somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন আসা ইলেক্ট্রনিক অটো ……. এবং আমার অভিমত …..

১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রাথমিক কথা:

মাহিনরা (কাল্পনিক নাম) চার ভাইবোন। তাদের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। তারা গ্রামে বাস করে। একান্নবর্তী পরিবার। অর্থাৎ তারা সবাই একসাথে খায়। পরিবারের খরচ সবাই মিলে বহন করে। তাদের চার ভাই এর বাড়িতে ব্যবহৃত মোট বিল আসে ৬০০/= এর কম। কিন্তু গত তিনমাস ধরে তাদের বিদ্যুৎবিল ১২০০/= এর বেশী আসছে। এ নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

জাতি হিসেবে জাপানিজরা খুবই পরিশ্রমি। সময়ের সঠিক দাম দিতে তারা জানে। শুনেছিলাম জাপানিজদের দাঁতের রং হলুদ। তারা নাকি কাজের চাপে দাঁত পরিস্কার করার মত সময় পায় না। সময়ানুবর্তিতার সঠিক পুরস্কারও তারা পেয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ধনীদেশ তারা। অথচ হিরোশিমা নাগাসাকির পারমানবিক বিস্ফোরণে তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেলেও স্বপ্ন ধ্বংস হয়নি অক্ষত রয়েছে।

উপমহাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস। আমাদের এই অমূল্য সম্পদ আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। বিদেশী কোম্পানী দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করি, গ্যাস পুড়িয়ে নষ্ট করি, এবং সেই উৎপাদিত গ্যাস আমরা তাদেরই কাছ থেকে আমরা কিনি। অর্থাৎ টাকা দিয়ে তাদের পিস্তল কিনে দেই এবং সেই পিস্তল দিয়ে আমাদের গুলি করা হয়।

যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরও উন্নত হওয়ার কথা আমরা সেই উন্নতি করতে পারিনি। আমরা চ্যাম্পিয়ন হই দুর্নীতিতে! বাংলাদেশের পরে মালয়েশিয়া স্বাধীন হলেও শ্রম ও অধ্যাবসায়ের জোরে তারা আজ কত উন্নত! আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি!

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক দল দোষ দেয় আরেক দলের। আরেক দল দোষ দেয় আরেক দলের। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি শুরু হয়। যার ফলাফল গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ আর রক্তারক্তি! শিক্ষার্থীরা বই খাতা ফেলে রামদা, চাকু, বাশ নিয়ে ভার্সিটিতে ঘোরাফেরা করে। আর এসবের ফলে ভোগান্তি হয় শুধুই সাধারণ মানুষের। রুই-কাতলারা গভীর জলেই থাকে। চুনোপুটিদের অক্সিজেন নিয়ে সমস্যা হয় শুধু।

এতক্ষন ধরে বকবক করতে করতে আসল কথাই বলা হয়নি। এবার আসল কথায় আসি। গত কয়েকমাস ধরে আমার এলাকাতে দেখছি বিদ্যুৎচালিত ট্রাই সাইকেল (অটো)। এর সংখ্যা চক্রবৃদ্ধিহারে দ্রুত বাড়ছে। সবাই একে ডিজিটালাইজেশন বললেও আমি এর ভয়াবহ ফলাফল দেখতে পারছি।



যেখানে আমাদের বিদ্যুৎ সংকট, বিদ্যুতের অভাবে কল-কারখানা বন্ধ থাকছে, উৎপাদন কম হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা হচ্ছে না সেখানে মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ এর মত এই অটো হাজির। যেখানে রিকসা ওয়ালারা পরিশ্রম করে উপার্যন করছে সেখানে আজ ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। অন্যান্য দেশে যেখানে বিদ্যুৎ বাচাতে সর্বপেক্ষা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেখানে আমাদের এই অবস্থা! উন্নত দেশগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রন করা হলেও আমাদের দেশে এসব ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।

ভাবছেন মনগড়া কথা বলছি তাই না? তাহলে আসুন দেখি কিভাবে এগুলো ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।

* NGO গুলো এগুলো কেনার জন্য ঋণ প্রদান করছে।
* এগুলোর কোন লাইসেন্স নেই। এমনকি চালকের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন নেই।
* এগুলো বানিজ্যিক হওয়ার পরও আবাসিক এলাকার বিদ্যুৎ দিয়ে এগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। যা দেখার কেউ নেই।

আমার অভিমত:

* সরকার থেকে এই অটো ক্রয়ের ক্ষেত্রে কড়া আইনসহ লাইসেন্স এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের স্বচ্ছতা জারী করতে হবে।
* এগুলোর দাম চড়া রাখতে হবে এবং সরকারী কোষাগার যাতে লাইসেন্স ও অন্যান্য ভ্যাট ও ট্যাক্স পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
* সাইকেল ব্যবহারে প্রচারণা ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
* সাইকেলের দাম সহনশীল পর্যায়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে সরকার থেকে ভর্তুকী দিয়ে দাম কমাতে হবে।

সর্বোপরি ভাবতে হবে কিভাবে দেশের সম্পদ নষ্ট না করে নিজের পরিশ্রম দিয়ে দেশের উন্নতি করা যায়।


উল্লেখ্য: লেখাটি আমার অনুর্বর মস্তিস্ক থেকে প্রসূত! আপনার মতের সাথে না ও মিলতে পারে।
আমার পার্সোনাল ব্লগে পূর্ব প্রকাশিত
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×