মেয়েটির জন্মের পর বাবা মা যে নাম রেখেছিল তার অর্থ ছিল ধৈর্যশীল …।
মেয়েটি আসলেই অনেক লক্ষী ও ধৈর্যশীল ছিল,পুতুল না পেলে কাঁদতো না,বাবার বেতন হয়নি বলে নতুন জামা না পেলেও মনে কষ্ট পেত না…।কৈশরের দিনগুলিতে কাজিনের সাথে মিশতে মিশতে তাকে তার মনটা পুরোপুরিই দিয়ে দিয়েছিল…
কিন্তু তার সেই কাজিন প্রেম করছিল অন্য এক মেয়ের সাথে…।বিষয়টি সহ্য করতে পারে নি মেয়েটি ,রাগ কিংবা ক্ষোভ থেকে জড়িয়ে পড়ে নতুন এক ছেলের সাথে জড়িয়ে পড়ে একটি গভীর সম্পর্কে। ছেলেটি ছিল লম্পট প্রকৃ্তির,ফলে সব কিছু খুঁইয়ে মেয়েটি হয়ে পড়ে নিঃস্ব।দিন গড়ায় সমাজের চোখে হয়ে যায় কলঙ্গিনি…।ঘুম আসে না তার,মা ছাড়া তাকে সাপোর্ট দেওয়ার কেউ নেই ,ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে হয়ে তার,বাড়তে থাকে কষ্টের রাত।জীবনে আসে নতুন এক প্রেমিক।মেয়েটি আবারো জড়িয়ে পড়ে সম্পর্কে।যদিও মেয়েটি জানে না যে ,যার সাথে সে সম্পর্কে জড়ালো তাকে আসলেই ভালবাসে কি না !সময় যায় ভালবাসা রুপ নেয় অন্যরকম এক নিষিদ্ধ সম্পর্কের …।যেতে থাকে দিন…বাড়তে থাকে কষ্টের রাত…।
মেয়েটি যদিও মন থেকে এখনো ভালবাসে তার সেই কাজিন কে…।
অমানিশার রাত কেটে এক নতুন সূর্য উকি দিতে থাকে মেয়েটির জীবনে ,যদিও মেয়েটি জানে না সত্যিই সকাল আসবে কি না…,নাকি আসলেও সে সকাল হবে মেঘে ঢাকা…সূর্যও জানে না সে সত্যিই সকাল আনতে পারবে কি না…।।