somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীলনকশার সামরিক-রাজৈনতিক-অর্থৈনতিক তৎপরতা প্রতিহত করুন!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নির্বাচনের পর মার্কিন-ভারতের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাজ বিরাট লাফ দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। মার্কিন (সাম্রাজ্যবাদ) ও ভারত (স¤প্রসারণবাদ) অর্থনৈতিক নীলনকশার অংশ হিসাবে টিফা, ট্রানজিট, ‘বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সুরা চুক্তি’ এবং সামরিক নীলনকশার অংশ হিসাবে বন্দী বিনিময়, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী টাস্কফোর্স/গ্র“প ইত্যাদি বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে। এসব এজেন্ডা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দণি এশীয় সহকারী মন্ত্রী বাউচার এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী ফেব্র“য়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ আসছে।
এরকম আরো অনেক কিছুই আমাদের জন্য অপো করছে। রাজনৈতিক নীলনকশার অংশ হিসাবে ১/১১ অভ্যুত্থান, জরুরী অবস্থা এবং নির্বাচনে সফল হওয়ার পর সর্বগ্রাসী থাবা বিস্তারের এই কাজ গতি লাভ করারই কথা এবং তা-ই হচ্ছে।
নীলনকশার অর্থনৈতিক সংস্কার ও তৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক হোন; রুখে দাঁড়ান!
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, কাঁটাতার, ফারাক্কা ও পানির হিস্যা, বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি সত্ত্বেও শুল্ক সুবিধা না দেয়ার পরও ভারত না-কি “ন্যাশনাল ট্রিটমেন্ট” চায়। “বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সুরা চুক্তি”র মাধ্যমে তারা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য এ ‘ন্যাশনাল ট্রিটমেন্ট’ চায়। অর্থাৎ, বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা নাগরিক হিসাবে এদেশে যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, এই চুক্তির আওতায় ভারতীয় বিনিয়োগকারীরাও সেই একই সুবিধা ভোগ করবে। এই চুক্তি সম্পাদিত হলে ভারতীয় কোন বিনিয়োগকে কোন অবস্থাতেই জাতীয়করণ করা যাবে না। উল্লেখ্য, একই ধরণের চুক্তির সুযোগ নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা নেপালের সমগ্র অর্থনীতির হর্তাকর্তায় পরিণত হয়েছিল। এই চুক্তির ফলে এদেশের অর্থনীতি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের হাতের মুঠোয় প্রবেশ করবে। এ চুক্তির মাধ্যমে টাটার মত সর্বগ্রাসী শিল্পগ্র“পের বাংলাদেশে প্রবেশের পথে আর কোন বাধা থাকবে না। এর ফলে এ চুক্তির টাটা বা অন্য যে কোন ভারতীয় কোম্পানী বাংলাদেশের কৃষি জমি হতে কৃষকদের উচ্ছেদ করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে যা দিয়ে অর্জিত মুনাফা ভারতে পাচার হবে। এখানে উল্লেখ্য, টাটা তার নিজ দেশের কৃষকদের প্রতিবাদের মুখে গাড়ির কারখানা গুটাতে বাধ্য হয়ে নতুন বিনিয়োগের জায়গা খুঁজছে। এ েেত্র বাংলাদেশ তার প্রধান টার্গেট। ইতিপূর্বে টাটা, সস্তা কয়লা, গ্যাস ও শ্রম ব্যবহারের একচেটিয়া সুযোগ নিতে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু, প্রতিবাদের মুখে বিএনপি সরকার তখন পিছু হটতে বাধ্য হয়।
