অনেক দিন পর মুভি রিভিঊ লিখতে বসলাম। এবার একটা বাংলা ছবি। ভারতীয় বাংলা নাম চলো পাল্টাই। ছবিটা বাস্তবিক অর্থে থ্রি ইডিয়টসের স্কুল ভার্শন ছবিটা কিন্তু তার পর ও ছবিটা টেনে ধরে। উপমহাদেশের স্কুল ও প্রাথমিক শিক্ষার দিকে আঙ্গুল তুলেছে এই ছবিটি। অনেকের চোখের দৃষ্টি খুলে দেবে। এই ছবি। কারণ আমরা এর প্রত্যক্ষ ভুক্তোভোগী। এখানে যা বলা হচ্ছে তাই করো যা তোমার ভালো লাগে।
এবার আসল কথায় আসি। ছবির শুরতেই একটা গান। অনুপম রায়ের কন্ঠে গানটি ছবির মুল কথা গুলো বলে দেয়। প্রথম দৃশ্য যেখানে প্রসেনজিৎ এবং কিছু মানুষ ছুটে চলছে হাসপাতালের করিডোর ধরে। এবং ১ বছর আগের জীবনের ফ্ল্যাশ ব্যাক। যেখানে একটি মাতৃহীন পরিবারের কথা উঠে আসছে প্রসেনজিৎ অর্থাৎ সুখময় সেই পরিবারের কর্তা অর্থাৎ তার ছেলে মেয়েদের বাবা। সুখময় সিটি করপোরেশনের কেরাণী। একটু বোকা বোকা স্বভাবের। তার দুই ছেলে মেয়ে মুন্নি আর গৌরব। মুন্নি পড়াশোনায় ভালো আর গৌরব ভালো ক্রিকেটে। কিন্তু পিতার ইচ্ছা ছেলে যেন বড় হয়ে অন্য কিছু হয়। কিছু পয়সা কামায়। তার ধারণা ক্রিকেট খেলে তার ছেলে কিছু করতে পারবে না। তার প্রশ্ন হলো ১০০ রানের দাম কতো? যাই হোক ছবি এগিয়ে চলে তার আপন গতিতে। এই অবস্থায় একটি নারী চরিত্র আসে । যার পেশা হলো পতিতা বৃত্তি। তার নাম মালিনী। খুব নরম মনের নারী চরিত্র তাকে নিয়ে সবাই ব্যংগ করে কিন্তু সেই নারী দেখিয়ে দিতে চায় অবক্ষয়ের চিত্র টা। যাই হোক কলকাতার মানুষের সত্যিকারের দারিদ্রের চিত্রটা তুলে আনা হয়েছে। যাই হোক ছেলে যথারীতি ফেল করে এবং ১৭-১৮ বছরের ছেলেদের মতো বাবার সাথে ঝগড়া। ফ্লশ্রুতিতে আঘাত এবং কোমায় চলে যাওয়া। এভাবেই ছবি চলতে থাকে সবাই সাহায্য করে সুখময় কে তার ছেলের জন্য। আর সুখময় আন্দোলনে নামে শিক্ষার পদ্ধতি বদলাতে হবে। যেখানে শিক্ষক নিজেই জানে না ১৭X৭ কতো হয়, ইলতুৎমিশ এর বাবার নাম কী, সেখানে বাচ্চাদের সব পড়তে হবে কেন? তা ছাড়া প্রতিবছর বইয়ের একটা অধ্যায় বদলে নতুন করে বই ছাপিয়ে পয়সা কামিয়ে নেওয়ার ধান্ধা সব নিয়েই তার আপত্তি। এভাবে ছবি এগিয়ে যায়। খেলনা বোমা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যায় সুখময়। তার সাথে কথা বলতে এবং তার সাম্নে উত্থাপন করে পরিবর্তনের শিক্ষার পদ্ধতি গত পরিবর্তনের। এক সময় গৌরব আবার ভালো হয়ে উঠে। এর পর আবার দে সেঞ্চুরী হকায়। এভাবেই শেষ হয় আমাদের গল্প। চলো পাল্টে যাই।
আমি কিছু জিনিশ ইচ্ছে করেই বলি নি। যাতে আপনারা ছবিটি দেখেন। প্রত্যেক স্কুল কলেজে এই ছবিটা দেখানো উচিৎ বলে আমি মনে করি। এখানে অসাধারণ অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ,রজতম দত্ত এবং বাকী অভিনেতারা। ছবির গান গুলো অসাধারণ। চলো পাল্টে যাই গানটা খুব ই সুন্দর। যাই হোক আশা করি আপ্নারা দেখবেন।। ধন্যবাদ
অনেক কিছু বাদ গেছে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন।
চলো পাল্টাই টরেন্ট লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩০