"তোমার ঘরে বাস করে কারা ও মন জানোনা
তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা
এক জনে ছবি আকে এক মনে
ও রে মন
আর এক জনে বসে বসে রং মাখে
ও আবার সেই ছবিখান নষ্ট করে কোন জনা কোন জনা
তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা। ।"
একসময় এ গানটির মানে বুঝতাম না কিন্তু এ
ডিজিটাল যুগের সম্পর্ক দেখে আমি অনেকটাই বুঝে গেছি এই গানটির মর্মার্থ...।
সম্পর্কের জটিলতায় ২১ টি বসন্ত যায় যায় করলেও কারো সান্নিধ্য যেহেতু পাওয়া হল না...।তাই প্রতি বারের মত এবারো ১লা ও ২রা ফাল্গুন গালিব নামের ছেলেটি ব্যস্ত থাকবে পথশিশুদের নিয়ে...।।
যেহেতু ওরাও ভালবাসা বঞ্চিত ,আর আমিও ...।।তাই দিন টা তাদের জন্যই উৎসর্গ করলাম...।।
ওদের ভালবাসা অনেকটাই
জটিলতা মুক্ত...।।
ওদের অন্তরের ভালবাসা বিভাজিত নয়...।
ওরা এক জনকে মন দিয়ে আর এক জনের সাথে ভালবাসার অভিনয় করে না...।
যদিও ওদের জীবনের অনেক স্বপ্ন-ই খুব অল্প দামে বিলীন হয়ে গেছে।
তারপরও নির্ঘুম প্রহরীর মতো জীবন কে পাহারা দিয়ে বেড়ায়।
গভীর রাত করে হয়ত স্বপ্ন দেখে,
কাব্য আঁকে নিরাপদ আশ্রয়ের।
আমি শুনি স্টেশনে
অথবা বস্তিতে ঝিঁঝির ডাক আর শিশুর কান্না!
জেগে উঠে খিদের জ্বালায় দুধ পান করবে বলে।
অথচ মায়ের খাবার জুটেনি দুধ আসবে কোথা থেকে।
শিশুটির কান্না ভদ্রসমাজের কারো বেঘাত ঘটে না।
কত অল্প বয়সেই না সমাজের নিষ্ঠুরতায় অভ্যস্ত হয়ে যায় শিশুটি।
হয়তো ভোর হবে তবু ওদের জীবনের আলো জ্বলিবে না।
তবুও সপ্নেরা ওদের বাঁচিয়ে রাখে।
সকল ভালবাসা উৎসর্গ করলাম অধিকার বঞ্চিত পথশিশুদের প্রতি...।
যদিও অনেক ভালবাসি তোমায়, আমার প্রানপ্রিয় লালপরী...।।