somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুঁড়িকে তুড়ি মারুন! (পর্ব-১) সংগৃহীত

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জীবনের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ভুঁড়ি। যারা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন তারা অল্প একটু ভুঁড়ি হলেই কোমর বেঁধে নেমে যান তা দূর করতে ! আবার আরেক শ্রেণীর মানুষ, যারা সাধারণতঃ আলসে বলে পরিচিত, তারা আবার ভুঁড়ি আভিজাত্যের প্রতীক (!!) এই অজুহাতে এই অভিজাত বস্তুটিকে আরও সুন্দর করতে উঠে পড়ে লেগে যান
কিন্তু এই অভিজাত বস্তুটি যে আপনার আভিজাত্যকে এক সময় ধুলায় মিশিয়ে দিতে পারে তা মাথায় রাখা জরুরী। ভুঁড়ি হওয়া আপনার দেহের ইঙ্গিত যে এই দেহযন্ত্রটি আপনার ঠিকমত চলছে না এবং তা অতিসত্বর ঠিক করা দরকার। ভুঁড়ি হৃৎপিণ্ড, শ্বাসযন্ত্র, গলব্লাডার এমনকি মস্তিস্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। ভুঁড়ি হার্ট এ্যাটাক, ডিমেনশিয়া (মস্তিস্কের রোগ), ডায়াবিটিস, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের অন্যতম কারণ। তাই সুস্থ ও সবল থাকতে হলে ভুঁড়ি দূর করা যারপরনাই জরুরী।
ভুঁড়ি দূর করা কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় না। খুব সহজেই এই বিড়ম্বনাকে তাড়ানো যায়। শুধু দরকার ইচ্ছা ও অধ্যবসায়। প্রথমেই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। অতিরিক্ত শর্করা, রেড মিট প্রভৃতি ভুঁড়ি হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই ভুঁড়ি কমাতে হলে খাদ্যতালিকা থেকে এসব ছাঁটাই করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে। ডায়েট করা মানে কিন্তু এই না যে খাওয়া-দাওয়া সব বাদ দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়া। বরং ডায়েট হচ্ছে শরীরকে সুস্থ সবল করে তোলার একটা পদ্ধতি। ভুঁড়ি কমাতে হলে ভাত, মিষ্টি, আলু প্রভৃতি যাবতীয় শর্করা জাতীয় খাওয়া কমিয়ে দিন। একসাথে বেশি খাবেন না। বরং কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে খান। কখনোই পেট কানায় কানায় ভর্তি করবেন না খেয়ে। ক্ষিদে মেটাতে যতটুকু খাওয়া দরকার ঠিক ততটুকুই খাবেন রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন, রুটি খাওয়া শুরু করুন।
ভাত, রুটি এসব কম করে খাবেন, তরকারী, সালাদ, মাছ এসব বেশি করে খান। গরুর মাংস,খাসির মাংসের পরিবর্তে মুরগীর মাংস খান। খেয়েই শুয়ে যাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। খাওয়ার পর বাসাতেই ১০-১৫ মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটুন। এতে হজম দ্রুত হবে এবং চর্বি জমার হার কমবে। ওহ ! আর চর্বি জাতীয় খাদ্যও কমিয়ে দিন। রান্নায় তেল কম ব্যবহার করুন। সকালের নাশতা ভালো করে করুন কিন্তু দুপুর, বিশেষ করে রাতে কম খান। দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করুন। একটি প্রবাদ আছে ইংরেজিতে, যার অনুবাদ হচ্ছে -
“সকালের নাশতা খাও রাজার মত, দুপুরের খাবার কেরানীর মত ও রাতের খাবার ভিখারীর মত।”
শুধু খাদ্যাভাস পরিবর্তনেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসবে না, এটির সাথে নিয়মিত ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে হবে। এসব এক্সারসাইজের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। কয়েকটি হচ্ছে -
# সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটু ভাঁজ না করে পায়ের পাতা ছোঁয়া – এটি প্রত্যহ ১০ বার করুন।
# মেঝেতে ম্যাট বিছিয়ে তার উপর শুয়ে পায়ের পাতা ছোঁয়া – এটি প্রত্যহ ৫ বার করুন।
# জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং – এটি ২ মিনিট করুন।
# বুকডন – দিনে ১০টা করে বুকডনও দিতে পারেন।
# লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সময় থাকলে ৫ মিনিট সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করুন।
এছাড়া সাইক্লিং, সাঁতার প্রভৃতি করার সুযোগ থাকলে তা নিয়মিত করুন।
এসব ব্যায়াম নিয়মিত করলে ও যথাযথ খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে পারলে ভুঁড়ি দূর হতে বাধ্য! সেই সাথে আপনি আরও সুস্থ, সবল, সতেজ ও কর্মদ্যম হয়ে উঠবেন। আর শরীর সুস্থ থাকলে মন সুস্থ থাকতে বাধ্য, তখন জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠবে
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×