somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







সংসদ ভবন যেন বিল্ডিং না, ভাষ্কর্যের। সম্পুর্ন ৯ তলাই কংকৃটের তৈরি। ৪র্থ তলা আবার আরেকটা জগত! এমন ভাবে বানান যেন এটাই বাগান তার পাশ দিয়ে কয়েকটি ৬ তলা ভবন উঠে গেছে। ভেতরের দেয়াল গুলোও বাইরের মতই। কোথাও বিশাল গোল ফোকর আবার কোথাও সুদৃস্ব জ্যামিতিক কাঠামো। এটা দেখে আমি বুঝলাম কেন সবাই "জাতীয় সংসদ" এলাকায় কোন কিছু করার এত বিরোধিতা করে। তাই জাতীয় সংসদ ভবন সম্পর্কে কিছু তথ্য ও ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। “জাতীয় সংসদ ভবন” –এর ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ, তাই অধিকাংশ ছবি নেট থেকে নেয়া।

1. জাতীয় সংসদ ভবন ঢাকার শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত।
2. মোট এলাকা: ২০০ একর (৮,০০,০০০ m²)
3. প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই কান এটির মূল স্থপতি।
4. জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে।
5. ১৯৮২ সালের ২৮শে জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
6. নকশা ও নির্মান ব্যয়: ১২৯ কোটি টাকা
7. ১৯৮২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে প্রথম এই সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।
8. মূল ভবনটি (সংসদ ভবন) মূলতঃ তিন ভাগে বিভক্ত:
a. মেইন প্লাজা ৮২৩,০০০ বর্গফুট (৭৬,০০০ বর্গমিটার)
b. সাউথ প্লাজা ২২৩,০০০ বর্গফুট (২০,৭০০ বর্গমিটার)
c. প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা ৬৫,০০০ বর্গফুট (৬,০০০ বর্গমিটার)

সংসদ ভবনে আছে-
সিড়ি : ৫০ টি
টয়লেট : ৩৪০ টি
দরজা : ১,৬৩৫ টি
জানালা : ৩৩৬ টি।

নয়টি ব্লক দিয়ে মূল ভবন তৈরী, একে ঘিরে ১টি কৃত্রিম হ্রদ ও দুটি বাগান রয়েছে। মাঝখানে ১৫৫ ফুট উচ্চতার অষ্টভূজ ব্লক, অন্য আটটি ব্লক ১১০ ফুট। করিডোর, লিফট, সিড়ি ও বৃত্তাকার পথ দিয়ে আনুভূমিক ও উলম্বিকভাবে ব্লকগুলোকে এমনভাবে আন্তঃসংযোগ করা হয়েছে যে ৯টি ব্লক মিলে একটি ভবনটির অভিন্ন স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
সংসদ অধিবেশন কক্ষটি পরাবৃত্তাকার ছাদের কক্ষটির উচ্চতা ১১৭ ফুট, ছাদটি স্বচ্ছ যাতে দিনের আলো প্রবেশ করতে পারে। এখানে ৩৫৪ জন সাংসদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। দুইটি ভিআইপি পোডিয়াম এবং দুইটি গ্যালারী রয়েছে।
সাউথ প্লাজা দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া এভিনিউর অবস্থিত। ২০ ফুট ভবন সৌন্দর্যের পাশপাশি সংসদ ভবনের মূল প্রবেশ পথ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা উত্তর দিকে অবস্থিত এর সামনেই লেক রোড। এই থাকে। মার্বেলের তৈরি মেঝে, গ্যালারী এবং খোলা পথের এই প্লাজা সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয়।





9. জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে রয়েছে চারটি প্রধান সড়ক:
উত্তর দিকে লেক রোড
পূর্ব দিকে রোকেয়া সরণী
দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া এভিনিউ
পশ্চিম দিকে মিরপুর রোড।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮
২২টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×