দেশে হঠাৎ একটা জোয়ার এসেছিল। সবাই একেবারে হুমড়ি খেয়ে শেয়ার বাজারে ইনভেষ্ট করছিল।
পরিস্থিতি এমন, যে শেয়ার বাজারের “শ” ও বোঝে না সেও ইনভেষ্ট করছিল। তার মাত্র কিছুদিন পরেই শেয়ার বাজারে ধ্বস নামল। বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা শেয়ার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেল। আজও সেই শেয়ার বাজার সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি।
এর পরেই ইউনি পে টু ইউ এবং স্পিক এশিয়া টাইপের এমএলএম কোম্পানি গুলোর জোয়ার শুরু হয়। মানুষ ধার দেনা করে করে সেখানে টাকা খাটাতে লাগল। আহারে! সেই কোম্পানিগুলোও এতগুলো মানুষের কপালে বাড়ি দিয়ে চলে গেল।
মাঝখানে কদিন এক টাকার তামার কয়েনগুলো নিয়ে ব্যবসার কথা না-ই বললাম। এরপরে আসল ডলারের ব্যবসা। ডলারের দাম হু হু করে বাড়ছিল। সেই সুযোগে অনেকে ডলার কিনে রেখে মাস দুয়েক-পরে ডলারের দাম বাড়লে তা বিক্রি করা শুরু করলো। কিন্তু এরপরেই সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম কমানোর উদ্যোগ নিলো। ডলারের দাম স্টেটিক হলো।
বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে ডলার স্টক করছে ডলারের দাম কমানোর জন্য। ডলারের দাম কমতে শুরু করবে নিশ্চিত। হয়তো অনেক অনেক ইনভেস্টর সেখানেও কোন মেকানিজমে ধান্ধা করার চেষ্টা করবে।
আসলে আমাদের দেশে ব্যবসায়ীর চেয়ে জুয়াড়ি বেশী। অথচ সামান্য মাথা খাটালেই তারা এইটাকা গুলো দিয়ে ব্যবসা করে সমাজে ভালভাবে দাঁড়িয়ে যেতে পারতো। এত জুয়াড়ির বদলে দেশে যদি অনেক ব্যবসায়ী থাকতো আজ দেশের এই অবস্থা থাকতো না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