উল্লেখিত নতুন চুক্তির সাথে টাটার মত বিনিয়োগের প্রত্য সম্পর্ক আছে। একইভাবে টাটা-র বিনিয়োগের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খননের সরকারি ঘোষণার। এর আগে কুখ্যাত এশিয়া এনার্জি ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত কয়লা খনি করতে চাওয়ায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে জনতা তা রুখে দাঁড়ায়। টাটা-র আগ্রহ ছিল ফুলবাড়ির কয়লায়। ভারতীয় এবং সাম্রাজ্যবাদী জ্বালানী কোম্পানিগুলোর স্বার্থে বিনেয়োগ চুক্তি, কয়লা নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি সরকার পরিবেশ ধ্বংসকারী উন্মুক্ত খনন এবং সমূদ্রবরে তেল-গ্যাস ব্লক বিদেশীদের ইজারা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ভারত বাণিজ্যিক-সামরিক প্রয়োজনে ট্রানজিট ও বাংলাদেশের বন্দরগুলোর উপর আধিপত্য চায়। ট্রানজিট নিয়ে রাজনৈতিক চাপ থাকায় সরকার পুরনো বাণিজ্য চুক্তি নবায়নের আওতায় ট্রান্সশিপমেন্টের নামে ভারতকে বন্দর, সড়ক, রেলপথ ব্যবহারের ব্যবস্থা প্রায় পাকাপাকি করে ফেলেছে। ট্রানজিট দেয়ার েেত্র এটা এক বড় রকমের অগ্রগতি। সুতরাং, অচিরেই ফুলবাড়ি, বিদ্যৎ, বন্দর, পরিবহন, আইটিসহ জাতীয় সম্পদ ও অর্থনৈতিক েেত্র এই করালগ্রাস বিস্তৃত হতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু তাকবে না।
শুধু ভারত নয়, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সুদূরপ্রসারি অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের লে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামো বা টিফা (টিআইএফএ) চুক্তি করার জন্য সরকারকে বারবার তাগাদা দিচ্ছে। গোপনে এ চুক্তির কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। এ চুক্তি হলে মার্কিনের স্বার্থের অনুকূলে বাঁধাধরা ছকেই বাংলাদেশকে সব ধরণের বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। এর আওতায় প্রাপ্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা বাংলাদেশে জ্বালানী, বিদ্যুৎ, টেলিকমউনিকেশন, পরিবহন, বন্দর ইত্যাদি েেত্র বিনিয়োগের একচ্ছত্র অধিকার লাভ করবে। বাংলাদেশ বহুপাকি বাণিজ্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। মেধাস্বত্ত্ব আইনের আওতায় সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্যের জন্য বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধে বাধ্য হবে।
এদিকে ভারতীয় পণ্যের ডাম্পিং-এর কারণে দেশীয় টেক্সটাইল ও চিনি শিল্প ধ্বংস হতে বসেছে। সমূদ্রে তালপট্টি দখল করে নেয়ার পর এবার তারা বাংলাদেশের সমূদ্রাঞ্চল দখল করা দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অপরদিকে, মহাজোট সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের “অত্যাশ্চর্য স্বপ্ন” দেখাচ্ছে, যার মূলকথা হলো মোবাইল ফোন, গার্মেন্টস শিল্প মার্কা সাম্রাজ্যবাদ-স¤প্রসারণবাদ নির্ভর, শ্রমদাসত্ব ও সম্পদ পাচারকারী আইটি ব্যবসার স¤প্রসারণ।
নীলনকশার সামরিক তৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক হোন; রুখে দাঁড়ান!
