somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বাস (ছোট গল্প)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
সোবহান ভাইর কাছে বারবার যাওয়া ঠিক হচ্ছে কিনা ভাবছে আসলাম। মনে বড় ভয়। অপমানিত হবার ভয়ই যে সবচেয়ে বড় ভয় । তবুও না গিয়ে আর উপায় নেই। তাছাড়া সোবহান সে রকম মানুষ না সেটা খুব ভালো করে জানে আসলাম। তবুও সঙ্কোচ ব,লে একটা কথা আছে তো। সকালে সাবিহা বলে দিয়েছে "ঘরে বাজার ফুরিয়েছে"। বেচারির মুখ দেখে বড় মায়া লাগে আসলামের । ভাবে " বিয়ে করলাম মাত্র তিন বছর , অথচ এখনই সংসারের টানাটানি দেখছে"। চাকরিটা চলে যাবার পর থেকেই চেষ্টা চলছে নতুন আরেকটা নেবার। টাকা পয়াসাও কিছু জমায়নি, এর মধ্যেই গত দুইমাসে পঁচিশ হাজার টাকা দেনা হয়ে গিয়েছে।। তবুও সোবহান ভাই চালিয়ে রেখেছেন। তারপরেও আবারও টাকা চাইতেই মগবাজারের দিকে ছুটছে আসলাম। সকালেই ফোনে বলে রেখেছে । পকেটে যা আছে তাতে যাত্রাবাড়ী থেকে মগবাজার পর্যন্ত গেলে ফেরত আসতে হবে হেঁটে। তবুও আগে হেঁটে গিয়ে নেই, দরকার হলে আসার সময় বাসে ওঠা যাবে,ভেবেই হেঁটে চলছে মগবাজারের দিকে।
আব্দুস সোবহানের সাথে আসলামের পরিচয় , বছর পাঁচেক আগে । আসলাম তখন ট্রেইনি হিসেবে সবেমাত্র "কনফিডেন্স ফাইন্যান্স কোম্পানি লিঃ " তে ঢুকেছে। আব্দুস সোবহান তখন এক্সিকিউটিভ, মাত্র দুই বছরের সিনিয়র। নতুন জয়েন করা সবার মধ্যে আসলাম কে সোবহান একটু বেশিই ভালো চোখে দেখত। ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পর্কটা সিনিয়র জুনিয়র থেকে ভাই তে এসে দাড়ায়। তখন থেকেই একজন আরেকজনের হাড়ির খবর জেনেছে। মাঝে মাঝেই একজন আরেকজনের বাসায় যেতাম , টা কোন কারনেই হোক। তবে সোবহান ভাইর কথা শুনলে আসলামের মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, সোবহান ভাই কি আসলেই এতো ভালো মানুষ? তাহলে দুই বছরের সংসার ভেঙ্গে গেল কেন ? শুনেছি সীমা ভাবীর তখন কার সাথে যেন জড়িয়ে গিয়েছিল। কই তাকে যতটুকু দেখেছি তাতে সেরকম মনে হয়নি। আবার হতেই পারে। ভালো মানুষের বউ যে, ভালো হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। চেহারায় তো আর ভালো খারাপ লেখা থাকেনা। ধ্যাত, শুধু শুধু অমূলক সন্দেহ, তবুও হয়।
হাঁটতে হাঁটতে মগবাজার এসে যখন আসলাম পৌঁছল, তখন বেলা বারোটা । তার মানে দেড় ঘণ্টা হেঁটেছে। রাস্তার পাশে চায়ের দোকান থেকে দুই গ্লাস পানি ঢক ঢক করে গলা ভিজিয়ে নিল। পকেট থেকে ফোন বের করে সোবহান ভাইর নাম্বারে কল করতে গিয়ে বন্ধ পেল। হয়তো বন্ধ হয়ে গেছে, এই ভেবে রেখে দিল ফোন। সকালে বাসায় বাজার নেই , কথাটা মনে পড়তেই ক্ষুধা যেন আরও বেড়ে গেল। তবুও দুই গ্লাস পানি যতক্ষণ ধরে রাখা যায়।
এভাবে বারবার ডায়াল করতে করতে যখন ফোন খোলা পেল , তখন বেলা তিনটা। ক্ষুধায় , ক্লান্তিতে তখন মেজাজ চরমে, তবুও আসলামের গলা শান্ত। ফোনের ওইপাশ থেকে সোবহান বলল "রাগ করিস না, মোবাইল যে কখন অফ হয়ে গেছে, টের পাইনি । আর কাজের চাপে তোর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম , সরি। আমি আসছি " বলেই লাইন কেটে দিল সোবহান। কিছুক্ষণ অফিসের পেছনের গলি ধরে এগিয়ে আসতে দেখা গেল সোবহান কে। সামনের গেট দিয়ে বের না হয়ে, পেছনের গেট দিয়ে আসলো কেন সোবহান ভাই ? একটু আশ্চর্য লাগলো ! আবার মনে হল, কি জানি হয়তো আমি পেছনের গেটে দাঁড়িয়েছি তাই ভেবেছে কিনা । তারপর একসাথে দুপুরের লাঞ্চ সেরে আসার সময়, সোবহান ভাই হাতে হাজার দশেক টাকা আসলামের হাতে দিয়ে বলল "সঙ্কোচ করিস না। যা দরকার হয়, বলিস"। মাথা নিচু করে রইল আসলাম, কি বলবে, ভাষা খুঁজে পাচ্ছেনা।
২.
বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা পার হয়ে গেল। মনে মনে সাবিহার জন্য খুবই খারাপ লাগছে। তবুও বাজার নিয়ে ফিরেছে তাতে মন একটু ভালো। সাবিহা মুখ ফুটে তেমন কিছু বলেনা। একটু চুপচাপ ধরণের। বড় রহস্যময় লাগে মাঝে মাঝে ওকে। তবুও সাবিহাকে পেয়ে খুশি আসলাম। অন্য মেয়ে হলে এই ক'মাসে কতকথা শুনতে হত কে জানে ! তবে একটা বিষয়ে আসলাম খেয়াল করেছে, সাবিহা একটু অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। টা হোক দিনে, হোক রাতে। না পারতে কোন কথা, কাজে সাড়া দিতে চায়না। কে জানে, কি হল ওর ? নাকি শরীর খারাপ ? কিন্তু চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে না । আবার হতেও পারে। মেয়েদের সবকথা কি আর বোঝা যায়, দরকারও নেই।
রাতে খেতে বসে সাবিহা বলল "এই শোণ,আমি কাল একটু আমাদের বাসায় যাব"।
"কেন?" জানতে চাইল আসলাম।
"না এমনি। ভালো লাগছে না, দুই দিন থাকব"
"যাও"। কথা শেষ দুজনেরই। রাতে ঘুমাতে যাওয়া ছাড়া আর বিশেষ কোন কথা হল না।
পরের দিন বিকেলে যখন সাবিহা ওর বাবার বাসায় চলে গেল, তখন খুব একা মনে হচ্ছিল নিজেকে। মুখ ফুটে একবার বললও না সাবিহা "আমাকে দিয়ে এসো"। হয়তো ও নিজ থেকেই চাইছিল, আমিই যেন ওকে দিয়ে আসি। কিন্তু কি এক অব্যক্ত অভিমানে চুপচাপ সাবিহা ওর বাবার বাসায় চলে গেল, আর আমিও নীরবে শুধু দেখলাম। বুকটা কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে আসলামের। তাই সন্ধ্যা হবার সাথে সাথেই বাসার বাইরে গিয়ে, একটু হাঁটাহাঁটি করে যখন বাসায় ফিরল তখন রাত ৯ টা। খাওয়া দাওয়া সেরে যখন বিছানায় শুতে গেল, তখন মশারী টানাতে গিয়ে কি মনে করে তোষকের নিচে হাত দিতেই যা পেল তাতে একটু অবাকই লাগছে। "এই ব্র্যান্ড তো আমি ব্যবহার করি না" ভাবতে ভাবতেই আবার মনে হল, ধুর সব সময় কি আর ভালো করে ব্র্যান্ড দেখে এনেছি ? পাশে কাত হয়ে শুতে গিয়ে সাবিহার বালিশটা চোখে। বালিশটা ধরে নাকের কাছে এনে শুঁকে দেখল, সাবিহার চুলের ঘ্রাণ । ওর চুলের ঘ্রাণ এতো মিষ্টি যে ভাবতেই মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। সাবিহার বালিশটা বুকে নিয়ে রেখে মনে হল, এইতো সাবিহার মাথা আছে আমার বুকে।
৩.
