অনেকদিন ধরে সর্বপ্রকার ব্লগিং ভূতকে মাথা থেকে ঝেড়ে নামিয়ে ফেলেছি। যেমন কিছুদিন আগে মাথার চুলগুলোও নামিয়ে ফেললাম একেবারে হঠাৎ করেই। মা’র কথায় এই ইন্টারনেট নাকি আমাকে প্রতিনিয়ত খাচ্ছে। আগেও বুঝিনি এখনও বুঝতে পারি না আসলে কিভাবে ইন্টারনেট কাওকে খেতে পারে।
হয়ত, এখনও কারো ছেলে হয়ে আছি, কারো বাবা হতে পারিনি তাই বোঝার ক্ষমতাও সৃষ্টি হয়নি। বাবা হলে আমিও আমার মা’র মত আমার সন্তানকে ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখতে কামান দাগাতে বাদ রাখব না, এটাই বা নিশ্চিত হই কিভাবে?
আমার “ব্লগবাংলা” ওয়েবসাইটটা একসময় জীবনের একটা অংশ হয়ে দাড়িয়েছিল। প্রতিদিন লিখতে না পারি তবে একবার ঢুঁ’মেরে অবশ্যই দেখতাম কতজন আমার ব্লগে এসেছে আজ। আর কোন মন্তব্য থাকলে তার উত্তর দিয়ে আবার লগআউট। এইটুকু সময় আমার সারাদিনের মনের খোরাক জোগাতো, সন্ধেহ নেই। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকতে শুরু করল। তখন বুঝতে পারলাম, মানুষ কেন টাকা ছাড়া কোন কাজ করতে চাই না। কেন মানুষ টাকার জন্য এত কিছু করে। দিন নেই রাতনেই পরিশ্রম আর পরিশ্রম।
বাড়ি থেকে মা-বাবা অপেক্ষা করে আছে, কবে ছেলে পাশ করে ইন্জিনিয়ার হবে। চাকুরী করবে মোটা বেতনের। তারা একটু শান্তি পাবে। অনেকদিনের দৌড়াদৌড়িতে তাদের এইটুকু বিশ্রাম দিতে পারব কিনা জানিনা। মাথার উপর যে দায়িত্বের বোঝা ঝুলছে তা আমার ভবঘুরে জীবনের ইতি খুব সহজেই টেনে দেবে যখন-তখন। তবু আমার প্রিয় এই অধ্যায়কে ভুলতে চাইনা কখনও। তাইতো আকড়ে ধরে আছি শত কষ্টের মধ্যে। থাকব যতক্ষন পারি।