মার্কিন-ভারতের এদেশীয় দালাল বড় ধনীক-বনিকরা বহুদিন ধরেই ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা প্রচার করছে ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ বিরাট আর্থিক সুবিধা পাবে। ট্রানজিটকে আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। অথচ দুর্বল দেশ নেপালকে দেয়া কয়েক কিলোমিটারের ট্রানজিট চুক্তি করে ভারত মাত্র ১৫ দিনের মাথায় নিরাপত্তার ইস্যুতে বন্ধ করে দেয়। সকলেই জানেন, ভারতের জন্য অর্থনৈতিক বিবেচনায় ট্রানজিট যতটা না দরকার তার চেয়ে বেশি দরকার তার সামরিক-রাজনৈতিক নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য। মূলতঃ তার উত্তর পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতাকামী নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠীকে দমন করবার জন্য ভারতের এই ট্রানজিট প্রয়োজন।
কিছুদিন আগে ভূটান সরকারের সাহায্য নিয়ে ভারতীয় বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও তারা একই কাজে ব্যবহার করছে। এর অংশ হিসাব আগামী ২২ ফেব্র“য়ারি আসামে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। ভারতের দালাল ফখরুদ্দিন সরকার তার শেষমুহূর্তে এই মহড়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। এটা অনিবার্যভাবে বাংলাদেশকে ভারতীয় জাতিগত স্বাধীনতাকামীদের আক্রমণের ল্েয পরিণত করবে। শুধু তা-ই নয়, ভারত বাংলাদেশের ভূমিতে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের অস্তিত্বের যে দাবী করছে, এই মহড়া হলো তার পরিষ্কার স্বীকৃতি। এর ফলে “তালেবান সন্ত্রাসী”দের ধ্বংস করার নামে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে মার্কিন আক্রমণের মত একই যুক্তিতে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে ভারতীয় আক্রমণের পথ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হবে। এভাবে তা বাংলাদেশকে তথাকথিত “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী” যুদ্ধ েেত্র পরিণত করবে। এছাড়া ভারত বন্দী বিনিময় চুক্তি করতে চায় যার অন্যতম টার্গেট এদেশে বন্দী আসামের উলফা প্রধান অনুপ চেটিয়া।
অপরদিকে, বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটকালে ইউরোপ-আমেরিকা নয়, ল্যাটিন আমেরিকা ও দণি এশিয়াকে সাম্রাজ্যবাদীরা রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বিপদজনক মনে করছে। কারণ এখানে রয়েছে শক্তিশালী মাওবাদী গণযুদ্ধ, নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র সংগ্রাম, আফগানিস্তানের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুদ্ধ; যাদের সংকট পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বিপ্লব সৃষ্টির সামর্থ্য রয়েছে। সুতরাং, সাম্রাজ্যবাদ, ভারতীয় স¤প্রসারণবাদ এবং এতদ্ অঞ্চলের প্রতিক্রিয়াশীলরা বিপ্লব ও বিদ্রোহ দমনের জন্য আরো বেশী তৎপর হয়ে উঠেছে। এ জন্য তারা “সন্ত্রাসবাদ দমন”-এর নামে অশুভ জোট গঠন করেছে এবং মার্কিনের নেতৃত্বে ১৯৯০ দশক থেকে শুরু করা বিশ্ব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী প্রতিবিপ্লবী যুদ্ধকে শক্তিশালী ও বিস্তৃত করছে। মনমোহন প্রস্তাবিত হাসিনা ঘোষিত “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দণি এশীয় টাস্কফোর্স”-এ বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রও অংশীদার হবে। দালাল সরকারগুলো মার্কিনের সাথে ইতিপূর্বে গোপনে সোফাসহ নানা চুক্তি করেছে, যার আওতায় মার্কিন সেনাবাহিনী বিনা পাসপোর্টে অহরহ বাংলাদেশে ঢুকছে, দণি এশিয়াব্যাপী তাদের প্রতিবিপ্লবী যুদ্ধ ফ্রন্টের তৎপরতা এগিয়ে নিচ্ছে। মার্কিন সেন্টমার্টিন এবং ভারত সীমান্ত সংলগ্ন বাগেরহাটসহ উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহযোগিতার নামে দীর্ঘদিন ধরে তৎপরতা চালাচ্ছে। এভাবে তারা এখানে বেনামে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের কাজ অগ্রসর করছে।
উপরন্তু, মার্কিন সেনাবাহিনী র‌্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনীকে প্রশিণ ও সরঞ্জাম দিচ্ছে, যারা ক্রসফায়ারের নামে শ্রমিক-কৃষকের আন্দোলন দমন এবং বিপ্লবীদের হত্যা করে চলেছে। সাম্রাজ্যবাদী সামরিক নির্দেশনায় বিগত সরকার জঘন্য “সন্ত্রাস বিরোধী” কালো আইন তৈরী করেছে। যার প্রকৃত টার্গেট হলো বিপ্লবী জনগণ। কারণ তারা জানে সাম্রাজ্যবাদী ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদী নীলনকশা বাস্তবায়নে তাদের দালাল শাসকশ্রেণী ও তাঁবেদার সরকার যত সহযোগীতাই করুক, তা এদেশের জনগণের দিক থেকে প্রবল প্রতিরোধের জন্ম দেবে; সুতরাং, রাষ্ট্রকে আরো বেশী দমনমূলক করে তোলা ছাড়া এই নীলনকশার অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সামরিক সংস্কার এগিয়ে নেয়া তাদের পে সম্ভব নয়।
সুতরাং, এই “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী” গ্র“প/টাস্কফোর্স, যৌথ সামরিক মহড়া, র‌্যাব-পুলিশের প্রশিণ ইত্যাদি ইত্যাদি প্রকৃতপে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং ভারতীয় স¤প্রসারণবাদের সামরিক নীলনকশা ও প্রতিবিপ্লবী যুদ্ধের অংশ। এবং “ট্রানজিট ইস্যু”-কেও এই রাজনৈতিক-সামরিক প্রোপট থেকে বিচ্ছিন্ন করা দেখার কোন সুযোগ নেই। এ সমগ্র সামরিক নীলনকশা বাস্তবায়নের অর্থ হলো প্রতিবিপ্লবী যুদ্ধে বাংলাদেশকে আরও বেশী করে জড়িয়ে ফেলা; ভারতের পূর্বাঞ্চলের নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর মুক্তি সংগ্রামসহ দণি এশিয়া, সর্বোপরি বাংলাদেশের বিপ্লবী শক্তির বিপে ফ্যাসিস্ট শক্তি ও যুদ্ধকে মদদ দেওয়া। যার ফলে বাংলাদেশও ভারতীয় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র যোদ্ধাদের ঘৃণা ও আক্রমণের ল্যবস্তুতে পরিণত হবে। এসব কিছুর রক্তাক্ত ফলাফল ভোগ করবে এদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ।
নীলনকশার রাজনৈতিক তৎপরতা রুখে দাঁড়ান!
সেনা প্রধান লিখেছেন, সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা জাতিসংঘের এক কর্মচারি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তাকে ২০ জানুয়ারির নির্বাচন সমর্থন না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। অন্যথায়, শান্তি মিশনের চাকরি কেড়ে নেয়া হুমকি দিয়েছিল। তখন সেনাপ্রধান আশঙ্কা করছিলেন জাতিসংঘের মোটা বেতনের চাকরি না থাকলে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ভেঙ্গে পড়তে পারে। এ কেমন “দেশপ্রেমিক” বাহিনী! এই নির্লজ্জ দালালী ও চক্রান্তের ধিক্কার জানাবার ভাষা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর!
