somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুই কি হবি আমার বালিকাবধূ?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১, আমি ভালোবাসা নামের শব্দটা পাল্টে দিতে চাই


আমি ভালোবাসা নামের শব্দটা পাল্টে দিতে চাই
আবেগ নামক শব্দটা ডাস্টবিনের ময়লার স্তপে দেখতে চাই
রাজপথের ড্রেন লাইনের পাশ দিয়ে প্রেমিকার রক্তস্রোত
রাস্তার নেড়ি কুকুরের মুখে প্রেমিকের আহত হৃদয়।


আমি স্বপ্ন নামের আপেক্ষিক শব্দটা খুন করতে চাই
খুটির ট্রান্সমিটারের উপরের পাখির বাসায় আগুন দেখতে চাই
অপেক্ষা নামক শব্দটা আর অপেক্ষায় রাখতে চাইনা
ক্লান্ত পথিকের ঝুলিতে করে অতীতের নির্বাসন।


আমি প্রেমের দৃষ্টিভরা চোখ উপড়ে ফেলতে চাই
ঘরের সিলিংয়ের পাখায় উড়না ঝুলানো দেখতে চাই
শিরা কাটা হাতে নীল সব সরল রেখা পাশাপাশি
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যাত্রীর মত গাদাগাদির শঙ্খনীড়।


আমি আমার গল্প থেকে তোমার নাম মুছে দিতে চাই
টুকরো টুকরো কাগজে তোমার কান্নার রোল দেখতে চাই
ফুটপাথে শুয়ে ঘচঘচ জুতোর শব্দ শুনে প্রেম পালিয়ে যায়
এক পা খুড়িয়ে চলা কবুতর দুর্গম ঝঞ্জা পাড়ি দিতে চায়।





২, তুই কি হবি আমার বালিকাবধূ?



তুই কি হবি আমার বালিকাবধূ?
গোধূলির আভায় নীড়ে ফিরবো আমি
ঝিঁঝিঁ ডাকা সন্ধ্যায়
একরাশ এলোমেলো ভাবনা
আপন করে নিবি তুই
তোর নগ্ন হাতের কাঁকন গুনে
হারিয়ে যাব ধোঁয়াটে কুয়াশার দেশে।


তুই কি হবি আমার বিজন বনের চারুলতা?
অবুঝ আমি দিশাহারা হবো তোর পত্রপল্লবে
জোনাক জ্বলা রাত্তিরে
গোমরা মুখের মেঘের গর্জনে
জরিয়ে নিবি তুই
তোর শেকড় মাঝে সপে দিয়ে আমাতে
অস্তিত্ব মিশিয়ে হুতুম পেঁচার গান।


তুই কি হবি ঘোরের চাদরের স্বপ্নকিশোরী?
নুপুরের ধ্বনি নাচিবে শিরায় উপশিরায়
আধো পূর্ণিমার আলোয়
মাদুর বিছিয়ে সন্তপর্ণে দুজনে
চাঁদ নামাবো তারাময় ভরা আকাশ হতে
নিঝুম আলোছায়া আর শিতল পাটির ঘ্রান।


তুই কি হবি আমার হৃদয় কোনের গৃহরানী?
সকালের মায়ারোদ মাখিব চোখেমুখে
উষ্ণতা চুমিবে পদ দুজনার
পর্দাটানা বালিশ চাদরের ঘর
আঙ্গুলে জড়িয়ে আঙ্গুলের খাঁজ
নয়ন যুগলে ভালোবাসাদের অভিযোগ।



৩, স্ট্রে ফুল সিগারেট ফিল্টার


স্তব্ধ নির্ঘুম রাত
আধপোড়া জ্বলন্ত সিগারেট
এলোমেলো পুস্তকের ভিড়ে
কিছুটা সৃতি, কিছুটা তুমি
গহীন থেকে আর্তনাদ
না পাওয়ার হাহাকার।

নেশায় বুদ মস্তিস্ক
ঝিম ধরে ঘুরছে সব
স্ট্রে ফুল সিগারেট ফিল্টার
কারো স্পর্শ, কারো ঘ্রান
ম্লান যন্ত্রনার আরেকটি রাত
ফোঁটায় ফোঁটায় লবনাক্ত জল।

টিক টিক টিক ঘড়ি
সিলিংয়ে অপলক তাকিয়ে থাকা
বুক চেপে চিৎকার
কখনো অরন্য, কখনো মেঘ
চেপে ধরে দৈবস্বত্বা
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি

নিউরন সেল কেঁপে উঠছে
জানালায় মৃদু বাতাস
আরেকটি অধ্যায়ের অবসান
তাহার প্রেম, তাহার ভালবাসা
ধারালো কিছু একটা
মেঝেতে রক্তস্রোত।



৪, আমার নিকষ অন্ধকারের রাত ঘুমের আদরে ঘুমায় না



তুমি বলেছিলে
একটি সুন্দর সকাল দেবে?

