আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র।আমি বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি নিয়ে কিছু বলতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৬% কোটা এবং ৪৪% মেধা এর ভিত্তিতে বিসিএস সহ বেশিরভাগ সরকারী চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে ।আমি বলি এটা কি মগের মুল্লুক নাকি সারাটা জীবন কস্ট করে পড়াশুনা করব আর কোটা সাহেবেরা ফাকাবাযিতে সব চাকরী লুফে নিবে।এর আগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ১০% ,আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে করল ৩০%।যেখানে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখের মত যদিও আসল আর নকল নিয়ে মতবিরধ আছে,আর পুরা দেশের জনসংখ্যা প্রকৃত হিসেবে দেখা যাবে ১৮ কোটি, এই সব সরকার কোন যুক্তির ভিত্তিতে ক্ষুদ্র গোষ্ঠির জন্য বৃহত্তর গোষ্ঠিকে অবহেলা করছে।এটা একটা প্রবাদের মত যে নদী পার হলে মাঝি কোন শালা।আমি বড় দুটি দলকে বলি আপ্নারা ভুলে যেয়েন না অই দুই লাখ ভোটে আপনি নির্বাচিত হন নাই।আপ্নারা হয়ত ভাবছেন আমি এত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরধী কেন?আমি বলি ভাই আমি একজন কৃষক পরিবারের ছেলে,আর আমার বাবার স্বপ্ন আমি একজন বিসিএস ক্যাডার বা ভাল চাক্রিজীবী হব।কিন্তু এই কোটার ভিড়ে আমি হতাশ।আমি বলি আমার বাবা রাজাকার না এবং তিনি প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করতে না পারলেও মুক্তিযুদ্ধে যথেষ্ঠ অবদান রেখেছেন।তাহলে শুধু একটা সার্টিফিকেট না থাকায় আমার বাবার ছেলে আমি কেন এত বৈষম্যের শিকার হব।তাহলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থকতা কোথায়? আগে পাকিস্থানীরা কোটা খেত এখন মুক্তিযোদ্ধারা।তফাতটা কোথায়?শুধু স্বাধীনতা নামের মুলা ঝুলিয়ে ত লাভ নাই।
একটা গল্প বলি।ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন ছাত্র সে ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারী হওয়ায় সর্বনিম্ন স্কোরধারীর চেয়ে ২০ মার্কস পেয়ে চান্স পেয়েছিল।এজন্য পরবর্তিতে তার বন্ধুরা সবাই তাকে ক্ষ্যাপাইতো ।সে কারো সাথে মিশতে গেলে সবাই বলতো সর কোটাধারী তোর তো এখানে পরার যোগ্যতাই নাই।পরবর্তিতে সে বিসিএস ক্যাডার হল কোটার ভিত্তিতে ,তখন সে ভয়ে বন্ধুদের কাউকে বলত না তার বিসিএস হয়েছে।তাই আমরা চাই না আমাদের সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে অসম্মানিত করা হোক।তাই আমরা চাই এই কোটাকে সহ্যনীয় পর্যায়ে আনা হোক ৩-৫% এর মদ্ধে।আর সব কোটা থাকবে ১০% এর মদ্ধে ।তার মানে ৯০% থাকবে মেধার জন্য।তাহলেই দেশ মেধাবীদের নিয়ে এগোতে পারবে।
তাই আমি বর্তমানের যুবক সমাজকে বলি আপ্নারা জেগে উঠুন।একবার একাত্তরে লড়েছি মুক্তিযুদ্ধ আর এখন আন্দলন করতে হবে অস্তিত্তের জন্য।বর্তমানে বড় যেগুল বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের ছাত্ত্রদের এগিয়ে আস্তে হবে।কারন তারা এগিয়ে আসলে সারা বাংলার যত বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এবং সাবেক যারা বেকার তারা উদবুদ্ধ হবে ,এমনকি জান দিতেও প্রস্তুত আছে?সুধু একটা উদ্যোগ দরকার।আমি মনে করি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা আমাদের নেত্ত্রিত্ব দিবে।আর আমি বুঝি না মানুষ এত আন্দলন করছে শাহবাগ আন্দোলন,হেফাজত আন্দোলন আর আমারা যুবক সমাজ জারা দেশের ভবিষ্যত তারা একটা আন্দোলন করতে পারছি না।আমাদের উচিত সামনের নির্বাচনের আগে একটা আন্দোলন করা যাতে আওয়ামী লীগ হোক বা বিএনপি হোক যারা আমদের একটা প্রতিশ্রুতি দিবে যে সব কোটা ১০% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে আমরা যুবসমাজ তার পক্ষে থাকব।আর আমাদের মত ছাত্ত্ররাই ১৯৫১ তে ভাষা আন্দোলন আর ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ত দিয়েছে,সুতরাং আমরা এটাতেও আমাদের দাবি আদায় করতে পারব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