আমরা আমাদের ঘোষণায় উল্লেখ করেছিলাম:
ফখরুদ্দিনের উপদেষ্টা সরকার হচ্ছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদের আজ্ঞাবহ সরকার। এ সরকার হচ্ছে জাতিসংঘ শান্তি রা মিশনের আওতায় সাম্রাজ্যবাদের সামরিক ব্যবস্থায় আত্মীকৃত সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বস্ত মিত্র সেনাবাহিনীর প্রত্য হস্তেেপ প্রতিষ্ঠিত ও নিয়ন্ত্রিত। এ সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও সামরিক সংস্কারের সাম্রাজ্যবাদী নীলনকশা বাস্তবায়ন করে। এইসব সংস্কার এদেশকে উপনিবেশিক কায়দায় শোষণ-নিপীড়নের পথে চালিত করছে।
আজ এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদ এদেশের উপর তার একচ্ছত্র আধিপত্য রা ও বিস্তারের ল্েয এক নীলনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছে। ১/১১-র ক্যু-দেতা হতে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত সবকিছুই এই নীলনকশার অধীনে পরিচালিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। যদিও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বিসহ শাসন থেকে মুক্তি পেতে “অন্ততঃ মন্দের ভালো হতে পারে” আশা করে জনগণ মহাজোট-মুখি হওয়ায় তাদের “সোনায়-সোহাগা” হয়েছে। কিন্তু, প্রতিদিন এটা স্পষ্টতর হচ্ছে যে, আঁতাতের মাধ্যমে মহাজোট এই নীলনকশা বাস্তবায়নের প্রধান ঠিকাদার হয়েছে।
আমরা নির্বাচনপূর্ব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, ফখরুদ্দিন সরকার নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এমন এক বশংবদ নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট, যারা তাদের দায়মুক্তি ও বৈধতাদান করবে। ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, দায়মুক্তির প্রশ্নে মহাজোটের সাথে সাম্রাজ্যবাদ-স¤প্রসারণবাদের নিয়ন্ত্রণে ফখরুদ্দিন সরকারের পূর্বসমঝোতা ছিল দিবালোকের মত সুস্পষ্ট। ফখরুদ্দিন সরকারের দায়মুক্তি এবং গণবিরোধী অপকর্মের বৈধতাদানের জন্য মহাজোট সরকার যে তোড়জোড় শুরু করেছে, তা সেই পূর্বসমঝোতাকেই প্রমাণ করছে।
মহাজোট সরকার দায়মুক্তির ব্যবস্থা করছে তা-ই নয়, তারা ফখরুদ্দিন সরকারের নীলনকশাজাত অপকর্মগুলোর বৈধতাদান করারও উদ্যোগ নিচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদী নীলনকশার সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে চরম ফ্যাসিস্ট “সন্ত্রাস বিরোধী আইন”, শ্রমিক বিরোধী “শ্রম আইন”, পাটকল বন্ধ, অগণতান্ত্রিক ও গণরাজনীতি বিরোধী “গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ”, জাতীয়স্বার্থ বিরোধী গ্যাসব্লক ইজারা, কয়লা নীতি, কৃষকবিরোধী হাইব্রীড বীজ বিক্রি ইত্যাদি জঘন্য অপকর্মগুলো অনুমোদন করতে যাচ্ছে এই সরকার ও সংসদ।
ফখরুদ্দিন সরকারের দায়মুক্তি ও অপকর্মের বৈধতাদান করা হলে, তা দেশবিক্রি, বিদেশী মদদে মতা জবরদখল, গণবিরোধী জরুরী অবস্থা ও স্বৈরাচারকে সাংবিধানিকভাবে রা করার ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যদিও একথা সত্য, এই সংবিধান শুরু থেকে জাতীয় পরাধীনতা, হত্যা, অবৈধ মতা দখল, স্বৈরাচার, ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারসহ জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ও অগণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ও বিকশিত হয়েছে। আজ আবারো মহাজোট সরকার ও নবগঠিত সংসদ সেই পুরনো প্রতিক্রিয়াশীল পথে সংবিধান সংশোধন করতে যাচ্ছে, যা এই রাষ্ট্রকে আরো বেশী প্রতিক্রিয়াশীল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করবে। এই সংবিধান সংশোধনী আবারো প্রমাণ করবে এই সরকার, সংসদ, সংবিধান ও রাষ্ট্র জনগণের উপর সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদের দালাল বড় পুঁজিপতি ও সামন্ত শাসকশ্রেণীর প্রতিক্রিয়াশীল একনায়কত্বের হাতিয়ার ছাড়া অধিক কিছু নয়। আর এ সবকিছুই বর্তমান প্রতিক্রিয়াশীল সরকার, সংবিধান ও রাষ্ট্র উৎখাত করে জনগণের প্রকৃত স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সরকার, সংবিধান ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গণদাবীকে আরো বেশী ন্যায্য ও জোরালো করে তুলছে।
