ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৩ টা বেজে ৫৯ মিনিট ।গন জাগরন মঞ্চ থেকে শুরু হল কাউন্ট ডাউন । লাখো কণ্ঠে যখন একেকটি সংখ্যা গননা করা হচ্ছিল তখন গায়ের পশম গুলো সব দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল । সময় যতই কমতে থাকে মানুষের গলার স্বর ততোই চড়তে থাকে। কি রকম যে এক অনুভূতি হচ্ছিল সেটা বলে বোঝানোর মত নয় । ৫, ৪, ৩, ২, ১ বলার সাথে সাথেই স্তব্ধ গোটা শাহবাগ । উপস্থিত সবাই মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলে নীরবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে । কোথাও কোন শব্দ নেই । শুধু কিছু পাখির ডাক তখন শোনা যাচ্ছিল।
আমার ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলের একজন মহিলা রিপোর্টার । তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার দু চোখ বেয়ে ঝরে পড়ছে আনন্দের অশ্রু । নিজের অজান্তেই আমার চোখ ভিজে উঠলো । আমি আজ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম দেখেছেন আমাদের উপর থেকে এবং তিনি আজ অস্রুসিক্ত এবং গর্বিত। ৩০ লক্ষ শহীদ আজ দেখেছেন আমাদের উপর থেকে এবং তাঁরা ও আজ অস্রুসিক্ত এবং তাঁরা ও আজ গর্বিত । সেখানকার এমন স্তব্ধতা এক অপরিচিত শব্দহীন শাহবাগের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আজ আমাদের ।
নীরবতা ভাঙ্গার পর পর ই সেখানে উপস্থিত ষাটোর্ধ একজন মুক্তিযোদ্ধা টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার কে বলছিলেন, '' এমন নীরবতা আগে কখনো দেখি নাই। নীরবতাও যে আন্দোলনের হাতিয়ার হতে পারে এই ধারণাও ছিল না আমার । ''
ঠিক তিন মিনিট শেষেই ''জয় বাংলা'' শ্লোগান এর সাথে সাথে এবং লাখো যোদ্ধা দের করতালি তে পরিচিত রুপ ফিরে পায় এই প্রজন্ম চত্বর। সত্যি আমরাই পারবো নতুন এক বাংলাদেশের সাথে গোটা বিশ্ব কে পরিচয় করিয়ে দিতে।
এই মুহূর্তে যেই সুখবর টি শুনলাম তা হল জামায়াত নিষিদ্ধে বিল আসছে , এই সুখবর টি পেয়ে মনে হচ্ছে , নাহ আমরা কোন ভুল করিনি। আমরাই পারবো এই দেশটি কে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপ দিতে । এ দেশের সোনার ছেলেরা হারতে শিখেনি । বিজয় আমাদের হবেই হবে ।
আমি গর্বিত আমি বাঙ্গালী । জয় বাংলা । জয় বাংলা ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




