
জামায়াতে ইসলামি বা ছাত্রশিবিরকে আসলে আদর্শ দিয়ে চ্যালেঞ্জ না করাটাই বরং বোকামি,যত যেভাবে আপনি দাবার চাল দিবেন সেখানেই বাজিমাত করবে,করে বসবে এরা। কিন্তু এরা এতসবের পরেও ব্লান্ডার করতে ভালোভাসে।
শেখ হাসিনা স্টাব্লিস্ট করেছিলো জামায়াত শিবির খারাপ,এইটা হয়ে উঠলো মানুষের রিসার্সের খোরাক। ৫ আগস্টের পর শিবির জামায়াতের উথান দেখে অনেকে বুঝে উঠতে পারছেন না এক্সাক্টলি এদেরকে কিভাবে কাউন্টার দিবে।
গোলাম আজমকে দিয়ে স্বীকারোক্তি নিলো,শেষে এসে শফিকুর রহমান,এরপরেও মন ভরেনা,ওদের আরো চাই,যে আমির হবে তাকেই এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। এইটা একটা ফ্যান্টাসি কুয়েশ্চন,না করলে ফুলফিল অর্গাজম হবেনা।
আজকে জামায়াত শিবিরকে দেখলাম গোলাম আজমের জানাজার ছবি ভিডিও আপলোড দিচ্ছে,তাও আবার ফ্যাসিনার আমলে,সে সময়ে শহীদ হওয়াদের নিয়ে আলাপ তুলছেন।
এরপর ছাত্রদল নিয়ে আসলো শাহবাগীদের বায়তুল মোকারমের ঘটনার ছবি নিয়ে,এদিকে জিয়াউর রহমান ও সাকা চৌধুরির কবর ও জুতাপেটা করছিলো শাহবাগীরা।
এসবের ফলে কি হচ্ছে? একের পর এক জাতির জন্য রাজনীতি করতে যাওয়া বাম ও জাতীয়তাবাদ ব্লান্ডার করতেছে,জামায়াতের ভোটের পপুলারিটি বাড়তেছে,মায়েরা সন্তানকে শিবির হিসেবে দেখতে চায়,ছাত্র সংসদ গুলার অবস্থা দেখেন।
কিন্তু সমস্যা হইলো জামায়াত আবার এসব সহ্য করতে পারেনা,জামায়াতকে যারা চায় জামায়াত আবার ভোটের নেশায় তাদেরকে চায়না,তাদের নাকি আওয়ামিলীগের ও ভোট লাগবে। একদিকে শিবির একেরপর এক সাকসেস এনে দিচ্ছে,অন্যদিকে জামায়াত সেটাকে আমির হামজার মত লোকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। মানে জামায়াতকে যারা চাচ্ছে জামায়াত তাদেরকে চাচ্ছেনা,অন্যদিকে আওয়ামিলীগ জামায়াতকে চায়না,কিন্তু জামায়াত আওয়ামিলীগের ভোট নিবেই নিবে,লাগবেই,এত মধু। তিনমাস পাঠ করিয়ে ত্বওবা পড়িয়ে রোকন বানিয়ে দিলেই ঈমানদার হয়ে উঠবে।
এই দেশে শুধু ব্লান্ডার হয়,এই দেশের উৎপত্তিই তো পাকিস্তানের ব্লান্ডারের ফল(পাকিস্তান না থাকা),মজু গুন্ডার ইন্দিরা গান্দির লগে বাটপারি করার ফল(ভারত না হওয়া)।এই জন্য ভারতের গৌতম গম্ভীরকে ভালো লাগে,কোন প্যাচগোছ নাই,ভারত বাঙ্গুদের পোন্দানোর জন্যই পাকিস্তান খেদাইছে,অতএব এটা ভারতের স্বাধীনতা,বাঙ্গুদের নয়।
- রিয়াজ হান্নান
ভারতপন্থী অনলাইন এক্টিভিস্ট ও ব্লগার
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


