somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈশ্বরের প্রতি

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈশ্বরের প্রতি

জুতোর ফিতের মতো এই বিরক্তিকর জীবনটা কেনো দিলে বলোতো ঈশ্বর ?
ভুল সময় আর হাড়-হারামজাদা লোকদের ভীড়ে-----
কেনো!---- একটা পরিপূর্ণ জীবন দিলে কি এমন ক্ষতি হতো তোমার
আমার পছন্দ মতো পরিপূর্ণ সুন্দর একটা জীবন!

তুমিতো কথা বলোনা, অন্যকে দিয়ে বলাও---
যারা বলবে সব কিছু আসলে মঙ্গল আর সব কিছুতে পড়তে হবে আলহামদুলিল্লাহ
তাদের আমি ধরবো টুঁটি চিপে
আমার এতো মঙ্গলের দরকার নেই
আমি যাতে সুখ পাই তেমন কিছুতেই রুচি আমার ------তাতেই সন্তষ্ট আমি
ভিন্ন কিছু ------বা না পাওয়ার যন্ত্রনা আমাকে দেয়া হলো কেনো?
কেনো আমাকে?-----কি কারণে!



ছোট বেলায় ঈদের দিনে শিলুদের বাড়ীতে সেমাই খেতে যেতে হতো কেনো?
বাড়ীতে মায়ের হাতে বানানো প্রায় মিস্টি বিহীন সেমাই ছেড়ে?
মিস্টি থাকতোনা কেনো বাড়ীতে?-
ঈশ্বর কি আমাদের জন্য এ ভালো কাজ করেছেন
ওটা আবার কিরকম ভালো?

ভালো সার্ট ছিলোনা বলে একবার কলেজে পারুলের মন যোগাতে গিয়ে
স্বপন ভাইয়ের শার্ট পরেছিলাম চুপিচুপি
তারপরে বাড়ীতে এসে খেতে হলো ঘুষি
নিতান্ত ভদ্র গোছের একটা শার্টও কেনো থাকতোনা আমার
ঈশ্বরের এর মধ্যে কি ভালোটা আছে!
এ রকম ভালো কেনো শুধু আমার জন্য বরাদ্দ?

তিন বছর জিন্নার বোনের সাথে পবিত্র প্রেম করার পর জানলাম
সে হারামজাদী প্রেম করে অন্ততঃ দশজনের সাথে
শেষ পর্যন্ত মাগী টাকার লোভে এক বুড়োকে করলো বিয়ে
কচি মনে কি কষ্টটাই না পেয়েছিলাম
এরকম খানকী জুটলো কেনো আমার কপালে
ঈশ্বরের রাজত্বে কি আমার জন্য এরচেয়ে ভালো কিছু ছিলোনা!

বহুকষ্টে চাকরি একটা পেলাম কেরানীর
আঠাশ বছর ধরে ঐ একই কেরানীর পদ---সারাদিন কলম পিষে
বিকেলে আবার প্রভূদের বাজারের ব্যাগ হাতে----
বিনীত কুকুরের মতো পিছু পিছু-----কখনো ঘাড় কাত হতে দেরী হলে দুরান্তে ট্রান্সফার
মসনার তেল নিয়ে ঠ্যাঙ ধরে টানাটানি---- এই কি বিচার!
এর মধ্যে আমার কি ভালো রেখেছেন হে ইশ্বর!

মাসের ১৫ তারিখ থেকে সংসারে টানাটানি
ধার দিতে অপারগ বন্ধুরা পালায়
বড়লোক আত্মীয় স্বজন বাড়ীতে থেকেও বলে নাই
বাড়ী ফিরে বউ ছেলে মেয়ের কাছে অপমানে মনে হয় আত্মহত্যা করি
অথচ অশিক্ষিত আনপাড় গাউয়াড় লোকেরা ঘোরে লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে
ওরা কি মন্ত্র জপ করে তাও যদি শেখাতে ইশ্বর!

তারপর জাতির পিঠে উঠে বসে আছে জম্পেশ সিন্দাবাদের দুই বুড়ি
উদ্ভট দেশ --- কারো কোন মূল্য নেই ----দুই সতীনের লড়াই
বঙ্গবন্ধু আর জিয়া যেনো হাটের ফকিরনির দগদগে ঘা
প্রতিদিন উসকে দেয়া----কোনদিন শুকায়না ---কোনদিন না----
ভীষণ বিরক্ত আমি---- ভীষণ
মাঝে মাঝে দম আসে বন্ধ হয়ে------
এই দম বন্ধ পরিবেশ ! এই কি আমার জন্য----সবার জন্য ভালো?
এর মধ্যে ভালোটা কোথায় ঈশ্বর !

আমার পছন্দ মতো পরিপূর্ণ সুন্দর একটা জীবন !--------
একটা পরিপূর্ণ জীবন দিলে কি এমন ক্ষতি হতো তোমার ঈশ্বর
যে জীবনে আলতামিরার গুহায় নিবিষ্ট চিত্তে বসে ছবি আঁকা যায়
লাইসিয়ামে বসে শোনা যায় জ্ঞানবৃদ্ধ এ্যরিষ্টটলের বাণী!
হওয়া যায় বোদলেয়ারের সহযাত্রী ---কবিদের রাজা যখন
পাপ থেকে নিংড়ে বের করে আনছিলেন কবিতার সৌন্দর্য
বরিশালে জীবনানন্দের আটচালার ঘরটার আশেপাশে ঘুরঘুর করা যায়
শিশিরের টুপ টুপ শব্দকে সাথী করে যখন লিখছিলেন তিনি রুপসী বাংলার কবিতাগুলো।
হাবলিদার নজরুলের চা আর পান এনে দেয়া যায়
বেকার হোস্টেলের ৪০৫ নং ঘরে বসে পেন্সিলে লিখছিলেন যখন কবিতা ‘ বিদ্রোহী ’
অথবা হেমন্ত বাবু মানবেন্দ্র মান্নাদে শ্যামল ----
অজস্র গান গেয়ে ভরে তুলেছিলেন যখন বাংলা আর বাঙালীর প্রাণ
মন ভরে যেতো সত্যি ভরে যেতো নিঃসন্দেহে আমার এ মন
হে ঈশ্বর দিতে যদি আমার পছন্দ মতো পরিপূর্ণ সুন্দর জীবন!
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×