তিনদিন পরে যখন বিকেলে সাবিহা বাসায় ফিরে আসলো তখন আসলাম খেয়াল করল সাবিহার চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ। একটু অবাক হল ও! যদিও প্রতিদিনই অন্তত একবার সাবিহাকে ফোন করেছে, কিন্তু তাতে মনে হয়নি সাবিহার শরীর খারাপ। আর শরীর খারাপ হলে তো সাবিহার মা ফোন করে বলতো, কিন্তু তাতো বলেনি । বাসায় ফিরে ব্যাগটা রেখেই বিছানায় শুয়ে পড়লো সাবিহা। অথচ ওর এই মুখ দেখে জিজ্ঞেস করতেও সঙ্কোচ হচ্ছিল "তুমি ভালো আছো তো ?"। সন্ধ্যায় শোয়া থেকে উঠে রাতের রান্না করতে চলে গেল কিচেনে। এই ফাকে আসলাম বাইরে চা খেতে চলে গেল। খুব হতাশা আর অজানা এক ভয় তাড়া করল আসলামকে । কি হল সাবিহার ? আমাকে নিয়ে কি ও খুব হতাশ? বাসায় ফিরে রাতের খাবার খাওয়ার সময় দুজনের মাঝে যে টুকটাক কথা হল, তা "বাসার সবাই কেমন আছে?" এতটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল। এই ভেবে খাওয়া শেষ করে যখন শুতে গেল, তখনও সাবিহার চোখে মুখে এক ধরণের অনীহার ছাপ দেখল, তাতে কোন কথা না বাড়িয়ে চুপ করে শুয়ে রইল আসলাম। ঘুম আসছে না ওর চোখে । মাথা ঘুরিয়ে সাবিহার দিকে তাকাল সাবিহার দিকে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সাবিহা ।
দিন কয়েক পর আবারও টাকার প্রয়োজন পড়লো আসলামের। দশহাজার টাকা শেষ হতে আর কয়দিন লাগে। তাই কোন উপায় না দেখেই , সোবহান ভাইকেই আবারও ফোন দিল আসলাম। সে যেতে বলেছে, তাছাড়া আরেক কাজিন আরিফ ভাইয়ের সাথে একটা চাকরির ব্যাপারে কথা বলতে হবে, তাই সাবিহা কে বাসায় আসতে একটু লেট হবে বলে বাসা থেকে বের হল আসলাম। সকাল দশটা মাত্র। সোবহান ভাই এখন কাজে সম্পূর্ণ বিজি, তাই আগে আরিফ ভাইয়ের সাথে দেখা করতে হবে। তার অফিস গাবতলি। বিকেলে সোবহান ভাইর সাথে দেখে করলেই হবে। এই ভেবে আরিফ ভাইয়ের অফিসের দিকে গেল আসলাম। রাস্তার জ্যাম ঠেলে আর আরিফ ভাইয়ের সাথে দেখা করে মগবাজার আসতে আসতেই তখন দুপুর দেড় টা। ক্লান্তিতে বাস থেকে নামার আর কোন ইচ্ছাই হল না। সোবহান ভাইকে ফোন করে "কাল আসবে" জানিয়ে দিতে গিয়ে দেখল মোবাইল সুইচ অফ। ধুর ! কি যে করে উনি কে জানে ? এই ভেবেই বাসে বসে রইল আসলাম। এখন বাসায় চলে যাওয়াই ভালো।বাসে যেতে যেতে আরও কয়েকবার সোবহান ভাইকে ফোন দিয়ে যখন পেল, তখন বাস যাত্রাবাড়ী এসে পড়েছে । ও পাশ থেকে হ্যালো বলতেই, আসলাম বলল "আজ তো আসতে পারলাম না, ভাই। আমি কাল আপনার অফিসে আসবো। আমি এখন বাসার কাছাকাছি চলে এসেছি " "আচ্ছা" বলেই লাইন কেটে দিল সোবহান। যাত্রাবাড়ী নেমে হেঁটে আসলাম যখন বাসার গেটে এসে যখন পৌঁছুল তখন মাত্র বাজে আড়াইটা। কলিং বেল চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইল আসলাম । কোন সাড়া শব্দ নেই। সাবিহা ঘুমিয়ে পড়েছে হয়তো । আবারও কলিং বেল চাপ দিতে দিতেই সাবিহা হন্তদন্ত হয়ে গেট খুলে দিল।"কি হল? ভয় পেয়েছ নাকি? " জিজ্ঞেস করতেই সাবিহা বলল "না, এমনি।" আসলাম রুমে ঢুকে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বাথরুমে গেল গোসল করতে। গোসল শেষে বের হতেই, সাবিহা ঢুকল ।চুল আঁচড়ে,একটু বিছানায় গা এলিয়ে দিতে গিয়েই চোখ পড়লো সাবিহার বালিশের দিকে। এলোমেলো হয়ে রয়েছে। ঠিক করে দিতে গিয়েই, চোখে পড়লো বালিশের নিচে কালো একটা মানিব্যাগ । "এটা কার?" দেখতে দেখতে মানিব্যাগ খুলে যে ভিজিটিং কার্ড চোখে পড়লো, তার ওপর লেখা "আব্দুস সোবহান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, কনফিডেন্স ফাইন্যান্স কোম্পানি লিঃ ।"
ঠিক কি করবে ভেবে উঠতে পারছে আসলাম। আস্তে আস্তে সবকিছু পরিস্কার হয়ে উঠলো চোখের সামনে। ঘোরলাগা চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল কার্ডটির দিকে । কতক্ষণ এভাবে ছিল জানেনা, তবে যখন ওর ঘোর কাটল তখন ওর পায়ের ওপর মাথা রেখে অঝোরে কেঁদেই চলেছে সাবিহা । শুধু মুখে একবার বলেছে "আমাকে মাফ কর"।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×