একটা Animation Movie দেখেছিলাম, How To Train Your Dragon. ঘটনাটা একটু বর্ণনা করি, ব্যাড়ক নামে একটা দ্বীপে ড্রাগনের অত্যাচারে অতিষ্ট দ্বীপবাসী। ঘটনাক্রমে ঐ গ্রামের একছেলে, হিখাপের একটি ড্রাগনের সাথে সখ্যতা হয়। ড্রাগনটি একদিন হিখাপকে তাদের গুহাতে নিয়ে যায়। ঐখানে গিয়ে হিখাপ জানতে পারে________ ড্রাগনরা কেন তাদের বিরক্ত করে, কেন তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়, কেন তাদের খাবার চুরি করে, কেন তাদের গৃহপালিত পশু গুলো ও দ্বীপের মানুষদেরকে ছোঁ মেরে নিয়ে যায়।
ড্রাগনদের একটা রাণী আছে, অত্যন্ত নির্দয় ও নির্মম। তাঁকে সময়মত চাঁদা অর্থাৎ খাবার দিতে হয় নইলে সে ঐ গুহার ড্রাগনদের খেয়ে ফেলে। ড্রাগনদের দুর্দশা দেখে হিখাপের খুব মায়া হয় এবং সে একদিন তার ড্রাগন বন্ধুর সহায়তায় রাণীটিকে মেরে ফেলে। অতঃপর ড্রাগন গুলো তাদের পোষ মেনে নেয়।
আমাদের সাথে কিন্তু কাহিনিটা অনেকটা মিলে যায়। আমরা, মানুষরা কিন্তু বিপদে পড়ে এমন অনেক কাজ করি যেইটা আমাদের কড়া উচিত না বা আমরা করতে চাই না। কখনো বা কাউকে বিরক্ত করি, কখনো বা কার সাথে খিটমিট করি এবং ক্ষণিকের আচরণে অন্যরা আমাদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে ফেলে।
কাল এক অটোতে উঠেছিলাম, অটোচালকটা একটু পরপর অটো থামাচ্ছিল যাত্রী নেওয়ার জন্য। হয়ত লোকটার প্রয়োজন ড্রাগনদের প্রয়োজনের থেকেও গুরুতর ছিল এজন্যই ট্রাফিক পুলিশের লাঠির ৩টা বারি অটোতে লাগিয়েও ঠাই দাঁড়িয়ে ছিল যাত্রী নেওয়ার জন্য। অটোচালকের এমন বেহায়াপনা দেখে আমার পাশে বসা যাত্রীটা চালকের সাথে যা নয় তাই আচরণ করল কারণ তার দেরী হয়ে যাচ্ছে!!
কিছু কিছু অটোচালক আছে যারা একটু পরপর থামে লোক নেওয়ার জন্য এবং যতক্ষণ না অটোটি পুরোপুরি ভর্তি হয়, তারা যাত্রী নেওয়ার জন্য থামতেই থাকে। অটোচালকদের এই আচরণে অন্যদের মত আমিও খুব বিরক্ত হই। কিন্তু এজন্য তাদের সাথে যা ইচ্ছে তাই আচরণ করা ঠিক নয়। হতে পারে তাদের অর্থের প্রয়োজনটা অনেক বেশি সে জন্য এমন ছ্যাঁচড়ামি করে।
তাদের এই ছ্যাঁচড়ামিতে যদি আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরী হয় তবে সেই রাগটা অন্যের উপর না দেখিয়ে নিজের প্রতি দেখানো উচিত যেন পরবর্তীতে সময়ানুবর্তী হতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৮