somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নতুন নাটক 'অনুদ্ধারণীয়': এক ঘোরলাগা সংশয়!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি'র জাতীয় নাট্যশালায় দেখলাম থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নতুন নাটক 'অনুদ্ধারণীয়'। 'অনুদ্ধারণীয়' নাটকটি বুদ্ধদেব বসু'র ছোটগল্প অবলম্বনে রচিত হলেও সমসাময়িক বাংলাদেশ ও বিশ্বমানচিত্রের দ্বান্দ্বিক ঘটনা পরম্পরাকে সংযুক্ত করে সমকালীন সময়ের নাটকে রূপ দেওয়া হয়েছে। নাটকটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডক্টর মোহাম্মদ বারী। 'অনুদ্ধারণীয়' থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ৩২তম প্রযোজনা।


নাটকটি শুরু হয় একটি চমক দিয়ে। প্রথমে এক যুবক একটি স্ট্যাচু'র সামনে একা একা নিজেকে ধিক্কার দেয়। যুবকের সেই আত্মশ্লাঘার ভেতরেই পেছনে হাত বাঁধা ও চোখবাঁধা পরিপাটি এক ভদ্রলোককে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে আসে, মুখে কালোকাপড়ে মুখ ঢাকা দুই যুবক। একটু পরেই স্পষ্ট হয় ভদ্রলোককে আসলে কিডন্যাপ করা হয়েছে।

পৌঢ় বয়সী ওই ভদ্রলোকের নাম নাসিরউল্যাহ মজুমদার ওরফে কবি নাসির মজুমদার। যিনি সরকারের কোনো একটি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং দেশের একজন বিখ্যাত কবি ও বুদ্ধিজীবী। এককথায় ভদ্রলোক দেশের একজন বড় ভিআইপি। যিনি তার লেখনি দিয়ে একসময় তরুণ সমাজকে নানা কায়দায় উজ্জীবিত করতেন।

কিন্তু সরকারের বিশাল পদের লোভ সামলাতে না পেরে এই কবি যখন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন, তখন তার যারা তরুণ অনুসারী, তাদের কাছে কবি'র লেখনি আর বাস্তবতার মধ্যে যে অনিবার্য দ্বন্দ্ব সংঘাত শুরু হয়, সেই ক্ষোভ থেকেই একদা এই কবি'র অন্যতম অনুসারী তরুণ অমিত ও তার ছেলেরা কবিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে আসে।

একটা পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে একটি নির্জন ঘরের আন্ডারগ্রাউন্ডে কবি নাসির মজুমদারের মুখোমুখি হয় তারই একসময়ের চরম ভক্ত তরুণ অমিত। সেখানে নানান কিসিমের অভিযোগে অমিত আক্রান্ত করে এই কবিকে। ধুর্ত কবি একেএকে অমিতের সকল অভিযোগ মাথা পেতে মেনে নেয়। আসলে এখানে অমিতের তারুণ্যের কাছে কবি'র প্রৌঢ়ত্বের যে অসহায়ত্ব, সেই চিরায়ত দ্বন্দ্বটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

কবি এবং তার একসময়ের ভক্ত কিন্তু বর্তমানের কিডন্যাপ লিডার অমিতের মধ্যে এক দীর্ঘ বোঝাপড়া চলতে থাকে। অমিত কিছুটা আতংকিত কিংবা উদ্বিগ্ন, নতুবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকে। এক সময় অমিত কবিকে পালানোর চেষ্টা না করতে বলে কোথাও চলে যায়। তখন কবি কিছুটা শান্তভাবে বুঝতে চেষ্টা করে তার জীবনের এই পর্যায়ে আসলে কী পরিণাম হতে যাচ্ছে। কবি তখন নিজের ছায়ার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

