"তোমার সামনে আসার সাহস আমার নাই। তাই ছবি দিছি ওয়াদা রক্ষার্থে। আর, তোমাকে ভালবাসার অধিকারও হয়তো আমার নাই। তবুও ভালবেসে ফেলেছি। বোবাদের কাউকে ভালবাসাটা অপরাধ হলে, আমাকে ক্ষমা করিয়ো।"
.
চিঠিটা পড়েই নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হলো ফারিহার। শেষপর্যন্ত একটা বোবা ছেলের প্রেমে পড়েছিল সে, যার এই ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারাটায় ছিল একটা মিরাকল!!
.
চিঠিটা এবং ছবিটা ছুড়ে ফেলে দ্রুত বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিল সে। 'এই ছেলেকে আর প্রশ্রয় দেয়া যাবে না' - ভাবল সে। তবে মনের ভেতরের খচখচানি গেলো না।
***
সেই ঘটনার পর রাজীব ছেলেটাকে টানা এক সপ্তাহ কোথাও দেখা যায়নি। তারপর যখন সে এক সপ্তাহ পর ক্যাম্পাসে আসল তখন তাকে চেনার উপায় খুব একটা ছিলো না। তবে, এই এক সপ্তাহে ফারিহার মনে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে বিধায় রাজীবের দিকে যখন মেয়েটা তাকাল, তখন রাজীব সেই চোখদুটোতে অদ্ভুত এক দৃষ্টি দেখতে পেল।। মনের ভুল ভেবে বেঞ্চে বসার পর পরই হলুদ রঙা কাগজটা তার চোখ এড়াল না। কাগজটা খুলতেই সে দেখল তাতে গাঢ় লাল কালিতে লেখা - "ভালবাসি"....
.
.