আমরা সকলেই জানি, এক/এগারোপূর্ব জ্বলন্ত উনুন থেকে এদেশ এক/এগারো পরবর্তী ফুটন্ত কড়াইয়ে পড়েছিল। জনগণ এই ফুটন্ত কড়াই থেকে মুক্তির আশায় ভোট দিয়েছে। জনগণ ফখরুদ্দিন সরকারের দায়মুক্তি এবং তার অপকর্মের বৈধতাদানের জন্য কাউকে ম্যান্ডেট দেয়নি। জনগণ ফখরুদ্দিন সরকারের কণ্ঠরোধকারী জরুরী শাসনে নিপীড়িত, নির্যাতিত ও শোষিত হয়েছে। জনগণ এই অপরাধের বিচার চায়। এই মহাজোট সরকার ও সংসদ যদি জনগণের আকাঙ্খাকে উপো করে, সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদের নীলনকশা অনুসারে সংবিধান সংশোধন করে, ফখরুদ্দিন সরকারের দায়মুক্তি এবং দেশ-জাতি-জনগণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বৈধতা দান করে, তবে তা হবে জাতি ও জনগণের সাথে এক চরম বেঈমানি।
ইতিমধ্যে ফখরুদ্দিন সরকারের ধারাবাহিকতায় সাম্রাজ্যবাদী নীলনকশার সংস্কারের অংশরূপে দেশে উপজেলা নির্বাচন করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদ এবং তার দালাল শাসকশ্রেণীর স্বার্থরক ভগ্নদশাগ্রস্ত দমন-নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থাকে মজবুত করার ল্েয এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটার অনুপস্থিতি, ব্যালটবাক্স ছিনতাই, হানাহানির এ নির্বাচন মহাজোট ও শাসকশ্রেণীর রাজনীতির “দিন বদল”-এর স্বরূপ প্রকাশ করে দিয়েছে। আমরা জানি, বৃটিশ উপনিবেশিক আমল থেকেই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা জনপ্রতিনিধিত্বের নামে উপনিবেশবাদী-আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সহায়ক প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিরূপে কাজ করেছে। সুতরাং, এই নির্বাচন কেবলমাত্র ব্যাপক-জনগণের উপর দমন-নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থাকেই আরো বেশী শক্তিশালী করেছে। একইভাবে দমন-নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ভবিষ্যতে নিরাপত্তা কাউন্সিল, রাষ্ট্র প্রধানকে মতা প্রদানের মত নানা সংস্কার করা হতে পারে।
গণদাবী নিয়ে প্রতারণা বন্ধ কর! গণদাবী আদায়ে সোচ্চার হোন!
দেখা যাচ্ছে মহাজোট সরকার উল্লেখিত নীলনকশা বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণের জনপ্রিয় দাবীগুলির প্রশ্নে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করছে। কৃষক সার, ডিজেলসহ কৃষি-উপকরণের দাম কমার আশায়, শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির আশায়, জনগণ চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার আশায় ভোট দিয়েছে। কিন্তু, যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের মূল্য অর্ধেকেরও নীচে নেমে গেছে, অনেক হাঁক-ডাক দিয়ে সরকার ডিজেলের দাম কমিয়েছে লিটারে মাত্র ২ টাকা। ইউরিয়া ব্যতীত যেসব সারের দামে সরকার ভর্তুকী দিচ্ছে, গত বছর কৃষকরা অত্যাধিক দামের কারণে সেসব সার ব্যবহার করেনি। ফলে আমদানীকারকদের বিপুল সার অবিক্রিত থেকে যায়। ইতিমধ্যে এসব সারের আন্তর্জাতিক দাম প্রায় অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে। কৃষকের নাম করে এসব সারের পেছনে ভর্তুকী দেয়ার অর্থ হলো আমদানীকারকদের উচ্চমূল্যে কেনা অবিক্রিত সার বিনা তিতে বিক্রির ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ, জনগণের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে গুটিকতক সার আমদানীকারকদের ব্যবসা ও মুনাফা রার স্বার্থে। এই বক্তব্য আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠে যখন দেখা যায়, কৃষকের পে যে সার না হলেই চলে না, সেই ইউরিয়া (কৃষকের মোট সার ব্যবহারের প্রায় ৮০% হলো ইউরিয়া) সারে “কৃষক দরদী” সরকার কোন ভর্তুকী দেয় নি।