কবি তখন স্মৃতিফুড়ে নিজের উত্তাল যৌবনের সময়কালকে যেনবা দেখতে পান। যখন তিনি কবিতার মধ্যে বসবাস করতেন। উঠতে বসতে ঘুমোতে কবিতার চাষাবাদ করতেন। দিন–রাত ব্যস্ত থাকতেন কার্ল মার্ক্স, ফ্রেডরিক এঙ্গেলস, বোদলেয়ার, রিলকে, শেলি, আইনস্টাইন, মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথে।

কবি'র সেই স্মৃতিচারণের একপর্যায়ে মনে পড়ে কৈশোরের এক বর্ষামুখর অন্ধকার রাতের কথা। যে রাতে আকাশভাঙা বৃষ্টি ছিল। অদ্ভুত এক নস্টালজিয়ার ভেতরেই কবি চিৎকার করে ওঠেন, ‘সর্বত্র মুনাফার রাজত্ব। কোথায় দেশপ্রেম, কোথায় নীতিবোধ, কোথায় বিবেক, আমার বিদ্রোহী মন চিৎকার করে বলেছিল মুক্তি চাই। পাশে কেউ নেই, আমি একা। আমি একাই ডাক দিয়েছিলাম—বল বীর, বল উন্নত মম শির...।’

কবি আসলে তখন অন্ধকারের ভেতরে তার কবিসত্ত্বার সাথে যেন একাত্ব হয়ে যান। সেখানে কবি'র কবিসত্ত্বারূপে আবির্ভুত হয় এক অপ্সরা নারী। যে কবি'র তারুণ্য ও যৌবনের সকল ঘটনা পরম্পরাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কবিকে যেনবা কিছুটা ব্যঙ্গ করেন। সরকারি পদপদবি পাবার পর কবি'র কবিসত্ত্বা যে বিলুপ্ত হয়েছে, সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেবার পর, কবি'র মধ্যে একটা ঘোর লাগে। সেই ঘোর আসলে তারুণ্য ও পৌঢ়ের দ্বন্দ্ব, লোভ আর বিসর্জনের দ্বন্দ্ব, একা ও সমষ্টির সংঘাত, ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের অবস্থানগত পার্থক্য।

এই সময় নেপথ্যে কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার কোরাস উচ্চারিত হতে থাকে। পাশাপাশি কালো পোশাকের পাঁচ তরুণের প্রবেশ ঘটে। তারা সুন্দর কোরিওগ্রাফি'র মাধ্যমে কবি'র সেই তরুণ বয়সের প্রতিচ্ছবিকে তুলে ধরে। একপর্যায়ে কবি উচ্চারণ করেন, আমি সারা জীবন মানুষের কথা ভেবেছি, মানুষের জন্য করেছি, দেশকে ভালোবেসেছি।

তখন এক এক করে উঠে আসে সাম্প্রতিক বাংলাদেশের কিছু ছবি- বিতর্কিত ৫৭-ধারা, কোটা আন্দোলন, হাতুড়িপেটা, পেট্রলবোমা, আগুন–সন্ত্রাস, সংখ্যালঘুদের বাড়ি উচ্ছেদ, নদী দখল, ব্যাংক লুট, হেলমেট বাহিনীর ঘটনা পরম্পরা। পাশাপাশি স্থানীয় প্রসঙ্গের সাথে যেনবা উঠে আসে ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিন বা আফগানিস্তানের রক্তাক্ত শিশুর মুখ। কিংবা প্রতিবেশি মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার আর্মির গুলিতে উড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মাথার খুলি। কবি'র অন্তরে তখন দাউ দাউ করে পুড়ে যায় পৃথিবীর সাজানো ঘরবাড়ি, সভ্যতা, সমাজ।

এক পর্যায়ে মনে হতে থাকে আমি যেন সত্যি সত্যি আন্দ্রেই তারকোভস্কি'র সায়েন্স ফিকশান চলচ্চিত্র 'সোলারিস' দেখছি। নাকি 'সোলারিস'-এর সেটে বসে আছি! পুরো মঞ্চে তখন আলো-আঁধারিতে ভরপুর গ্যালাক্সি। ১২টি গ্রহ আর সূর্যের বিপুল ঘোরাঘুরি। সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিল শনি গ্রহ। যদিও অন্যান্য গ্রহগুলো আলাদাভাবে আকারের তুলনায় ঠাওর করাটা একটু কষ্টকর ছিল। কবি তখন আসলে নিজের যৌবনের সাথে নিজেই অন্তরদ্বন্দ্বে কুপোকাত। এক নস্টালজিয়ার চরম শিখরে ভূপাতিত।