তুমি হয়ত কখনো জানতেই না,
আমার প্রতিটি সকাল তোমার জন্য করুন আর্তনাদ করে;
সাদা গাঙ্গচিলের দল তোমার জন্য
তোমায় দেখাবো বলে বন্দী করে রেখেছিলাম স্নিগ্ধ সকালগুলো।


তুমি বলেছিলে
আমায় ছুটে যাওয়া তারা দেখাবে?

রাতআকাশে শশীর মায়া দেখনি,
আমার নিকষ অন্ধকারের রাত ঘুমের আদরে ঘুমায় না;
ঝিরি বাতাসে জোছনাযাপন তোমার জন্য
তুমি নেই বলে রাখা হয়না হারিয়ে যাওয়া তারার খবর।


তুমি বলেছিলে
বর্ষার জল ছুঁইছুঁই পথে হাটবে?

বর্ষার জলকনা হয়ত তোমার পা স্পর্শ করেনা,
আমি প্রতিটি বর্ষায় অজান্তেই সেই পথে হেটে গেছি নিভৃতে;
শাপলা আর কচুরির ফুল তোমার জন্য
প্রতিটি বর্ষার বিকেল ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা পদধ্বনি শোনতে।


তুমি বলেছিলে
তুমি কি আমার হবে ?

বিষাদের তিক্ততায় কেটেছে অনেক সময়,
অহর্নিশি আমি বাঁচতে চাই তোমার দেয়া মুহূর্ত আঁকড়ে;
আমি এবং আমার সব তোমার জন্য
আমি আজো তোমারি আছি, তুমিই হারিয়ে গেলে......।



৫, কবিতার শেষ চরন


কবিতার শুরুটা আমিই করেছিলাম
জ্যোৎস্না মাখা রাতে শীতের চাদর জড়িয়ে
একের পরে এক শব্দ সাজিয়ে
তবুও কেন যেন অসম্পূর্ণ......


ফ্লোরে ছরিয়ে থাকা প্যাডের কাগজ
অলস ঘুমিয়ে পরা কলম
ভাবিনি আবার জেগে উঠবে
আবার দাগ কাটবে সাদা কাগজের বুকে।


হ্যাঁ, আমার অসম্পূর্ণ কবিতার মাঝে তোমার আগমন
বৈশাখী ঝড়ের গতিতে শব্দের সমাহার
আমার পা বেঁয়ে সবুজ তরু বেঁয়ে উঠতে শুরু করে
আমি ফিরে পাই আরেকটি বসন্ত।


এরপর আবার সেই অলস কলমের ঘুম
কবিতার শব্দেরা ঝরে পরতে শুরু করে
কিন্তু আজো রয়ে গেছে তোমার আবেশ
কবিতার শেষ চরনে............


## নয় বছর বসয়ে প্রথম ছন্দ মিলিয়ে দাগ টানা অংক খাতায় কিছু একটা লিখে ফেলেছিলাম। আমার ছোট জীবনের প্রথম ক্ষুদ্র সাহিত্য। একটা ষোল লাইনের কবিতা। নিতান্ত ছেলেমানুষি একটা কবিতা আমার ছোট্ট ভাইটাকে নিয়ে। কবিতাটার প্রথম আট লাইন মনে আছে। পড়ে কেউ হাসবেন না,

" রাতুল রাতুল করে সবাই
রাতুল এখন কই?
রাতুল এখন পড়ার ঘরে
পড়ছে এখন বই

বইয়ে ছিল বাঘের গল্প
শুনে দিলো লাফ
সেই লাফে গিয়ে পড়লো
মাটির উপরে ধাপ।"

সেই থেকে শুরু। কবিতা, রূপকথা, ভ্রমনগল্প, ছোট গল্প থেকে শুরু করে প্রেমপত্রও লিখেছি ডায়রী ভরে। কি আজব এক নেশা ! ##

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১১
৭৩টি মন্তব্য ৭২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×