবো তুই কি করিস ।
-অকা ঠিকাছে যাইস না তাইলে ।

তারপর পকেট থেকে ফোনটা বের করে ছেলেটা মেয়েটাকে কল দেয় । কয়েকবার কল দিয়ে মেয়েটাকে পায়না । তারপর মেয়েটাই জানায় যে তার আসতে আর ১০মিনিট লাগবে ।

গুনে গুণে ১৪মিনিট পরে শীতের হাড় কাঁপানো কুয়াশা ভেদ মেয়েটাকে দেখেতে পায় ছেলেটা । একটা সবুজ সালোয়ার কামিজে একটা পরী হেঁটে হেঁটে আসছে আর ঠোঁটে মাতাল করা সেই মিষ্টি হাসি যার নেশায় পাগল হয়ে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা কিন্তু মেয়েটার পাশে আরোও একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে । আচ্ছা পাশের ওই মেয়েটা কে? কাছে আসতেই জানতে পারে যে ওটা তার বান্ধবী । তারপর কথাবার্তা শুরু হয় তাদের । কিন্তু মেয়েটার মুখে খৈ ফুঁটলেও ছেলেটা চুপ করে সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে..

তারপর মেয়েটা আবদার করে বসে যে তারা আজ কুয়াশার চাদর গায়ে জড়িয়ে রিক্সায় ঘুরবে । ছেলে প্রথমে একটু অমত করলেও পরে হাসি মুখে রাজি হয়ে যায় । একটা রিক্সা ডেকে উঠে পরে কপত কপতি । রিক্সাওয়ালা রিক্সার হুডটা তুলে দেয়ে যাতে তাদের একটু সুবিধে হয় ।

রিক্সায় পাশাপাশি বসে আছে দুজন কিন্তু কেউ কথা বলছে না কারণ একটু সঙ্কচ হচ্ছে প্রথম প্রথম । নিরবতা ভেঙে মেয়েটা কথা শুরু করে আর ছেলেটা চুপ করে শুনে । মেয়েটা দেখে ছেলেটা ঠান্ডায় কাঁপছে তাই তাকে চাদরে জড়িয়ে নেয় । ছেলেটা একটু লজ্জা পায় । মেয়েটা ছেলেটার কাঁধে মাথা রাখে ।ছেলেটা মেয়েটাকে ডান হাতে জড়িয়ে কাছে টেনে নেয় । মেয়েটা এই প্রথম লজ্জা পাচ্ছে । ছেলেটা জানে এটা কারণ মেয়েটা লজ্জা পেলে নাকটা লাল হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পরে ছেলেটা তার ঠোঁট জোড়ার উপর আরোও দুটো ঠোঁট জোড়া অনুভব করে সাথে কিছু নিঃশ্বাস যেগুলোতে ছেলেটার নাম আছে ।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×