১. একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম। এমন নয় যে সারাদিন অনেক খাটাখাটনি করেছি; বরং কাজ না করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি- তাই একটু জিরিয়ে নেয়া।
২. বাংলাদেশের বনে-জংগলে গাধা পাওয়া যায়না। এদেশে গাধারা থাকে লোকালয়ে- আমাদের আশেপাশেই।
৩. পাবলিক ভাবছে যে মাস্ক পরা হচ্ছে শুধু একটা গর্ভমেন্ট অর্ডারমাত্র অথবা একটা আইন ; আসলে কি তাই? যেহেতু পাবলিকের কাজই হচ্ছে সোজা রাস্তায় না গিয়ে ঘোটপাকানো আর আইন অমান্য করে ধরা না পরার স্বর্গীয় স্বাদ নেয়া, তাই মাস্ক পরার প্রতি কোনা গা করছেনা তারা। যাবা যাবা খুব তাড়াতাড়িই স্বর্গে যাবা।
৪. আবার লকডাউনকে পাবলিক ভাবছে যে গর্ভমেন্ট তাদের জোর করে আটকিয়ে রেখেছে এবং লকডাউন শিথিল করাকে ভাবছে যে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে- আরে লকডাউন না হয় শিথিল হয়েছে, করোনা কি শিথিল হয়েছে? মরবি মরবি, তাড়াতাড়ি সাবধান হ!
৫. আর অন্য দিকে আমাদের কিছু সবজান্তা ময়লানা তো আছেই! কেউ স্বপ্নে দেখে, কেউ আবার হাদীসে খুজে পায় যে করোনা আমাদের ধরেবেনা-লেংটা করে পিটানো উচিত শালাদের।
৬. গতো ঈদে মামুন টাউট জেলে কি খেয়েছিলো তা আমাদের পরতিকা আলারা খুব যত্ন করে ছাপিয়েছিলো- এবারো চাই। আর ওই পিচ্চি-বনসাই-বামুনটার জেল দিনলিপি দৈনিক ভিত্তিতে প্রকাশ করা হোক।
৭. সর্বাধিক দৈনিক প্রচারিত বলে দাবি করা পত্রিকাটার অনলাইন ভার্সন পড়া বাদ দিয়েছি। কোনো নিউজ ওপেন করলেই ধুম করে একটা অ্যাড চলে আসে। চোখ যেদিকে যায় ওই শালার পুতের আ্যডও সেই দিকে যায়- হেই, আর ইউ ওয়াচিং মি?
৮. ইদানিং পত্রিকাআলারা নিউজ পেজেন্টের একটা নতুন ঢং ধরছে। হেডলাইন পড়ে বোঝার উপায় নাই যে সংবাদ টা কোথাকার, চটকদার হেডলাইন পড়ে, ভেতরে গিয়ে দেখবেন, খবরটা ভারতের উত্তর-খন্ড বা দক্ষিণ খন্ডের- বোগাস, রাবিশ, অল আর রাবিশ।
৯. সবশেষে, ওইদিন বারান্দায় বসে আছি, তাবলীগের এক হুজুর দেখি জোহর পড়তে মসজিদে যায়, বলা-বাহুল্য মুখে মাস্ক নাই তার। আমাকে বললো মসজিদে যাবেন না? আমি বললাম; না। সে বলে, আহেন আহেন, ভাগ্যে থাকলে এমনেই হইবো। আমিও বললাম, ভাগ্যে থাকলে এমনেই হইবো তাইলে চাকরি-বাকরি করেন কেনো? বাসায় বইসা থাকেতে পারেন না- ভাগ্যের খাওন এমনেই ঘরে আইবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৩