৬নং সেক্টর মুজিব ক্যাম্পে তিনি ট্রেনিং নিয়েছিলেন। সব সময় তার বুকে লেখা থাকতো মুক্তিযোদ্ধা নং ১২৪/১৯। বুলু মিয়া সাহেবগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘ ৯মাস সম্মুখ সমরে অংশগ্রহন করেছেন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের ভুরুঙ্গামারি, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, হাতিবান্দা, খানসামা, সৈয়দপুর, তিস্তার বিভিন্ন স্থানে তিনি বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন।
স্বাধীণতার পর তিনি মনে করেছিলেন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার থাকলে জীবন চলার একটা ব্যবস্থা হবেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো সরকার আসে সরকার বদলায়, বুলু মিয়ার রিক্সা চালানো আর বন্ধ হয়না।
বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা বুলু মিয়ার বাবা একজন ফল ব্যবসায়ী ছিল। ৬ ভাই ৪ বোনের বিশাল সংসারে তার ভাগ্যে সামান্য একখন্ড জমি জোটাতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সামান্য টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে না। যে কারনে বাধ্য হয়ে তাকে রিক্সা চালাতে হয়। ৬২ বছর বয়সে রিক্সা চালানো এখন তার জন্য খুব কষ্টকর। আমাদের দেশে বহু মুক্তিযোদ্ধা সরকারী অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খাস জমি প্রদানের ব্যবস্থা করছে। বুলু মিয়া আশা করছেন সরকার এতো দিন তার উপর নজর না রাখলেও এবার হয়তো তার একটা বিহীত হবে।
বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বুলু মিয়া সারাদিন রিক্সা চালিয়ে কিছু টাকা উপার্জন করেন। এরমধ্যে ৩০ টাকা মহাজনকে দিতে হয়। অবশিষ্ঠ টাকায় কোন রকমে দিন অতিবাহিত করছেন বুলু মিয়া। বুলু মিয়া জানান, তার নিজের একটা রিক্সা থাকলে হয়তো আরেকটু ভাল তিনি থাকতে পারতেন।
ঢাকা নিউজ 24 ডট কম