তখন আবার মঞ্চে আসে অমিত। কবি এতক্ষণ কার সাথে কথা বলছিলেন, অমিত কিছুই জানে না। অমিত এবার খুবই ধীরস্থির। এখন তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার মুহূর্ত। শত্রুকে খতম করাই যেন তার ধ্যানজ্ঞান। উদ্যত আগ্নেয়অস্ত্র বারবার তাক করছে কবি'র দিকে। কবি তখন কিছুটা করুণ মিনতী করে বাঁচার জন্য। তখন নেপথে আবার ঘোষিত হয়- 'আমরা চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছি। পালানোর কোনো উপায় নেই। হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়ে সারেন্ডার করো'।

দ্বিধাগ্রস্থ অমিত! একবার কবিকে গুলি করতে উদ্যত হয়, আবার সিড়ি বেয়ে দেখতে চেষ্টা করে, বাইরে কারা তাকে ঘিরে আছে। এই পর্যায়ে পর্দার আলো নিভে যায়। এখানে ঠিক স্পষ্ট হয় না অমিতের গুলিতে কবি মারা গেল নাকি বাইরে যারা অমিতকে সারেন্ডার করার জন্য হুমকি দিচ্ছিল, তাদের গুলিতে অমিত মারা গেল। এরকম একটি দ্বন্দ্ব বা অমিমাংশা নিয়েই নাটকটি শেষ হয়।

এবার আসি নাটকের অভিনয় প্রসঙ্গে। কবি চরিত্রে নাটকের নির্দেশক ও নাট্যকার মোহাম্মদ বারী চমৎকার অভিনয় করেছেন। কেবল প্রথম দৃশ্যে যখন কবি কিডন্যাপ হয়ে মঞ্চে আসেন, তখনকার পদক্ষেপগুলো মনে হয়েছে একটু সাদৃস্যহীন। মনে হচ্ছিল কবি তার পরিচিত জায়গায় যেন হেঁটে যাচ্ছেন। সে যে বন্দি, তার মধ্যে সে ধরনের আতংক বা ভয়ের যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। এছাড়া পুরো নাটকে কবি দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।

অমিত চরিত্রে মেহমুদ সিদ্দিকী লেনিন ভালো অভিনয় করেছেন। কিন্তু অডিয়েন্স থেকে তার সকল সংলাপ আমার কাছে স্পষ্ট হয়নি। সংলাপে কিছুটা জড়তা ছিল। হতে পারে উচ্চারণজনিত বা প্রজেকশানজনিত সমস্যা। কবিসত্ত্বা চরিত্রে ফৌজিয়া করিম অনু চমৎকার অভিনয় করেছেন। একটি চলমান সেটের সাথে নিজেকে যে দক্ষতায় তিনি উপস্থাপন করেছেন, তা সত্যি প্রশংসাযোগ্য।

ছায়া রূপে যে পাঁচটি চরিত্র, তাদের মুভমেন্ট এবং তাল লয় বেশ সুন্দর ছিল। কবিকে বন্দি করে প্রথম যে দু'জন কালো পোষাক পরা যুবক নিয়ে আসে, তাদের মধ্যে প্রথম জনকে দিয়ে জল না টানিয়ে দ্বিতীয় জনকে দিয়ে জল টানালে আরো যৌক্তিক হতো। কারণ, প্রথম যুবক কিছু কাজে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি পানি আনতে যায়। তখন দ্বিতীয় যুবককে কিছুটা সময় মঞ্চে বেকার মনে হয়েছে।

