বাংলাদেশ ভারত ও মায়ানমার এই তিন দেশের সীমান্তে একটা পিলার আছে , যাকে তিন মুখ পিলার বলে । কেওক্রাডং এর উপর থেকে সূর্যোদয় দেখতে গেলে মোটামুটি এর আশপাশ দিয়েই সূর্যটা উঠতে দেখবেন ।
সবচেয়ে বামে দুটো পাহাড়ের মাথা দেখা যাচ্ছে পাশাপাশি - এটা দুমলং এর দুই চুড়া , বাংলাদেশে তৃতীয়। এর পাশেই স্পষ্ট চুড়াটি মাইথাইজমা ( বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ ) , আর সবচেয়ে ডানের যে পাহাড়ের উপর দিয়ে সূর্য উকি দিচ্ছে, সেটা তিন মুখ।
মাইথাইজমা , (বাংলাদেশে ৮ম) একেবারে বামে , তার পাশেই তিন মুখ পিলার বসানো পাহাড় টা , এর ডানে আরেকটা তিন হাজারী চুড়া । মেঘ ঘিরে ধরছে সবগুলো কেই !
আহসানুল্লাহ (AUST ) এর অনিক -কে দেখা যাচ্ছে 'কেও' শিখড়ে সূর্যোদয় অবলোকন - ভোড়ের আলোতে অবগাহণ-রত। মে মাসের গরম পালিয়ে গেছে , সারা রাত লালা বোমের গেষ্ট হাউসে মেঘ বয়ে গেছিল ' কেও' চুড়ায় , শীত -শীত লাগছিল। সকালে মেঘ নীচে নেমে গেলেও শীত রেখে গিয়েছিল অবারিত । মে মাসেও কাপুনি দিয়ে শীত লাগছিল । তাই সূর্যোদয়ের আগেই চুড়ায় যেতে - সংগী হিসেবে কম্বল পেচিয়ে ...
মেঘ আটকে গেছে দুই পাহাড়ের সারির মাঝে । বান্দরবানে ভোরের সময় এ দৃশ্য চোখে পরবে প্রায়ই ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১