আমাদের স্নায়ুযুদ্ধ হার মানাতে শুরু করেছে
মার্কিন-রাশিয়ার যুদ্ধকেও,
এর শেষ পরিনতি কি জানা নেই,
শুধু এটুকুই জানি ব্যর্থ হব, ব্যার্থ হব,
ব্যার্থ হতে হতে ধুলোর সাথে মিশে, আকাশে উড়ে যাবো।
ব্যর্থতাই আমার প্রধানতম শত্রু, একমাত্র শিক্ষক।
.
এ যুদ্ধে তবু বারবার উস্কানি দিচ্ছে আমাদের নানানরকম ,
রঙবেরঙের হতাশা,হতাশার বিষবাষ্প মস্তিষ্ক ছেয়ে ফেলেছে,
এতটুকু সুন্দর চিন্তা বা কথা বলতে ভুলে গেছি।
হতাশার দেবীকে সামনে পেলে পূজোর সবটুকু স্বপ্ন ছিনিয়ে নিতাম,
হত্যা করে ফেলতাম হতাশার আগুনে পুড়িয়ে।
বারবার চিৎকার করে বলি , হে ঈশ্বর,
ক্ষমা করো, হতাশা কমিয়ে দাও।
পরে প্রার্থনা করিনি বলে, সময় দেইনি বলে ঈশ্বরের অর্চনায়
ঈশ্বরও আজকাল আমার প্রতি বিমুখ।
.
রাতজাগা আর নিকোটিনের ধোঁয়ায় মেঘেঢাকা
আকাশ ভারি করে ফেলা,
এইতো চলছে জীবন।
নিকোটিনে ঠোঁট পুড়ছে সে পুড়ুক,
তোমার ঠোঁটদুটো তো সুদূরের নক্ষত্রপূঞ্জ শুধু,
ছুঁয়ে যে দেখবো সেই সাধ্যটুকু নেই আমার।
.
স্টোয়িক যুগের কোন হতাশাবাদী দার্শনিক ও আমার মত
হতাশ ছিলেন কিনা সন্দেহ,
তোমার অবহেলাগুলো আমাকে যে এমন
গৌরবের ভাগীদার করবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি, অদ্বিতীয়া।
নিরন্ন জীবনে যতটুকু ভাতের ক্ষুধা জাগে মানুষের মনে,
নিরস্ত্র সৈনিক আত্মসমর্পণ ছাড়া যেমন
কোন পথ খুঁজে না পেয়ে - আত্মহত্যা করে বসে।
আমি ভালোবাসা না পেয়ে , অবহেলায় যে কতবার
নিয়ত হতাশার বিষপানে আত্মহত্যা করে গেছি তা জানবেনা কেউ,
না তুমি, না ঈশ্বর।
০৮-০৯-১৮
শহীদুল্লাহ্ হল, ঢাবি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:০৫