১০ টাকা কেজিতে চাল দেয়ার মূলো ঝুলিয়ে ভোট আদায় করলেও, বাজারে চালের দাম ২ থেকে ৭ টাকার বেশী কমেনি। এটাও ঘটেছে কৃষকের নাম করে চালের দর পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা মজুদ ছেড়ে দেয়ার কারণে। আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসের দাম কমলেও চাল, তেল ছাড়া অধিকাংশ জিনিসেরই দাম কমেনি। অথচ বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছে, তার সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যবসায়ীদের উপর কোন হস্তপে করবে না।
সরকার দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন পদপে গ্রহণ করার বিপরীতে রফতানিকারকদের সুবিধার্থে ডলারের দাম পড়তে দেয়নি। ডলারের চাহিদা ও দাম ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে একদিনে এক হাজার কোটি টাকার ডলার ক্রয় করে। এ পদপে না নিলে ডলারের দাম আট থেকে দশ টাকা কমে যেত। আমদানী ব্যয় কমে যাওয়ায় এর সুবিধা পেত সাধারণ ক্রেতারা। এভাবে কোটি কোটি ক্রেতাদের বঞ্চিত করে গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর স্বার্থে সরকার ডলারের দাম পড়তে দেয়নি। এই হলো সরকারের ‘দাম কমানো’-র আসল চেহারা।
জনগণ আরো আশা করেছিলেন দেশী-বিদেশী চরম দুর্নীতিবাজ ও দেশের সম্পদ লুটকারীদের বিচার ও শাস্তি হবে। কিন্তু, আমরা দেখছি, ফখরুদ্দিন সরকারের ধারাবাহিকতায় বর্তমান মহাজোট সরকারও তাদের নানাভাবে পুনর্বাসন করছে।
এভাবে মহাজোট সরকার তার যাত্রা শুরু করেছে জনগণের সাথে প্রতারণার মধ্যদিয়ে। তারা মতায় গিয়ে জনগণের জনপ্রিয় দাবীগুলিতে দেয়া তাদের প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ করছে। এই সরকার যে জনগণের নয়, বরং অসৎ, মজুদদার, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক ও প্রতিনিধি তা উন্মোচিত হয়ে পড়ছে।
চারদলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীলদের তৎপরতা:
এরকম একটি অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, চারদলীয় জোট ভারতবিরোধী কিছু বিষয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিলেও মার্কিন স্বার্থের প্রশ্নে সম্মতি দিয়ে চলেছে। মার্কিন স্বার্থের কারণে তারা “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দণি এশীয় টাস্কফোর্স”-এর বিরুদ্ধে যেতে পারছেনা, তারা দাবী করছে এটা সার্কের আওতায় হতে হবে। অর্থাৎ, তাদের আঞ্চলিক মিত্র পাকিস্তানও যাতে এর অংশীদার হয়। তারা চায় যেন ভারত ও শাসকশ্রেণীর ভারতীয় লবীর আধিপত্য একচেটে হয়ে না পরে। অপরদিকে, সিপিবি এতসব কিছুর পরও সর্বশেষ রাজনৈতিক প্রস্তাবে আওয়ামী সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। বাম মোর্চা অর্থনৈতিক ইস্যুতে আটকে যাচ্ছে। গণমঞ্চসহ সাম্রাজ্যাবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সীমিত সামর্থ্য নিয়ে জনগণের পক্ষের রাজনীতিকে বিকশিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সুশীলদের একাংশ নির্লজ্জ দালালী করছে আর একাংশ প্রভূদের সাথে দরকষাকষির পে দাঁড়িয়ে খুঁদকুড়োর আশায় কিছু বিরোধীতা প্রকাশ করছে। এসব বিভ্রান্তির জাল আমাদের ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হবে মুক্তি সংগ্রামের সঠিক পথে!
প্রকৃত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের লে বিপ্লবী সংগ্রামের পথে অগ্রসর হোন!
মহাজোট সরকার একদিকে জনগণের আকাঙ্খার প্রশ্নে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করছে, অপরদিকে সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদের নীলনকশার রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, সামরিক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা মনে করি, যদি মহাজোট সরকার জাতি ও জনগণের প্রত্যাশার সাথে বিশ্বাসঘাতকতার পথ পরিহার না করে, যদি তারা জনগণের জরুরী প্রয়োজন এবং জাতীয় স্বার্থ রার পথ গ্রহণ না করে, কিছু দিনের মধ্যেই তারা জনগণের সামনে “সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স¤প্রসারণবাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের ঠিকাদার” হিসাবে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত হয়ে যাবে এবং জনগণ এই বিশ্বাসঘাতকদের উৎখাত কামনা করবেন। তখন জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সংগ্রাম তাদের উৎখাতের লইে পরিচালিত হবে।
আমাদের এই সংগ্রাম কেবল এই ঠিকাদার সরকার নয়, বরং তার মতার ভিত্তি মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদ, ভারতীয় স¤প্রসারণবাদ, আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদকেই উচ্ছেদের দিকে পরিচালিত হবে। এই সংগ্রাম এই রুগ্ন শোষণ-নিপীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থার কোন সংস্কার নয় বরং আমূল পরিবর্তনের সার্বিক বিপ্লবের পথে পরিচালিত হবে। প্রতিষ্ঠা করবে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র; প্রতিষ্ঠা করবে একটি স্বাধীন-গণতান্ত্রিক স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি।
সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক জনগণ, ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই, আসুন, নিম্নোক্ত দাবীতে সমবেত হই, বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলি:
-- সাম্রাজ্যবাদী ও স¤প্রসারবাদী নীলনকশা বাস্তবায়নে জড়িত ফখরুদ্দিন সরকারের দায়মুক্তি ও বৈধতাদান বন্ধ কর! স্বৈরাচারী গণবিরোধী ফখরুদ্দিন সরকারের বিচার ও শাস্তি চাই!
-- গ্যাসব্লক ইজারা, কয়লানীতি, পাটকল বন্ধ, হাইব্রীড বীজ বিক্রি, শিানীতি, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, শ্রম ও সন্ত্রাসবিরোধী কালো আইনসহ ফখরুদ্দিন সরকারের গণবিরোধী অধ্যাদেশ ও কর্মকাণ্ড বাতিল কর!
-- শ্রমিকের মজুরি বাড়াও! ১২ দফা মানতে হবে! কালো “শ্রম আইন” বাতিল কর!
-- সার, ডিজেল, কৃষি উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাও!
-- অবিলম্বে ভারত-বাংলাদেশ সামরিক মহড়া বাতিল কর! ট্রানজিট প্রদান ও “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দণি এশীয় টাস্কফোর্স” গঠন বন্ধ কর! সোফাসহ সকল গোপন সামরিক চুক্তি ও তৎপরতা বন্ধ কর! সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ফ্যাসিস্ট আইন বাতিল কর! র‌্যাব-পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ কর!
-- জাতীয় সম্পদ লুটকারী দেশী-বিদেশী দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিচার কর!
-- গোলামীর টিফা, ট্রান্সশিপমেন্ট, বিনিয়োগ সুরা চুক্তি করা চলবে না! সমূদ্রসীমা রা কর! জাতীয় শিল্প রা কর! সাম্রাজ্যবাদ-স¤প্রসারণবাদ নির্ভর অর্থনীতি নয়, স্বনির্ভর জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোল!
-- স্বাধীন-গণতান্ত্রিক সরকার, সংবিধান ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপ্লবী কর্তব্য সম্পন্ন কর!

জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ
রাতুল বারী কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত। ৮৪/ক/এ, সাদেক নগর, রায়ের বাজার, ঢাকা-১২০৯।
৯ ফেব্র“য়ারি ২০০৯। যোগাযোগ করুন: মোব.০১৭১২৬৭০১০৯।
email: [email protected]
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×