পুরো নাটক চলাকালীন ব্যাকগ্রাউন্ডে আমরা কিছু ভিজুয়াল কোলাস দেখতে পাই। অমিত এবং কবি'র দ্বন্দ্বমুখর তর্কবিতর্কের মধ্যে যেমন এসএম সুলতানের পেইন্টিং দেখতে পাই, তেমনি দেখা যায় জয়নুলের দুর্ভিক্ষের কাক, সালভাদর দালি'র ড্রিম, পিকাসো'র গোয়ার্নিকা, জন মরো, ক্যানডিনস্কি, কিবরিয়া ও বিশ্বের অনেক শিল্পী'র একগাদা পেইন্টিংসের চলমান বা ধীরলয়ের ভিজুয়াল কোলাস। ঘটনার সাথে সাদৃশ্য রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডের এই ভিজুয়াল কোলাস নাটকটিকে আরো শক্তিশালী করেছে।

কিন্তু ভিজুয়াল কোলাস একটানা না দেখিয়ে মাঝেমাঝে বিরতি দিয়ে দেখালে দর্শক আরো বেশি নাটকের মধ্যে একাত্ব হতে পারতো বলে মনে হয়েছে। কারণ দর্শকের চোখ মাঝে মাঝে মঞ্চের শিল্পী থেকে শিল্পের কোলাজে উচাটন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাবার ঝুকি আছে এতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সুন্দর। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশেলে এক নস্টালজিক সাউন্ড। লাইট প্রজেকশান সুন্দর ছিল। তবে গোটা নাটকে চরিত্র কম হওয়ায় মঞ্চের অনেকখানি অংশ যেন অব্যবহৃত থেকেছে পুরোটা সময়।

নাটকের সেট ঝুট ঝামেলাহীন সাদামাটা। তবে চলমান টেবিলের মধ্যে কিছুটা কারিশমা ছিল। অমিত যে ভাস্কর্যের সাথে একাএকা কথা বলে, ওটার অবস্থান আরো একটু মঞ্চের সামনের দিকে হলে হয়তো দর্শকের বুঝতে আরো সুবিধা হতো। সেক্ষেত্রে মঞ্চের বেকার অংশ আর চোখে লাগতো না।

'অনুদ্ধারণীয়' নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যকার ডক্টর মোহাম্মদ বারী। নাটকটির কাহিনী নেওয়া হয়েছে বুদ্ধদেব বসু'র 'অনুদ্ধারণীয়' গল্প থেকে। মঞ্চ ও ভিজুয়াল নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পী শাহীনুর রহমান। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন অম্লান বিশ্বাস ও আবু সুফিয়ান বিপ্লব। আবহ সংগীতে ছিলেন সেলিম মাহবুব। কোরিওগ্রাফি করেছেন অনিকেত পাল। কস্টিউম পরিকল্পনায় ছিলেন ফৌজিয়া করিম অনু। নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন সেলিম মাহবুব।

সভ্যতার শুরু থেকেই আমরা এক দ্বন্দ্বমুখর পরিবেশে বসবাস করি। চিরায়ত সেই দ্বন্দ্বসংঘাতকেই নাটকে পুরোপুরি নানান ঘটনা পরম্পরায় কবি ও অমিতের প্রতিচ্ছবিতে নাটকে আনা হয়েছে। এককথায় ‘অনুদ্ধারণীয়’ নাটকটি মূলত প্রতিষ্ঠানবিরোধী তারুণ্যের এক রোমান্টিসিজমের গল্প।

দীর্ঘদিন পর নতুন নাটকের জন্য থিয়েটার আর্ট ইউনিটকে ধন্যবাদ। ‘অনুদ্ধারণীয়’ নাটকটি ছিল থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ৩২তম প্রযোজনা। আর শুক্রবার ছিল এটার প্রিমিয়ার শো। জয়তু বাংলা থিয়েটার। জয়তু থিয়েটার আর্ট ইউনিট।

--------------------------
১২ জানুয়ারি ২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×