somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লক্ষ্যি মা, রাগ করো না

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
নির্বাচন নিয়ে দুই দল ধারাবাহিক রশি টানাটানি করে। আর আমরা সাধারন জনগন থাকি রশির মাঝে। শক্ত করে বাধা, যেন ছিটকে না যাই। এই টানাটানি কিন্তু আবার সুষম হয় না। যেকোন ভাবেই হোক না কেন তারা দুদলই জিততে চায়। তাই ছলনার আশ্রয় নিতে তারা কখনই দ্বিধাবোধ করে না। আমাদের সাধারন জনগনের মায়া তারা কখনই করে না।

সাধারন জনগন কি চায় তা তারা ভাবার সময়ই পান না। তাদের উপর থাকে দেশের বড় বড় স্বার্থ উদ্ধারের চিন্তা।

দুটি দল চায় তারাই জিতুক। প্রতিযোগিতায় হার জিত এরা মানে না। ঘোড়া দৌড়ে সবাই প্রথম হতে চাই। আর যে দ্বিতীয় হয় সে ফলাফল মেনে নেবে না। এটাই নিয়ম।

এখন যদি একটি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয় এবং দেখা যায় “ক” দল জয় লাভ করেছে তবে “খ” দল বলবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নি। নির্বাচনে কারচুপির আশ্রয় নিয়ে বিরধী দল জয়লাভ করেছে। আর “খ” দল বলবে নির্বাচন সফল হয়েছে। সবার অংশগ্রহনই নির্বাচনকে সার্থক করেছে এবং জনগন সঠিক দলকে ভোটদিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।

কিছু সময় পরে যদি প্রকাশ করা হয় নির্বাচনের ফল প্রকাশে ভুল হয়েছিল । আসলে “খ” দল বিজোয়ী হয়েছে । তখন “ক” দল বলবে “খ” দল আগে যা বলেছিল আর “খ” দল বলবে “ক” দল আগে যা বলেছিল। কেউই পরাজয় মেনে নিতে চান না বা পারেন না।

নির্বাচনের শেষে নিয়মমাফিক পরাজিত দল নির্বাচিত দলকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি দেবে। চলবে হরতাল । আর সরকারি দল হরতাল ঠেকাতে পুলিশকে কাজে লাগাবে। শুরু হবে লাঠিচার্য। এতেও পরাজিত দল শান্ত হবে না। তাদের আন্দোলনের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। অবশেষে চলবে গুলি। রাস্তায় পড়ে থাকবে কোন এক মায়ের আদোরের খোকা।

এতেও কোন দল শান্ত হবে না। সেই লাশ নিয়ে শুরু করবে শকুনি যুদ্ধ। সন্তান হারা মায়ের কান্নাধ্বনি তাদের কাছেও পৌছাবে না ভাষনের তীব্র গর্জনে।

অবশেষে যে প্রান দুই দলের ধারাবাহিক নাটকে হারালো তার কথা সবাইভুলে যাবে। কিন্তু মা, মা যে ভুলতে পারে না। তার খোকা হারানোর বেদনা কি দিয়ে শোধ করবে জাতি।

আমি স্বার্থপর । দেশের স্বার্থ আমি বুঝি না। নিজের স্বার্থই আমার কাছে বড়। কারা দেশের উন্নতি করে আমি তা বুঝি না।

এক সময় ছিল যখন আমরা রাত্রে ঘুমোতে যাবার আগে বলতে পারতাম না কাল আবার সূর্যের মূখ দেখবো কিনা। কাল আবার কোন হরতাল নয়তো। দাঙ্গা, রাহাজানি মানুষ হত্যা হবে কি ? সবার মুখে শুধূ প্রশ্ন ছিল। উত্তর জানা ছিল না কারো। যে উত্তর আমাদেকে আস্বস্ত করতে পারত।

বেশ ভুলে গেছিলাম। হরতাল ছিল না। ছিল না মারামারি। টিভি খুললে মায়ের বুক ফাটানো আহাজারি শুনতে হতো না। নির্ভয়ে বাইরে বেরুতে পারতাম। বাইরে যাবার আগে মাকে বুক ফুলিয়ে বলতে পারতাম মা চিন্তা করো না তোমার ছেলে আবার তোমার কোলে ফিরে আসবে।

আবার নির্বাচন হবে। আবার ওদের গনতন্ত্র প্রতিষ্টিত হবে। আবার তারা ক্ষমতায় আসবে। আবার তার দেশের ভালো করার জন্য উঠেপরে লাগবে। আর আমরা হয়ে পড়বো গৌন। মাকে আর বলতে পারব না তোমার ছেলে আবার তোমার কোলে ফিরে আসবে।

মা তুমি আর কেদো না মা। আমাকে নিয়ে তোমার বুকে কত স্বপ্ন আমি জানি মা। তুমি বলতে আমার খোকা একদিন বড় হবে। বড়গীদের মেরে মেরে দেশ ছাড়া করবে। কিন্তু কি করব বলত মা। ওরা যে আমাদের মুক্তি দেবে না। আমি যে অসহায়। ওরা চায় না আমরা ওঠে দাড়াই। তাহলে যে ওরা ধ্বংস হয়ে যাবে মা।

তবে জান মা তোমার ছেলে কাউকে ভয় পায় না। মনে আছে মা ছোট বেলায় তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমোতাম। আর তুমি আমাকে রাজপুত্রের গল্প শোনাতে। আমি তখন কল্পনায় ভাবতাম রাক্ষসদের মেরে রাজকন্যাকে উদ্ধার করে পঙ্খিরাজ ঘোরার পিঠে চড়ে তোমার কাছে উড়ে আসছি।

লক্ষ্যি মা। রাগ করো না। আমি কথা দিচ্ছি । আমরা একদিন জিতবই মা। দেখে নিও। আজ তোমার ছেলে একা নয় মা। হাজার হাজার খোকা জেগে উঠছে। ওই শোন মা। ওইযে ওদের কলধ্বনি শোনা যায়।

[--ব্লগ বাংলা]
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×